ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

আইপিএল

কোহলির পরামর্শেই চাহালের গুগলি

প্রকাশিত: ২৩:২৮, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২০

কোহলির পরামর্শেই চাহালের গুগলি

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ১৬৪ রানের জয়ের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে এক পর্যায়ে ২ উইকেটে ১২১ রান করে ফেলেছিল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। সেখান থেকে ২৬ বলের ব্যবধানে ৩২ রান তুলতে শেষ ৮ উইকেট হারিয়ে অলআউট ডেভিড ওয়ার্নারের দল। ১৩তম আইপিএলে নিজেদের প্রথম ম্যাচে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুর ১০ রানের দারুণ জয়ে ‘নায়ক’ যুবেন্দ্র চাহাল। কার্যত ভেল্কি দেখিয়েছেন এ লেগস্পিনার। জনি বেয়ারস্টো (৬১), মানিশ পান্ডে (৩৪) ও বিজয় শঙ্করকে (০) তুলে নিয়ে সানরাইজার্সদের মেরুদ-টাই ভেঙ্গে দিয়েছেন। দুর্দান্ত এক গুগলিতে শঙ্করকে সাজঘরে ফিরিয়েছেন শূন্য হাতে। অধিনায়ক বিরাটের পরামর্শেই ভীষণ আগ্রাসী হয়ে ওঠেন লিকলিকে গড়নের চাহাল। ‘স্টাম্প টু স্টাম্প লাইনে বল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। একটা সময় ওরা খুব ভাল ব্যাটিং করছিল। ফলে আমি দূরে বল রেখে ঘোরাচ্ছিলাম। ওই ধরনের বলে মারা বেশ কঠিন। আমার অধিনায়ক আমাকে আক্রমণে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। বেয়ারস্টোর ক্ষেত্রে আমি বলটা একটু লেগের দিকে রেখেছিলাম। শঙ্করকে বোলিংয়ের আগে আমি ফের কোহলির সঙ্গে আলোচনা করি। অধিনায়কের পরামর্শেই ঠিক করেছিলাম যে ওকে প্রথম বলেই গুগলি দেব’ বলেন ৩০ বছর বয়সী ডানহাতি লেগস্পিনার। তাতেই স্টাম্প উপড়ে যায় হায়দরাবাদের শেষ স্বীকৃত ব্যাটসম্যানের। যেটা ম্যাচে ‘টার্নিং’ বলে স্বীকার করেন প্রতিপক্ষ অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নারও, ‘হ্যাঁ, সম্ভবত চাহাল ওই ওভারেই আমাদের কাছ থেকে ম্যাচটা ছিনিয়ে নিয়েছে।’ অধিনায়ক কোহলি কিন্তু চাহালকে প্রশংসায় ভাসিয়েছেন, ‘যুজি সম্পূর্ণভাবে ম্যাচের চেহারা বদলে দিয়েছে। দুবাইয়ের এই পিচ থেকে অন্য স্পিনাররা যেখানে খুব একটা সুবিধা আদায় করে নিতে পারেনি, ও সেখানে দেখিয়ে দিয়েছে কব্জিতে মোচড় থাকলে বল ঘোরানো সম্ভব। যুজিই ম্যাচটা আমাদের জন্য ছিনিয়ে এনেছে।’ এর আগে ব্যাঙ্গালুরুকে চ্যালেঞ্জিং স্কোর এনে দেন দেবদূত পাদিক্কাল (৫৬) ও এবি ডি ভিলিয়ার্স। করোনাকালে দীর্ঘদিন পর মাঠে নেমেই ৩০ বলে ৪ চার ও ২ ছক্কায় ৫১ রানের দুর্দান্ত ইনিংসে এবি নিজেও চমকে গেছেন। ম্যাচের পর স্টার স্পোর্টসের কথোপকথনে ধারাভাষ্যকার মাইকেল স্ল্যাটার ডি ভিলিয়ার্সকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, তার ব্যাট থেকে এমন ইনিংস নিশ্চয়ই বিস্ময়কর কিছু নয়। হাসিমুখে ডি ভিলিয়ার্স বললেন ভিন্ন কথা, ‘আমার জন্য তো এটা অনেক বড় বিস্ময়। সত্যি বলতে, নিজেকেই চমকে দিয়েছি। ৩৬ বছর বয়সী একজন, যে কিনা খুব বেশি খেলার মধ্যে ছিল না। এছাড়াও তরুণ সব তারকার মধ্যে খেলতে এসে এমন শুরু করতে পারাটা দারুণ তৃপ্তিদায়ক। সবচেয়ে স্বস্তির ব্যাপার হলো- মৌলিক ব্যাপারগুলো মনে হচ্ছে ঠিকঠাক মতোই আছে।’
×