ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

জাহিদুল আলম জয়

আবারও বাফুফের মসনদে সালাউদ্দিন?

প্রকাশিত: ২৩:৩৩, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২০

আবারও বাফুফের মসনদে সালাউদ্দিন?

স্বাধীন বাংলাদেশের ফুটবলে সবচেয়ে বড় তারকা কাজী মোঃ সালাউদ্দিন। লাল-সবুজের জার্সি গায়ে দীর্ঘদিন মাঠ মাতানোর পর কোচ হিসেবেও ভাল করার চেষ্টা করেছেন। এরপর ২০০৮ সাল থেকে দায়িত্ব পালন করছেন বাংলাদেশের ফুটবলের অভিভাবক হিসেবে। ইতোমধ্যে তিন মেয়াদে টানা ১২ বছর বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। এবার চতুর্থবারের মতো বাফুফের প্রধান পদে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। আগামী ৩ অক্টোবর হবে বহুল আলোচিত বাফুফে নির্বাচন। নির্বাচনের ঠিক ১০ দিন আগে অনেকটাই স্পষ্ট হয়ে গেছে, এবারও মসনদে বসতে যাচ্ছেন সালাউদ্দিন। আগের তিন মেয়াদে দেশের ফুটবলে বলার মতো তেমন সাফল্য দিতে পারেননি। প্রতিবারই নির্বাচনের আগে দিয়েছেন একগাদা প্রতিশ্রুতি। এবারও তার ব্যতিক্রম করেননি। নির্বাচনী ইশতেহারে দিয়েছেন ৩৬টি প্রতিশ্রুতি। এর মধ্যে অন্যতম বাংলাদেশকে ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ে ১৫০ এর মধ্যে নিয়ে আসা। এর আগে ২০১৬ সালে সালাউদ্দিন বলেছিলেন ৪০ ফুটবলারকে ইউরোপে পাঠাবেন। তারও আগে ২০১২ সালে বলেছিলেন ২০২২ বিশ্বকাপে খেলবে বাংলাদেশ। এমন অবাস্তব (!) প্রতিশ্রুতি দেয়ায় তাঁর ব্যক্তি ইমেজের অনেক ক্ষতি হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন সংশ্লিষ্ট অনেকে। এরপরও এবারের নির্বাচনে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় আবারও সালাউদ্দিন বাফুফে সভাপতি হতে যাচ্ছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। নির্বাচনী অঙ্গীকারে ফুটবলকে সামনের দিকে এগিয়ে নেয়ার একাধিক পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন সালাউদ্দিন। এরমধ্যে রয়েছে জাতীয় ফুটবল দল, ঘরোয়া ফুটবল, মহিলা ফুটবল, উন্নয়ন প্রকল্প ও বিভিন্ন টেকনিক্যাল দিকগুলোর উন্নয়ন। শুরুতে জাতীয় দল নিয়ে নিজেদের আগামী দিনের পরিকল্পনা পড়ে শোনান বর্তমান সহসভাপতি ও জাতীয় টিমস কমিটির চেয়ারম্যান কাজী নাবিল আহমেদ। সেখানে অন্যান্য পদক্ষেপের পাশাপাশি জাতীয় ফুটবল দলের ফিফা র‌্যাঙ্কিং আগামী চার বছরের মধ্যে ১৫০-এর কাছাকাছি নেয়ার পরিকল্পনার কথা বলেন তিনি। ঘরোয়া ফুটবল নিয়ে আবাহনী লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশীদ কিছু পরিকল্পনার কথা তুলে ধরেন। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো প্রিমিয়ার লীগ, ফেডারেশন কাপ, স্বাধীনতা কাপ, চ্যাম্পিয়নশিপ লীগ এবং প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় বিভাগসহ পাইওনিয়ার লীগ। এ সবই আগের মতো আয়োজন করার ঘোষণা দেয়া হয়েছে। এছাড়া স্কুল ফুটবলসহ মেয়েদের লীগ ও অন্য বয়সভিত্তিক প্রতিযোগিতাও থাকছে। এমনকি বঙ্গবন্ধু জাতীয় ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ অনুষ্ঠিত হবে দেশব্যাপী, এ বিষয়টাকেও গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। আরও রয়েছে খেলোয়াড়দের নিবন্ধন কার্যক্রম ডিজিটালাইজড করার ঘোষণা। নতুন প্রতিযোগিতার মধ্যে জেলা ও বিভাগের দল নিয়ে সারাদেশে শেখ রাসেল অনুর্ধ-১০ ফুটবল প্রতিযোগিতা আয়োজনের প্রতিশ্রুতিও রয়েছে এই ইশতেহারে। সালাউদ্দিনের দাবি ২০১৬ সালের ইশতেহারের ৭৫ শতাংশ কাজ হয়েছে। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ওই ইশতেহার আমার দেয়া ছিল না। ইশতেহার তৈরির মিটিংয়ে আমি ছিলাম না। আমি অফিস থেকে যে ইশতেহার দিয়েছি, সেখানে অনেক কিছু যোগ করা হয়েছিল। ২৫ শতাংশ কাজ না হওয়ায় আমি খুবই দুঃখিত। তবে এখানে যা বলা হয়েছে, প্রায় তিন মাস রিসার্চ করে তা তৈরি করা হয়েছে। আগের প্রতিশ্রুতির মধ্যে সালাউদ্দিনের উল্লেখযোগ্য চাওয়া ছিল ২০২২ বিশ্বকাপ খেলা। এ নিয়ে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে বলে দাবি তার। ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ে নিচের দিকে থাকার ব্যাখ্যাও দিলেন সাবেক এই তারকা ফুটবলার। তিনি বলেন, বিশ্বকাপ খেলব বলিনি। কোয়ালিফাই করার চেষ্টা করব বলেছি। আমাকে তো টার্গেট নিয়ে এগুতে হবে। আমরা যখন দায়িত্ব নেই তখন বাংলাদেশের র‌্যাঙ্কিং ১৮০ ছিল। এখন ১৮৭। পেশাদার লিগে বিদেশি ফুটবলার খেলানো নিয়ে নিয়মের বিষয়ে ক্লাবগুলোর চাওয়াকে প্রাধান্য দেয়ার কথা বলেছেন চতুর্থবারের মতো বাফুফে সভাপতি হওয়ার লড়াইয়ে থাকা সালাউদ্দিন। ফুটবলের সোনালী অতীত নিয়ে সালাউদ্দিন বলেন, আগে মানুষ মাঠে খেলা দেখতে আসত। এখন আসে না। মেয়েদের ফুটবলের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেছেন বর্তমান মহিলা ফুটবল কমিটির চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার কিরণ। মহিলা ফুটবলের বার্ষিক সূচী প্রণয়ন করার পাশাপাশি বয়সভিত্তিক দলসহ জাতীয় দলকে আরও শক্তিশালী করে গড়ার অঙ্গীকার করা হয়েছে। তিনি সাফ মহিলা ফুটবল ও এসএ গেমস ফুটবলের শিরোপা জয়ের লক্ষ্য নিয়ে কাজ শুরু করার কথা বলেছেন। এরজন্য হাইপ্রোফাইল কোচিং স্টাফসহ আধুনিক প্রযুক্তির সবকিছুই করা হবে বলে জানিয়েছেন কিরণ। সহ-সভাপতি প্রার্থী আতাউর রহমান ভুঁইয়া মানিক আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামের সংখ্যা বৃদ্ধির কথা বলেছেন। পাশাপাশি অন্তত চারটি স্টেডিয়ামে আন্তর্জাতিক ফুটবল প্রতিযোগিতা আয়োজনের জন্য সেখানে সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি ও প্রিমিয়ার লীগ ভেন্যুর মানোন্নয়নে ভূমিকা রাখার কথাও বলেছেন তিনি। পাশাপাশি বাফুফের দুটি টার্ফের নতুন করে সংস্কার, মিডিয়া সেন্টার নির্মাণ ও বাফুফে ভবনে আধুনিক জিম স্থাপন। টেকনিক্যাল দিক নিয়ে আরেক সহসভাপতি প্রার্থী আমিরুল ইসলাম বাবু প্রতিটি বিভাগে আধুনিক ফুটবল সেন্টার নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছেন। এছাড়া বিভিন্ন ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম করার কথা বলেন তিনি। খেলোয়াড়দের বাছাই করে উন্নত প্রশিক্ষণের সুযোগ করে দেয়ার কথাও বলা হয়েছে এই ইশতেহারে। এছাড়া বেরাইদে বাফুফে-ফর্টিজ ফুটবল একাডেমির কার্যক্রম চলমান রাখার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন তিনি। আরেক সহসভাপতি প্রার্থী বসুন্ধরা কিংসের সভাপতি ইমরুল হাসান ফুটবলে তৃণমূলে জোর দেয়ার কথা বলেছেন। তেমন সফল না হলেও আবারও নির্বাচন করায় সালাউদ্দিনের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনা ও আন্দোলন গড়ে তোলার চেষ্টা চলছে। ভার্চুয়াল সেই আন্দোলন চলে এসেছে রাজপথেও। ‘সালাউদ্দিন হঠাও, ফুটবল বাঁচাও’, ‘দুর্নীতি হঠাও, ফুটবল বাঁচাও’, ‘আমরা কারোর বিরুদ্ধে নই, আমরা ফুটবলের পক্ষে’, ‘ফুটবলের সোনালি অতীত ফিরিয়ে আনতে হবে’, ‘সেভ ফুটবল’, ‘বয়কট সালাউদ্দিন’, ‘উই লাভ প্লেয়ার সালাউদ্দিন, বাট নট লাভ প্রেসিডেন্ট সালাউদ্দিন’, ‘সালাউদ্দিন নিপাত যাক, ফুটবল মুক্তি পাক’, ‘বিগত ১২ বছরের দুর্নীতির বিচার চাই’, ‘আমরাও একদিন ফুটবল বিশ্বের শক্তিশালী খেলুড়ে দেশ হতে চাই’, ‘সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে স্বাপ্নিক বন্ধন ও আন্দোলনের যাত্রা’ ... এরকম আরও স্লোগান সংবলিত ব্যানার ও পোস্টার নিয়ে সম্প্রতি জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভায় হাজির হয়েছিল প্রায় শ’খানেক ফুটবলপ্রেমী (এরা ৪/৫টি ফেসবুকভিত্তিক ফুটবল গ্রুপের সদস্য)। তারা এসেছিল ‘প্রজন্ম (ফুটবল, যাদের চেতনায় ও অস্তিত্বে) নামের একটি সংগঠনের ব্যানারে। এই সভায় যারা যোগ দেন তারা স্বাস্থ্যবিধি মেনে ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার চেষ্টা করেছেন। তাদের আমন্ত্রণ পেয়ে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভায় যোগ দেবেন সাবেক জাতীয় ফুটবলার কায়সার হামিদ। এছাড়া ফুটবলপ্রেমীদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ ও তাদের সমর্থন দিতে হাজির ছিলেন দেশের প্রখ্যাত আইনজীবী-ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন। তবে এসব সমালোচনাকে পাত্তা দিচ্ছেন না সালাউদ্দিন। তিনি এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমার ফেসবুক আইডি নেই। জানি আমাকে অনেকে গালিগালাজ করে। এক হাজার লোক আমাকে গালি দেয়ার পাশাপাশি নামটাও ভুল লিখেছে। কাজী সালাউদ্দিন আহমেদ লিখেছে! নাম তো একজন ভুল করতেই পারে। কিন্তু এক সঙ্গে হাজার মানুষ একইভাবে নাম ভুল করছে। অর্থাৎ একটি পক্ষই এসব নিয়ন্ত্রণ করছে। তাই আমি বলি এসব ভুল তথ্য।’ সালাউদ্দিন বলেন, ‘টিভিতে দেখলাম দাবি উঠেছে সালাউদ্দিনকে পদত্যাগ করতে হবে। নির্বাচনের বাকি মাত্র কয়েকদিন। আপনি কেন নির্বাচন করতে আসছেন না? আমি তো নির্বাচিত হয়েই এখানে এসেছি। আমি তো আমার নির্বাচন করছি। আপনি নির্বাচনে না এসে আমাকে পদত্যাগ করতে বলছেন। আপনি কে, আপনার যোগ্যতা কী? যদি এমন হতো আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আপনার সাংগঠনিক কোন বড় অবদান আছে, তাও মেনে নিতাম। গণমাধ্যমে এসে গালাগালি করলেন। কিন্তু গণমাধ্যমও তার কথা তুলে ধরছে, যা ভিত্তিহীন। আমি যদি অর্থমন্ত্রীকে নিয়ে সমালোচনা করি। তাহলে দেখতে হবে অর্থনীতিতে আমার জ্ঞান কতটুকু। যারা আমাকে গালি দিচ্ছে, বলছে পদত্যাগ করতে তাদের যোগ্যতা কী? ফুটবলে আমার ৫০ বছরের অভিজ্ঞতা। খেলোয়াড়, কোচ ও সংগঠক হিসেবে কাজ করছি।’ গত ১২ বছরে জাতীয় দলের ম্যাচ জয়ের সংখ্যা খুবই কম। চতুর্থবারের মতো সভাপতি পদে জয়ী হলে কোন কোন বিষয়ে আমূল পরিবর্তন আনতে চান? সালাউদ্দিনের ভাষ্য, ‘দেশ স্বাধীন হয়েছে প্রায় ৫০ বছর। আমরা সময়টাকে সোনালি অতীত বলি। মাঠে দর্শক ছিল। তখন কিন্তু ঢাকায় জাতীয় দল আসত না। ক্লাবগুলো আসত। আমরা দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে জিতেছি প্রেসিডেন্ট গোল্ডকাপ। বিষয়টি গৌরবের হলেও আমরা আসলে দেশটির একটি বিশ্ববিদ্যালয় দলের বিপক্ষে জিতেছিলাম। এখন আমরা কোরিয়ান জাতীয় দলের বিপক্ষে মাঠে নামি। গত ৪০ বছরের মধ্যে ৫ শতাংশ বেশি জয় রয়েছে আমার সময়ে। আমাদের সবার স্বপ্ন দল ভাল করুক। জাতীয় দলে আমি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেই। কোচিং স্টাফকেই কয়েক কোটি টাকা বেতন দিচ্ছি। আমাদের সময় এগুলো ছিল না। আগে ম্যাচের আগের দিন বিদেশ পৌঁছতাম। এখন সাত/আটদিন আগে পৌঁছে যাই। প্রস্তুতি ক্যাম্প গ্রহণ করি। আমরা আমাদের পক্ষ থেকে সেরাটা দেয়ার চেষ্টা করছি। খেলোয়াড়দের ভাল করতে হবে। গণমাধ্যমেরও ভূমিকা রয়েছে। আমি সভাপতি, তবে ফুটবলকে এগিয়ে নিতে পুরো দেশকে এক কাতারে দাঁড়াতে হবে। আমি কোন চমক দেখাতে আসিনি। ১২ বছর ধরে ১১টা লীগ হয়েছে। সব খেলাধুলা নিয়মিত হচ্ছে। প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় বিভাগ লীগ নিয়মিত হচ্ছে। সব জায়গায় খেলা হচ্ছে। একটা বেজ তৈরি হয়ে গেছে। একটা ৩০-৩২ তলা বিল্ডিং করতে ফাউন্ডেশন তৈরি করতে হয়। আমার এই সময়টা লেগেছে ফাউন্ডেশন তৈরি করতে। এখন সময় হয়েছে ৩০ তলা বিল্ডিং তৈরি করার। খেলোয়াড়রা এখন দামী গাড়ি চালায়। আগে ১/২ লাখ টাকা পেত। এখন ৬০/৭০ লাখ টাকা পায়। আমার নিয়ত হচ্ছে লীগের যে মান, সেটাকে দিনের পর দিন আরও বড় করে তোলা।’ নিজের সময়কালকে সফল দাবি করেছেন সালাউদ্দিন। বাদল রায়, তরফদার রুহুল আমিনকে চাপ প্রয়োগ করে সরিয়ে দেননি বলেও দাবি করেছেন। বরং প্রতিপক্ষের উপর সম্মান রেখে নির্বাচনের মাঠে প্রতিদ্বন্দ্বিতার আহ্বান জানিয়েছেন, ‘আমি তিনবার নির্বাচন করেছি। তিনবারই প্রমাণ দিয়েছি। যারা সরে দাঁড়িয়েছেন তাদের বলব নির্বাচন করে নিজের জনপ্রিয়তা প্রমাণ করেন।’ উল্লেখ্য, সভাপতি পদে সালাউদ্দিনের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করবেন সাবেক জাতীয় ফুটবলার শফিকুল ইসলাম মানিক। গত ১২ বছর সহসভাপতির দায়িত্ব পালন করা বাদল রায়েরও একই পর্দে নির্বাচন করার কথা ছিল। কিন্তু তিনি পরে নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। অবশ্য নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নাম প্রত্যাহার না করায় ভোটের ব্যালটে নাম থাকবে বাদল রায়ের। আর ছয়মাস আগেই সভাপতি পদে নির্বাচন না করার ঘোষণা দিয়েছেন তরফদার মোঃ রুহুল আমিন।
×