ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ঢাকা স্পা সেন্টার সম্পর্কে তথ্য পেতে এক মালিককে জিজ্ঞাসাবাদ

প্রকাশিত: ২৩:৫৯, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২০

ঢাকা স্পা সেন্টার সম্পর্কে তথ্য পেতে এক মালিককে জিজ্ঞাসাবাদ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ঢাকা স্পা সেন্টার সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট তথ্য পেতে গ্রেফতারকৃত এক মালিককে রাতভর জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ। তাকে রিমান্ডে নিয়ে এমন বেআইনী ও অনৈতিক কর্মকা-ে কারা কিভাবে জড়িত তা জানতে চায় পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলো। ঢাকার স্পা সেন্টারগুলোতে সাঁড়াশি অভিযান অব্যাহত রাখার নির্দেশনা জারি করেছেন ডিএমপি কমিশনার মোহাঃ শফিকুল ইসলাম। গত রবিবার ঢাকার অভিজাত ও কূটনৈতিক পাড়া হিসেবে খ্যাত গুলশান-২ এর ১০৫ নম্বর রোডের একটি বাসায় এ্যাপেল থাই স্পা সেন্টারে অভিযান চালায় পুলিশ। বেআইনীভাবে ব্যবসা এবং অনৈতিক কর্মকা-ে জড়িত থাকার দায়ে গ্রেফতার করা হয় ১২ পুরুষ ও ১৬ নারীকে। পুলিশের গুলশান বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) সুদীপ কুমার চক্রবর্তী জানান, স্পা সেন্টারে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে বিভিন্ন বয়সী নারীদের একত্রিত করে দেহ ব্যবসা পরিচালনা, যৌন কর্মকা- ও নিপীড়নমূলক কাজ করানো হতো। অভিযানে স্পার নামে এই সেন্টারে অসামাজিক কাজে ব্যবহারের প্রমাণ পাওয়া যায়। গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে গুলশান থানায় মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনে মামলা করেন গুলশান থানার এসআই মোঃ ওলিয়ার রহমান। গ্রেফতারকৃতদের রাতভর জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। স্পা সেন্টারটির কার্যকলাপ নিয়ে বিস্তারিত তথ্য জানতে প্রতিষ্ঠানটির মালিক ও ম্যানেজারকে রিমান্ডে নেয়ার প্রস্তুতি চলছে। সূত্র বলছে, দেশের কোন কোন অঞ্চল থেকে কীভাবে মেয়েদের আনা হয়েছে তা জানতে চাওয়া হয়। কতদিন ধরে এটা চলছে, কারা কারা আসতেন, তাদের আয়-ব্যয় তথ্যও জানতে চাওয়া হয়। সেই সঙ্গে ব্ল্যাকমেইলের কোন ঘটনা ঘটত কিনা সে বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়েছে। গুলশান থানার ওসি আবুল হাসান জানান, মালিক ও ম্যানেজারের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। অন্যদের কারাগারে রাখার জন্য আদালতে আবেদন করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, প্রায়ই গুলশানের স্পা সেন্টারগুলোতে অভিযান চালানো হয়। গ্রেফতারও হয়। তারপর তাদের আর মনিটরিংয়ের আওতায় আনা যায় না। কারণ তারা কারাগার থেকে জামিনে বেরিয়ে যায়। তারা স্থান পরিবর্তন করে আবারও স্পা সেন্টার খুলে বসে। এই অনৈতিক ব্যবসার কোন বৈধতা নেই। ঢাকায় শত শত স্পা সেন্টার আছে। যার অধিকাংশই অভিজাত এলাকার বাসা বাড়িতে অবস্থিত। বাইরে কোন সাইনবোর্ড নেই। থাকলেও চোখে পড়ার মতো নয়। স্পা সেন্টারের নামে চলে অসামাজিক কর্মকা-।
×