ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

লঘুচাপ ॥ সাগর অশান্ত, বন্দরে পণ্য লাইটারিং ব্যাহত

প্রকাশিত: ২৩:১৮, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২০

লঘুচাপ ॥ সাগর অশান্ত, বন্দরে পণ্য লাইটারিং ব্যাহত

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস ॥ লঘুচাপের প্রভাবে সাগর উত্তাল থাকায় চট্টগ্রাম বন্দর বহির্নোঙ্গরে পণ্য লাইটারিং ব্যাহত হচ্ছে। বুধবার দিনের অর্ধেক সময় লাইটার জাহাজ তেমন চলাচল করতে পারেনি। দুপুরের পর পরিস্থিতি কিছুটা অনুকূলে আসার পর সীমিত পরিসরে কাজ শুরু হয়। একই কারণে বন্ধ রয়েছেসাগরে মাছ শিকার। কর্ণফুলীর তীরে অলস সময় অতিবাহিত করছে মাছ ধরার নৌকাগুলো। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মোঃ ওমর ফারুক জনকণ্ঠকে জানান, জেটিতে কন্টেনার ওঠানামা স্বাভাবিক থাকলেও বহির্নোঙ্গরে পণ্য লাইটারিং ব্যাহত হচ্ছে। সবচেয়ে বেশি ভোগাচ্ছে বৃষ্টি। কারণ, বৃষ্টির কারণে জাহাজের হ্যাচ খোলা সম্ভব হয় না। বুধবার বিকেল থেকে সতর্কতার সঙ্গে লাইটারিং কাজ পরিচালিত হচ্ছে। সাগর অশান্ত থাকায় সেখানে ছোট জাহাজগুলো গমনাগমন ঝুঁকির মুখে পড়েছে। তিস্তার পানি বিপদসীমার ওপরে স্টাফ রিপোর্টার নীলফামারী থেকে জানান, অবিরাম ভারি বর্ষণ ও উজানের পাহাড়ী ঢলে তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমার ১২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বুধবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে নীলফামারীর ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তা বিপদসীমা অতিক্রম করে। সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় তিস্তা নদীতে ভয়াবহ বন্যার আশঙ্কা করা হচ্ছে। তিস্তা বিপদসীমা অতিক্রম করায় নীলফামারী জেলার তিস্তা তীরবর্তী নিমাঞ্চল বন্যায় প্লাবিত হয়ে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে শত শত পরিবার। এতে লোকজনের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পানি পরিমাপক) সহকারী প্রকৌশলী এএসএম আমিনুর রশিদ বলেন, উজানের পাহাড়ী ঢল ও অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণে বুধবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে দেশের বৃহত্তম সেচপ্রকল্প তিস্তা ব্যারাজ ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫২ দশমিক ৭২ মিটার। যা (স্বাভাবিক ৫২ দশমিক ৬০ সেন্টিমিটর) বিপদসীমার ১২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হলেও পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। এতে ভয়াবহ বন্যার আশঙ্কা করা হচ্ছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে তিস্তা ব্যারাজের ৪৪টি জলকপাট খুলে রাখা হয়েছে।
×