ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ঝলক

প্রকাশিত: ২২:৪৭, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২০

ঝলক

নোবেলের অর্থমূল্য বাড়ল চলতি বছর মর্যাদাপূর্ণ নোবেল পুরস্কার জয়ীদের গত বছরের তুলনায় ১০ লাখ ক্রোনা বা প্রায় এক লাখ ১০ হাজার মার্কিন ডলার বেশি দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন নোবেল ফাউন্ডেশনের প্রধান লারস হেইকেনস্টেন। বৃহস্পতিবার সুইডেনের দৈনিক ডাগেন ইন্ডুস্ট্রিকে তিনি এ তথ্য দিয়েছেন। হেইকেনস্টেন বলেছেন, এ বছর থেকে নোবেল পুরস্কারের অর্থমূল্য ফের এক কোটি ক্রোনা হচ্ছে। ডিনামাইট আবিষ্কারক আলফ্রেড নোবেল ৩ কোটি ১০ লাখ ক্রোনা রেখে গিয়েছিলেন, আজকের বাজারে যা প্রায় ১৮০ কোটি ক্রোনার সমান। তার রেখে যাওয়া ওই অর্থ দিয়েই ১৯০১ সাল থেকে মর্যাদাপূর্ণ এ নোবেল পুরস্কারের প্রচলন করা হয়। শত বছরেরও বেশি সময় ধরে নোবেল পুরস্কার বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ হিসেবে বিবেচিত হয়ে এলেও সময়ে সময়ে এ পুরস্কারের অর্থমূল্য পরিবর্তিত হয়েছে। শুরুর দিকে বিজয়ীদের দেড় লাখ ক্রোনা দেয়া হতো। পরে বাড়তে বাড়তে ১৯৮১ সালে তা ১০ লাখ ক্রোনায় গিয়ে দাঁড়ায়। পরের দুই দশক এ অর্থমূল্য হু হু করে বাড়ে। ২০০০ সালে প্রতিটি পুরস্কারের অর্থমূল্য দাঁড়ায় ৯০ লাখ ক্রোনা। পরের বছর বেড়ে হয় এক কোটি ক্রোনা। ২০০৮-০৯ সালের মন্দায় নোবেল ফাউন্ডেশনের বিনিয়োগ ক্ষতিগ্রস্ত হলে পরিস্থিতি সামলাতে সুইডেনের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক প্রধান হেইকেনস্টেনকে ফাউন্ডেশনের দায়িত্বে নিয়ে আসা হয়। তার হাত ধরেই নোবেল পুরস্কারের অর্থমূল্য কমে যায়। ২০১২ সালে পুরস্কারটির অর্থমূল্য হয় ৮০ লাখ ক্রোনায় দাঁড়ায়। ২০১৭ সালে বাড়িয়ে করা হয় ৯০ লাখ ক্রোনা। এ বছর থেকে ফের এক কোটি ক্রোনা হলেও সময়ে সময়ে পুরস্কারের অর্থমূল্য আরও বাড়বে বলে জানিয়েছেন হেইকেনস্টেন। চলতি বছরের শেষদিকে তিনি ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহীর পদ থেকে সরে যাচ্ছেন; তার স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন নরওয়ের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভিদান হেলগেসেন। -রয়টার্স পানি বেচে শীর্ষ ধনী অর্থবিত্তের পরিমাণে আলিবাবার সহ-প্রতিষ্ঠাতা জ্যাক মা’কে ছাড়িয়ে চীনের শীর্ষ ধনীর খেতাব জিতলেন ব্যবসায়ী ঝং শেনশেন। বুধবার পর্যন্ত তার মোট সম্পদের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৮৭০ কোটি মার্কিন ডলার, যা জ্যাক মা’র তুলনায় অন্তত ২০০ কোটি ডলার বেশি। ব্লুমবার্গ বিলিয়নিয়ার ইনডেক্সের হিসাবে ঝং শেনশেন বর্তমানে এশিয়ার দ্বিতীয় এবং বিশ্বের মধ্যে ১৭তম ধনী ব্যক্তি। এশিয়ায় তার চেয়ে বেশি সম্পদের মালিক কেবল ভারতের মুকেশ আম্বানি। চীনে ‘লোন উলফ’ বা ‘একাকী নেকড়ে’ নামে পরিচিত শেনশেনের মূল ব্যবসা বোতলজাত পানি বিক্রি। তার নংফু স্প্রিং কর্পোরেশন হংকংয়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় ব্র্যান্ড। ভ্যাকসিন নির্মাতা ওয়াংতাই বায়োলজিক্যাল ফার্মেসি এন্টারপ্রাইজের মালিকানাও শেনশেনের। সম্প্রতি শেয়ারবাজারে নথিভুক্ত হয়েছে এ প্রতিষ্ঠানটি। শুধু এর জেরেই ঝং শেনশেনের মোট সম্পদ বেড়েছে দুই হাজার কোটি ডলার। ২০২০ সালে এ ব্যবসায়ীর সম্পদ বেড়েছে এক লাফে ৫ হাজার ২০০ কোটি ডলার। এ বছর তার চেয়ে বেশি সম্পদ বেড়েছে শুধু আমাজনের প্রধান জেফ বেজোস ও টেসলার ইলন মাস্কের। চীনে সাধারণত প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের প্রধানরাই শীর্ষ ধনীর তকমা পান। গত ছয় বছর ধরে এই সম্মান ধরে রেখেছিলেন জ্যাক মা। তবে এবার পানি ব্যবসায়ী শেনশেনের কাছে মুকুট হারাতে হয়েছে তাকে। যদিও বাজার বিশেষজ্ঞদের মতে, শীঘ্রই পুরনো রাজত্ব ফিরে পেতে পারেন আলিবাবার কর্ণধার। -দ্য স্ট্রেইট টাইমস
×