ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ডিআইজি মিজানের সম্পদের মামলায় অভিযোগ গঠন ৩০ সেপ্টেম্বর

প্রকাশিত: ১৩:৩৯, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২০

ডিআইজি মিজানের সম্পদের মামলায় অভিযোগ গঠন ৩০ সেপ্টেম্বর

অনলাইন রিপোর্টার ॥ সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় পুলিশের বরখাস্তকৃত উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমানসহ চারজনের মামলায় অভিযোগ গঠন শুনানি পিছিয়েছে। বৃহস্পতিবার এ মামলায় চার আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন শুনানির দিন ধার্য ছিল। তবে আসামিপক্ষের আইনজীবীদের সময় আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার ষষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতের বিচারক আল আসাদ মো. আসিফুজ্জামান তা পিছিয়ে ৩০ সেপ্টেম্বর নির্ধারণ করেছেন। এ মামলার আসামিরা হলেন— ডিআইজি মিজানুর রহমান, মিজানের স্ত্রী সোহেলিয়া আনার রত্না, ছোট ভাই মাহবুবুর রহমান ও ভাগ্নে মাহমুদুল হাসান। এর মধ্যে মিজানের স্ত্রী সোহেলিয়া আনার রত্না ও ছোট ভাই মাহবুবুর রহমান পলাতক। কারাগারে থাকা ডিআইজি মিজান ও তার ভাগ্নে মাহমুদুল হাসানকে আদালতে হাজির করা হয়। এদিন মাহমুদুল হাসানের আইনজীবী জামিন আবেদন করেন। বিচারক এ বিষয়ে পরবর্তী ধার্য তারিখে আদেশের জন্য রেখেছেন। গত ২ সেপ্টেম্বর মামলাটি এ আদালতে বিচারের জন্য বদলির আদেশ দেন ঢাকার মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কে এম ইমরুল কায়েশ। ওইদিনই এ মামলায় পলাতক দুই আসামি মিজানের স্ত্রী সোহেলিয়া আনার রত্না ও ছোট ভাই মাহবুবুর রহমানকে হাজিরে গেজেট বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর মামলাটি বিচারের জন্য প্রস্তুত হওয়ায় বদলির এ আদেশ দেন। একইসঙ্গে বদলি আদালতে অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য ২৪ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করা হয়। গত ৯ ফেব্রুয়ারি তাদের বিরুদ্ধে দাখিল করা অভিযোগপত্র গ্রহণ করে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। পরোয়ানা তামিল না হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে গেজেট বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের আদেশ হয়। ২০১৯ সালের ২৪ জুন ৩ কোটি ৭ লাখ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন ও ৩ কোটি ২৮ লাখ টাকা অবৈধভাবে অর্জনের অভিযোগে মিজানসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। গত বছর ১ জুলাই শাহবাগ থানা পুলিশ মিজানকে গ্রেফতার করে। পরদিন ঢাকার সিনিয়র স্পেশাল জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালতে হাজির করা হয় তাকে। এরপর তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠান বিচারক। ওই মামলার বর্ণিত সম্পদের বিষয়ে অনুসন্ধানকালে দুদক কর্মকর্তা এনামুল বাছিরকে ৪০ লাখ টাকা ঘুষ দেওয়ার কথা নিজে গণমাধ্যমে প্রকাশ করে নতুন করে আলোচনায় ডিআইজি মিজান। পরে ঘুষ লেনদেনের বিষয়েও মামলা হয়। সেই মামলাটি বিচারের জন্য চার নম্বর বিশেষ জজ আদালতে বদলি করা হয়েছে।
×