অনলাইন ডেস্ক ॥ কুর্মিটোলা বাসস্টপে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্রী ধর্ষণের মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষক ও ভুক্তভোগী ছাত্রীর দুই বান্ধবী।
আজ বুধবার ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭-এর বিচারক মোসাম্মৎ কামরুন্নাহারের আদালতে সাক্ষ্য দেন তারা।
সাক্ষ্য দেওয়া তিনজন হলেন— ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সামিনা লুৎফা ও ভুক্তভোগীর দুই বান্ধবী। এদের মধ্যে এই অধ্যাপক ভুক্তভোগীকে চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। এরপর আসামিপক্ষের আইনজীবী তাদের জেরা করেন।
গত ২০ সেপ্টেম্বর ভুক্তভোগী ছাত্রীর বাবার সাক্ষ্যের মধ্য দিয়ে এই মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। পরদিন ভুক্তভোগী ছাত্রী ধর্ষক হিসেবে মজনুকে শনাক্ত করেন। তাই সবমিলিয়ে এই মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে ৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হলো।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর আফরোজা ফারহানা আহমেদ (অরেঞ্জ) ও আসামিপক্ষে রবিউল ইসলাম শুনানি করেন।
গত ২৬ আগস্ট এই মামলার একমাত্র আসামি মজনুর বিচার শুরু হয়েছে। ওইদির তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর নির্দেশ দেন আদালত।
গত ১৬ মার্চ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির পরিদর্শক আবু বকর সিদ্দিক অভিযোগত্র দাখিল করেন। মামলাটি বিচারের জন্য প্রস্তুত হওয়ায় ওইদিনই ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নিভানা খায়ের জেসি বিচারের জন্য তা সপ্তম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে বদলির আদেশ দেন।
এরপর গত ১৬ আগস্ট একই আদালত এই মামলার অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে চার্জ গঠনের জন্য ২৬ আগস্ট দিন ধার্য করেন।
অভিযোগপত্রে মজনুকে একমাত্র আসামি করা হয়েছে। আর রাষ্ট্রপক্ষে সাক্ষী করা হয়েছে ১৬ জনকে। ভুক্তভোগীর পোশাক ও মোবাইল ফোনসহ ২০টি আলামত জমা দেওয়া হয়েছে অভিযোগপত্রের সঙ্গে।
এই মামলায় গ্রেফতার মজনু গত ১৬ জানুয়ারি ফৌজদারী কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। জবানববন্দিতে একাই ঘটনার সঙ্গে জড়িত বলে জানান মজনু।
গত ৫ জানুয়ারি সন্ধ্যা সাতটার দিকে কুর্মিটোলা বাসস্টপে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস থেকে নামার পর ওই ছাত্রীকে মুখ চেপে পার্শ্ববর্তী একটি স্থানে নিয়ে যায় অজ্ঞাত ব্যক্তি। সেখানে তাকে অজ্ঞান করে ধর্ষণ ও শারীরিক নির্যাতন করা হয়।