ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

বাংলাদেশে সরকারী ক্রয়ে জবাবদিহিতা দুর্নীতি প্রতিরোধ জোরদারে বিশ্বব্যাংকের প্রশংসা

প্রকাশিত: ০০:৪০, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২০

বাংলাদেশে সরকারী ক্রয়ে জবাবদিহিতা দুর্নীতি প্রতিরোধ জোরদারে বিশ্বব্যাংকের প্রশংসা

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশের সরকারী ক্রয়ে জবাবদিহিতা ও দুর্নীতির প্রতিরোধ জোরদারের প্রশংসা করেছে। বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিশ্বব্যাংকের নতুন একটি প্রতিবেদনে এই প্রশংসা করা হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশে সরকারী ক্রয়ের ক্ষেত্রে বর্ধিত স্বচ্ছতায় এবং নাগরিকদের অংশগ্রহণে ই-গবর্নমেন্ট প্রকিউরমেন্ট বাস্তবায়ন দরপত্রগুলোর একক দরদাতার সংখ্যা অর্ধেক হ্রাস করে প্রতিযোগিতার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য উন্নতি সাধন করেছে। এর ফলে অ-স্থানীয় সংস্থাগুলোর কনট্রাক্ট পাওয়ার সংখ্যা বেড়েছে এবং সফল দরদাতাদের শীর্ষে রয়েছে ভাল দাম দেয়া দরদাতারা। খবর বাসসর। প্রতিবেদনে সরকারী কার্যকারিতা এবং স্বচ্ছতা বৃদ্ধিতে দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সর্বাধিক ক্ষতিগ্রস্ত খাতগুলোতে দুর্নীতিবিরোধী কৌশলগুলোর কার্যকারিতা বাড়ানোর উপায়ের ওপর আলোকপাত করা হয়। কোভিড-১৯ (করোনা) মোকাবেলার এই সময়ে যখন নজিরবিহীনহারে জরুরী তহবিল সচল করা হয়েছে, তখন এই রিপোর্টে সরকারী জবাবদিহিতা বাড়াতে কিছু কার্যকর উপায় এবং উপকরণের ওপর নজর দেয়া হয়েছে। এতে বলা হয়, এমনকি সবচেয়ে কঠিন পরিস্থিতিতেও দুর্নীতির বিরুদ্ধে অগ্রগতি অর্জন করা যেতে পারে। প্রচলিত উপকরণগুলোর প্রয়াগ তীক্ষ করার জন্য আরও কাজ করার ক্ষেত্রে এটি নীতি নির্ধারকদের এবং দুর্নীতি দমনের জন্য একটি রেফারেন্স গাইড হিসেবে কাজ করে। বিশ্বব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মেরি পাঙ্গেস্তু বলেন, কোভিড-১৯ মহামারী পরিস্থিতি থেকে অর্থনীতি পুনরুদ্ধার করতে এবং ক্ষতিগ্রস্ত দরিদ্র ও অসহায়দের সুরক্ষার জন্য দ্রুত গতিতে সরকার বড় আকারের জরুরী ব্যয় করেছে। যেহেতু দেশগুলোর আরও সচ্ছল হতে ও অন্তর্ভুক্তিমূলক পুনরুদ্ধারের পথে এগিয়ে চলেছে, তাই স্বচ্ছ উপায়ে সম্পদের সঠিক ব্যবহার অত্যন্ত জরুরী। তিনি বলেন, বিশ্বব্যাপী সকল পরিবেশে অগ্রগতি সম্ভব এবং দুর্নীতি ও এর ক্ষতিজনিত প্রভাব মোকাবেলায় সরকার, সিভিল সোসাইটি এবং বেসরকারী খাতের অংশীদারের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করার জন্য আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে নজিরবিহীন কিছু জরুরী ব্যয় নিয়মিত ভারসাম্যতার নীতি না মেনেই করা হয়েছে। যদিও এসব বিষয়ের গতি যথাযথ নিয়ন্ত্রণ ছাড়াই বোঝা যায়, তবুও এটি সরকারকে বিভিন্ন ধরনের দুর্নীতির ঝুঁকির মুখোমুখি করে, যা তাদের প্রতিক্রিয়াগুলোর কার্যকারিতা হ্রাস করতে পারে। বৃহত্তর জবাবদিহিতা বাড়াতে প্রতিবেদনে সরকারকে স্বচ্ছ পদ্ধতিতে তাদের কাজ সম্পর্কে স্পষ্ট করে বলা, যথাযথ নিয়ম প্রয়োগ করা, নিয়ম লঙ্ঘন মোকাবেলা করা এবং সমস্যাগুলো যত তাড়াতাড়ি সম্ভব প্রতিকারের আহ্বান জানানো হয়েছে। প্রতিবেদনে পাঁচটি মূল বিষয়ভিত্তিক ক্ষেত্র রয়েছে।
×