ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

৫৮ দেশ সফরে ৫১৭ কোটি ব্যয় করেছেন মোদি

প্রকাশিত: ১১:১২, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২০

৫৮ দেশ সফরে ৫১৭ কোটি ব্যয় করেছেন মোদি

অনলাইন ডেস্ক ॥ গত পাঁচ বছরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিদেশ সফরের পেছনে সরকারের খরচ হয়েছে ৫১৭ কোটি টাকা। সরকারি এক রিপোর্টে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। ২০১৫ সাল থেকে এ পর্যন্ত নরেন্দ্র মোদি ৫৮টি দেশে সফর করেছেন। এসব সফর বাবদই এই অর্থ খরচ হয়েছে। মঙ্গলবার রাজ্যসভায় প্রধানমন্ত্রীর বিদেশ সফর বাবদ খরচের বিষয়টি লিখিত ভাবে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ভি মুরলীধরণ। তিনি জানান, মোদির বিদেশ সফরে এ পর্যন্ত খরচের পরিমাণ ৫১৭ দশমিক ৮২ কোটি টাকা। গতে পাঁচ বছরে নরেন্দ্র মোদি আমেরিকা, রাশিয়া ও চীনে পাঁচবার করে সফর করেছেন। এছাড়া সিঙ্গাপুর, জার্মানি, ফ্রান্স, শ্রীলঙ্কা ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে গেছেন একাধিকবার। এর মধ্যে কোনও কোনও সফরে একসঙ্গে একাধিক দেশে গিয়েছেন। আবার কয়েকটি সফর ছিল দ্বিপাক্ষিক। ২০১৯ সালের ১৩ ও ১৪ নভেম্বর দু'দিনের সফরে ব্রাজিলে গিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদি। এখন পর্যন্ত ব্রাজিলই তার শেষ বিদেশ সফর। বিশ্বজুড়ে করোনা সংকটের কারণে গত কয়েক মাসে বিদেশ সফর করেননি। ব্রিকসের (ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন, দক্ষিণ আফ্রিকা) সম্মেলনে যোগ দিতেই মোদি ব্রাজিলে গিয়েছিলেন। গত মার্চে লোকসভায় প্রধানমন্ত্রীর বিদেশসফর নিয়ে একটি পরিসংখ্যান দিয়েছিলেন মুরলীধরণ। তাতে উল্লেখ ছিল, মোদির বিদেশ সফরে ২০১৫-১৬ সালে ১২১ কোটি ৮৫ লাখ, ২০১৬-১৭ সালে ৭৮ কোটি ৫২ লাখ, ২০১৭-১৮ সালে ৯৯ কোটি ৯০ লাখ, ২০১৮-১৯ সালে ১০০ কোটি ২ লাখ এবং ২০১৯-২০ সালে ৪৬ কোটি ২৩ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। নরেন্দ্র মোদি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর থেকেই ঘন ঘন বিদেশ সফর করেছেন। যা নিয়ে একটা সময় পর্যন্ত বিরোধীরা মোদিকে কটাক্ষও করেছেন। তার এই বিদেশ সফরে দেশের কী লাভ হয়েছে তা নিয়ে নানা সময়ে বিরোধীরা প্রশ্নও তুলেছেন। তবে মুরলীধরণের দাবি, মোদির সফরে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে ভারতের নানা বিষয়ে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর দাবি অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির এই বিদেশ সফরের কারণে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে ব্যবসায়িক সম্পর্ক ভালো হয়েছে। ভারতে বিদেশি বিনিয়োগের পরিমাণ বেড়েছে। বিভিন্ন দেশের সঙ্গে তথ্যপ্রযুক্তি, মেধা, মহাকাশ ও প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত বিষয়ে যৌথ উদ্যোগে অনেক কাজও শুরু হয়েছে। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক দৃঢ় হওয়ার পাশাপাশি আঞ্চলিক ও বিশ্বের বিভিন্ন ইস্যুতে ভারতের মনোভাবের বিষয়ে বার্তা পৌঁছেছে অন্য দেশগুলোর কাছে। ফলে ভারতের উন্নয়ন সংক্রান্ত ইস্যুর পাশাপাশি দেশের নাগরিকদের অর্থনৈতিক অবস্থা ও স্বাচ্ছন্দ্যের ক্ষেত্রে কিছুটা হলেও পরিবর্তন এসেছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
×