ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

প্রতিষ্ঠানের মূল্যায়নে অষ্টমের শিক্ষার্থীরা নবমে উত্তীর্ণ হবে

প্রকাশিত: ২২:৪৬, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২০

প্রতিষ্ঠানের মূল্যায়নে অষ্টমের শিক্ষার্থীরা নবমে উত্তীর্ণ হবে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ অষ্টম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় মূল্যায়ন করে নবম শ্রেণীতে উত্তীর্ণ করবে। বৃহস্পতিবার ঢাকা শিক্ষাবোর্ডে বোর্ড চেয়ারম্যানদের সঙ্গে বৈঠকের পর তিনি এসব কথা জানান। আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মু. জিয়াউল হক বলেছেন, ডিসেম্বর পর্যন্ত সিলেবাসের যেটুকু পড়ানো হবে সে অনুযায়ী স্ব-স্ব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করবে। জেএসসি পরীক্ষা এবার অনুষ্ঠিত হচ্ছে না। এই পরিস্থিতে বার্ষিক পরীক্ষা স্ব-স্ব প্রতিষ্ঠানে নেয়ার পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু করোনা পরিস্থিতিতে সব কিছুই পাল্টে গেছে। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে অষ্টম শ্রেণীর মূল্যায়ন ও পরবর্তী শ্রেণীতে উত্তীর্ণের বিষয়ে শিক্ষাবোর্ডগুলোর চেয়ারম্যানদের নিয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে অধ্যাপক জিয়াউল হক বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নিজস্ব প্রক্রিয়ায় শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করে পরবর্তী শ্রেণীতে উত্তীর্ণ করবে। মূল্যায়ন প্রক্রিয়া সঠিকভাবে করতে পারে সেজন্য আমরা একটা গাইডলাইন তৈরি করে দেব। পরীক্ষা উন্নয়ন ইউনিটের মাধ্যমে গাইডলাইন তৈরি করা হবে। সেই গাইডলাইন অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করে পরবর্তী শ্রেণীতে উত্তীর্ণ করা হবে। কবে নাগাদ গাইডলাইন দেয়া হবে জানতে চাইলে অধ্যাপক জিয়াউল বলেন, গাইডলাইন করতে কিছুটা সময় লাগবে। গাইডলাইনে একটি প্রাথমিক প্রিন্সিপ্যাল তৈরি করেছি। গত ১৫ মার্চ পর্যন্ত শ্রেণী কার্যক্রম চলেছে। এই পর্যন্ত এবং টেলিভিশন ও অনলাইনে শ্রেণী কার্যক্রম চলছে, এছাড়া যদি যেকোন মাসে যদি ক্লাস করানোর সুযোগ তৈরি হয়, সেই সময় ডিসেম্বর পর্যন্ত যতটুকু পড়ানো হয়েছে, তার ভিত্তিতে মূল্যায়ন করা হবে। অধ্যাপক জিয়াউল হক বলেন, যেইটুকু পড়ানো সম্ভব হবে না, সেইটুকু আমরা পরবর্তী শ্রেণীতে লিংকআপ করে দেব। লিংআপ করে দেব এভাবে, নবম শ্রেণীতে ক্লাস শুরু করবে তখন অষ্টম শ্রেণীর যে অংশ পড়ানোর প্রয়োজন হবে সে অংশ টেকভার করতে পারে। নবম শ্রেণীর জন্য অষ্টম শ্রেণীর যে অংশ অতিপ্রয়োজনীয় সেই অংশটুকু আমরা নবম শ্রেণীতে শিক্ষক যাতে শেষ করান। সেজন্য নির্দেশনা দেয়া হবে। শিক্ষার্থীদের সরাসরি না অনলাইনে মূল্যায়ন করা হবে জানতে চাইলে অধ্যাপক জিয়াউল বলেন, যদি ক্লাসরুমে সম্ভব হয় ক্লাস রুমে হবে, যদি অনলাইনে মূল্যায়ন করা যায় মূল্যায়ন হবে, যদি অনলাইনে মূল্যয়ন করা না যায়, তাহলে শিক্ষকরা তো শিক্ষার্থীদের জানেন, তাদের আগের যে এসেসমেন্ট রয়েছে তার ভিত্তিতে মূল্যায়ন করা যাবে। মূল্যায়ন করার জন্য সুনির্দিষ্ট পদ্ধতি আমরা এই মুহূর্তে বলতে পারছি না। সেটি পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করছে। তবে মূল্যায়ন হবে। প্রতিষ্ঠান খোলা গেলে পরীক্ষা হবে কিনা জানতে চাইলে অধ্যাপক জিয়াউল বলেন, যদি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা যায়, আমাদের শিক্ষার্থীরা যদি ক্লাসে ফেরত আসতে পারে, তাহলে তো পরীক্ষা (স্ব-স্ব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে) হতেই পারে। যদি তা না হয়, তাহলে যেসব প্রতিষ্ঠান অনলাইনে পরীক্ষা নিতে পারবে (অনেক প্রতিষ্ঠান এখন অনলাইনে পরীক্ষা নিতে পারে) নেবে, যার যা সামর্থ্য অনুযায়ী নেবে। একাদশের মূল্যায়নের বিষয়ে জানতে চাইলে অধ্যাপক জিয়াউল হক বলেন, একাদশ শ্রেণীর ক্ষেত্রে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নিজস্ব পদ্ধতিতে মূল্যায়ন করে পরবর্তী ক্লাসে তুলে দেবে। অধ্যাপক জিয়াউল বলেন, ষষ্ঠ এবং সপ্তম শ্রেণীর বিষয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর নিশ্চয় গাইডলাইন দেবে। নবম শ্রেণীর ক্ষেত্রে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সেভাবেই নিজস্ব প্রক্রিয়ায় মূল্যায়ন করে পরবর্তী শ্রেণীতে উত্তীর্ণ করবে। নবম ও দশম মিলেই একটি সিলেবাস। সিলেবাসের একটি অংশ নবম শ্রেণীতে পাঠদান করা হয়, আরেকটি অংশ দশম শ্রেণীতে পাঠদান করা হয়। সেক্ষেত্রে সমস্যা নেই। নবম শ্রেণীতে যে পাঠদান বাকি আছে তা দশম শ্রেণীতে পাঠদান করানো হবে।
×