জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ যুক্তরাষ্ট্রে করোনাভাইরাসের সম্ভাব্য ভ্যাকসিনের ট্রায়াল শুরু করেছে বৃহত্তম ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি জনসন এ্যান্ড জনসন। মডার্না, বায়োটেক এবং ফাইজারের পর যুক্তরাষ্ট্রে বড় পরিসরে ট্রায়াল শুরু করেছে প্রতিষ্ঠানটি। খবর সিএনএনের।
ওয়ার্ল্ডোমিটারের মতে, বিশ্বজুড়ে করোনায় বৃহস্পতিবার পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন তিন কোটি ২৩
লাখ ৬ হাজার ৯১৩ জন। মারা গেছেন ৯ লাখ ৮৫ হাজার ২২৪ জন। সুস্থ হয়েছেন দুই কোটি ৩৮ লাখ ২০ হাজার ১৪৭ জন। এখনও চিকিৎসাধীন আছেন ৭৪ লাখ ৪৬ হাজার ৯৮১ জন। যাদের মধ্যে ৬২ হাজার ৩৮৫ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
এদিকে জনসনের ভ্যাকসিন গ্রুপের চীফ সায়েন্টিফিক অফিসার পল স্টোফেলস জানিয়েছেন, ট্রায়ালে প্রায় ৬০ হাজার স্বেচ্ছাসেবী অংশ নেবেন। তৃতীয় ধাপের এই পরীক্ষা থেকে জানা যাবে ভ্যাকসিনটি কতটা কার্যকরী ও নিরাপদ। এছাড়া চলতি বছরের শেষের দিকেই এই ফল চলে আসবে এবং আগামী বছর এই ভ্যাকসিনের ১ বিলিয়ন ডোজ উৎপাদন করা যাবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন তিনি। যুক্তরাষ্ট্রে আরও তিনটি ভ্যাকসিন চলতি গ্রীষ্মের শুরুতেই তাদের ট্রায়াল শুরু করেছে। তবে জনসনের তৈরি সম্ভাব্য ভ্যাকসিনটি অন্যদের চেয়ে আলাদা। এর কয়েকটি সুবিধা রয়েছে যা এটি নিরাপদ এবং কার্যকর প্রমাণিত হলে প্রশাসনিক পরিচালনা এবং বিতরণ করা আরও সহজ করে তুলতে পারে। করোনার এই সম্ভাব্য ভ্যাকসিনের একটি শটেই রোগ প্রতিরোধ শক্তি তৈরি হবে বলে দাবি করেছেন বিজ্ঞানী পল। তিনি বলছেন, জনসনের বানানো ভ্যাকসিনের একটি ডোজই দেয়া হবে স্বেচ্ছাসেবীদের। আর এই ডোজের মাত্রা এমনভাবেই ঠিক করা হয়েছে যাতে একটি শটেই শরীরে পর্যাপ্ত এ্যান্টিবডি তৈরি হয়। তিনি বলেন, এই ডোজে রক্তের টি-লিম্ফোসেইট কোষও সক্রিয় হবে। এই টি-কোষ সংক্রমিত কোষকে নষ্ট করে দিতে পারে। টি-কোষ এ্যাকটিভ হলে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
ভারতে আরও ১১২৯ মৃত্যু ॥ করোনা মহামারীতে এশিয়ায় সবচেয়ে বিপর্যস্ত রাষ্ট্র ভারত। গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে করোনা আক্রান্ত হয়ে এক হাজার ১২৯ জন মারা গেছেন। দেশটিতে এখন পর্যন্ত এ রোগে মারা গেছেন ৯১ হাজার ১৪৯ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ৮৬ হাজার ৫০৮ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়েছে।