ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

তিস্তা বিপদসীমার ২৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে

প্রকাশিত: ১২:৪৮, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২০

তিস্তা বিপদসীমার ২৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে

স্টাফ রিপোর্টার, নীলফামারী ॥ বর্ষা শেষে আশ্বিনের অকাল বন্যা দেখা দিয়েছে নীলফামারীর তিস্তা নদীতে।অতিবৃষ্টি ও উজানের ঢলে আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়া পয়েন্টে বিপদসীমার ২৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এতে জেলার ডিমলা ও জলঢাকা উপজেলার ১৫টি চর ও নদীর তীরবর্তী গ্রামের প্রায় ১৫ হাজার পরিবারের বসতবাড়িতে পানি প্রবেশ করেছে। এক দিকে উজানের ঢল, অন্যদিকে অবিরাম বর্ষনে ওই সকল এলাকার মানুষজন চরম দুর্ভোগে পড়েছে। এদিকে উজানের ঢল সামাল দিতে তিস্তা ব্যারাজের ৪৪ টি জলকপাট খুলে রাখা হয়েছে বলে জানান পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পানি পরিমাপক) সহকারী প্রকৌশলী এএসএম আমিনুর রশিদ। সুত্র মতে গতকাল বুধবার সকাল থেকে তিস্তার পানি প্রবাহ স্বাভবিকগতিতেই প্রবাহিত হচ্ছিল।সন্ধ্যা ৬টায় তা বিপদসীমা (৫২.৬০) অতিক্রম করে ১২ সেন্টেমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত থাকে। রাত ৯টায় আরও বৃদ্ধি পেয়ে ২০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয় পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকে। জনপ্রতিনিধিরা জানান,পানি প্রবাহ বেড়ে যাওয়ায় তিস্তা নদীর তীরবর্তী জেলার ডিমলা উপজেলার পূর্বছাতনাই, খগাখড়িবাড়ি, গয়াবাড়ি, টেপাখড়িবাড়ি, খালিশাচাঁপানী ও ঝুনাগাছ চাঁপানী এবং জলঢাকা উপজেলার গোলমুন্ডা, ডাউয়াবাড়ি ও শৌলমারী সহ ৯টি ইউনিয়নের তিস্তা তীরবর্তী গ্রাম ও চরে বসবাসরত মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। ঝুনাগাছ চাপানি ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুর রহমান বলেন, ছাতুনামা ভেন্ডাবাড়ী ও ফরেস্টের চরের ৫ শতাধিক পরিবারের বসতবাড়িতে বন্যার পানি প্রবেশ করেছে। কোথাও কোথাও হাঁটু থেকে কোমর পানিতে তলিয়ে গেছে এসব পরিবারের বসতবিটা। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে।টেপাখড়িবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ময়নুল হক জানান, তিস্তার পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করায় আমার ইউনিয়নের আটটি গ্রাম বন্যার ঝুঁকিতে রয়েছে। এসব গ্রামের পরিবারগুলোকে সতর্কাবস্থায় রাখা হয়েছে। ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম বলেন, অতিবৃষ্টি ও উজানের ঢলে তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে আজ বৃহ¯পতিবার সকাল ৬ টা থেকে নদীর পানি বিপদসীমার ২৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বন্যা নিয়ন্ত্রণে ব্যারাজের সবকটি গেট খুলে রাখা হয়েছে।
×