ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ইসমাইল হোসেন লোটাস

আশায় বসতি

প্রকাশিত: ২১:১০, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২০

আশায় বসতি

আমার জানা কয়েকজন প্রবাসী কারো ভিসার মেয়াদ শেষ, কারো মেয়াদ থাকলেও টিকেট করতে পারছে না, আবার যারা পারছে তাদের গুণতে হচ্ছে কয়েকগুণ বেশি ভাড়া। আবার টিকেট কেটেও পড়তে হচ্ছে করোনা নেগেটিভ সার্টিফিকেট বিড়ম্বনায়। আবার কখনো কখনো টিকেট করেও যেতে পারছে না প্রবেশ বন্ধ করে দেওয়ায়। সম্প্রতি বাংলাদেশ সহ ২৫ টি দেশের নাগরিকদের সৌদি আরবে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে বলে ঘোষণা দেওয়া হয়। কিছুটা আশার আলো দেখে দেশে আসা সৌদি প্রবাসীরা আর সেই আশায় কয়েকগুণ বেশি ভাড়া দিয়ে টিকেট কাটে অনেকে। কেউ কেউ ঋণ করে টিকেট কাটে। কিন্তু শোনা যাচ্ছে কোন এয়ারলাইনসে প্রবাসী ফিরিয়ে নেয়া হবে তা নিয়ে শঙ্কা দেখা দেয়, আর এই শঙ্কার কারণে আবার বন্ধ করে দেয়া হয় বাংলাদেশের সকল ফ্লাইট। ফলে কর্মস্থলে যাওয়া নিয়ে আবারও অনিশ্চয়তায়। বহুদেশে বর্তমান করোনার প্রকোপের কারণে বন্ধ হয়ে গেছে বহু বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান, হোটেল মোটেল ফলে চাকরি হারানোর সম্ভাবনা ৩ লাখের মতো কর্মী। তারা চাকরি হারালে পাড়ি জমাবেন দেশে আর এ অবস্থায় পরিবারের দুশ্চিন্তা আর উদ্বিগ্নতা কাটছে না। আর এই উদ্বেগ শুধু পরিবারের না, সমাজ তথা গোটা বাংলাদেশের। ব্রাকের মাইগ্রেশান প্রোগ্রামের তথ্যে পাওয়া যায় প্রতি মাসে নতুন প্রবাসে যেতো প্রায় ৫০ হাজার কর্মী, গত ছয় মাসে ৩ লাখ কর্মী যেতে পারেনি প্রবাসে। ফলে দুশ্চিন্তায় দিন কাটছে তরুণদের। প্রবাসী আয় বাংলাদেশের অর্থনীতির অন্যতম হাতিয়ার। করোনাভাইরাসের কারণে ধ্বসে পড়ছে এই আয়। বিশ্ব ব্যাংক বলছে এবছর বাংলাদেশে প্রবাসি আয় অনেক কমে যাবে। সুতরাং বাংলাদেশ প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ে যথাযথ উদ্যোগ নেয়া হবে এই আশায় বসে আছে বাংলাদেশের প্রবাসী ও তাদের পরিবার। শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট থেকে
×