ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

ধর্ষিত স্কুলছাত্রীর জীবিত ফিরে আসা ॥ বিচারিক তদন্তের নির্দেশ

প্রকাশিত: ২২:৫৩, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২০

ধর্ষিত স্কুলছাত্রীর জীবিত ফিরে আসা ॥ বিচারিক তদন্তের নির্দেশ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ নারায়ণগঞ্জে ধর্ষণ ও হত্যার শিকার স্কুলছাত্রীর জীবিত ফেরত আসার ঘটনায় বিচারিক তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। আগামী ৪ নবেম্বরের মধ্যে এই প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করতে বলা হয়েছে। অন্যদিকে ৯৩ লাখ ৬০ হাজার ১৫০ টাকার দুর্নীতির অভিযোগের মামলায় কক্সবাজার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সার্ভেয়ার মোঃ ওয়াসিম খানকে হাইকোর্টের দেয়া জামিন বাতিল করেছে আপীল বিভাগ। বৃহস্পতিবার আপীল ও হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট বেঞ্চ এ আদেশ প্রদান করেছে। ধর্ষণ ও হত্যার শিকার স্কুলছাত্রীর জীবিত ফেরত আসার ঘটনায় বিচারিক তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোট। বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মোঃ মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেন। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন এ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির। গত ২৫ আগস্ট নারায়ণগঞ্জে ধর্ষণ ও হত্যার শিকার স্কুলছাত্রীর জীবিত ফেরত আসার ঘটনায় নথি তলবের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিভিশন আবেদন দায়ের করা হয়। গত ২৪ আগস্ট ‘ধর্ষণের পর নদীতে লাশ ফেলে দেয়া স্কুল ছাত্রীর ৪৯ দিন পর জীবিত প্রত্যাবর্তন’ শীর্ষক শিরোনামে একটি জাতীয় দৈনিকে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ঘটনার বিবরণী উল্লেখ করে শিশির মনির জানান, গত ৪ জুলাই ৫ম শ্রেণীর ছাত্রী দিশা নিখোঁজ হয়। গত ৬ আগস্ট নিখোঁজ স্কুল ছাত্রী দিশার বাবা জাহাঙ্গীর হোসেন নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় অপহরণ মামলা দায়ের করেন। মামলার পর পুলিশ আব্দুল্লাহ, রকিব এবং খলিল নামে ৩ জনকে গ্রেফতার করেন। তারা আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেন। স্বীকারোক্তিতে তারা বলে যে, তারা পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রী দিশাকে গণধর্ষণের পর হত্যা করে লাশ শীতলক্ষ্যা নদীতে ভাসিয়ে দেয়। জবানবন্দী গ্রহণের পর আসামিদের জেলে পাঠানো হয়। কিন্তু ২৩ আগস্ট দিশাকে খুঁজে পাওয়া যায়। সে বর্তমানে নারায়ণগঞ্জ সদর থানা পুলিশের হেফাজতে হয়েছে। এ অবস্থায় প্রশ্ন উঠেছে আসামিরা কীভাবে ধর্ষণ ও হত্যা সম্পর্কিত স্বীকারোক্তি দিয়েছে। যেখানে দিশা অক্ষত অবস্থায় ফেরত এসেছে। এরপর ‘ধর্ষণের পর নদীতে লাশ ফেলে দেয়া স্কুলছাত্রীর ৪৯ দিন পর জীবিত প্রত্যাবর্তন’ শিরোনামে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ সংযুক্ত করে মঙ্গলবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় পাঁচ আইনজীবীর পক্ষে একটি রিভিশন দায়ের করেন এ্যাডভোকেট মোঃ শিশির মনির। এদিকে ৯৩ লাখ ৬০ হাজার ১৫০ টাকার দুর্নীতির অভিযোগের মামলায় কক্সবাজার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সার্ভেয়ার মোঃ ওয়াসিম খানকে হাইকোর্টের দেয়া জামিন বাতিল করেছেন সুপ্রীমকোর্টের আপীল বিভাগ। হাইকোর্টের দেয়া জামিন আদেশের বিরুদ্ধে দুদকের করা আবেদনের নিষ্পত্তি করে বৃহস্পতিবার জ্যেষ্ঠ বিচারপতি ইমান আলীর নেতত্বে আপীল বিভাগের ভার্চুয়াল বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে ওয়াসিম খানের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ এম আমিন উদ্দিন। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।
×