ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

বাউফলে দলিল রেজিস্ট্রি বন্ধ ॥ ভোগান্তির শিকার দাতা ও গ্রহীতারা

প্রকাশিত: ২১:১৮, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২০

বাউফলে দলিল রেজিস্ট্রি বন্ধ ॥ ভোগান্তির শিকার দাতা ও গ্রহীতারা

নিজস্ব সংবাদদাতা, বাউফল, ২২ সেপ্টেম্বর ॥ বাউফল উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রারের অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের প্রতিবাদে সম্প্রতি কোন দলিল রেজিস্ট্রি হয়নি। ওই দিন দলিল লেখক সমিতি কর্মবিরতি পালন করেছেন। ফলে দাতা ও গ্রহীতারা ভোগান্তির শিকার হয়েছেন। জানা গেছে, বাউফল উপজেলা সাব- রেজিস্ট্রার হাফিজা হাকিম রুমা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ায় বর্তমানে ছুটিতে আছেন। তার অনুপস্থিতিতে পার্শ¦বর্তী দুমকি উপজেলার সাব-রেজিস্ট্রার কাজী নজরুল ইসলামকে ১ সেপ্টেম্বর থেকে বাউফল উপজেলার সাব-রেজিস্ট্রারের চলতি দায়িত্ব দেয়া হয়। সপ্তাতে সোমবার ও মঙ্গলবার এই দুই দিন এ অফিসে দলিল রেজিস্ট্রি করা হয়। দলিল লেখক সমিতির সভাপতি আবদুল মালেক অভিযোগ করেন, দায়িত্বপ্রাপ্ত সাব- রেজিস্ট্রার বিলম্ব করে অফিসে আসেন। এরপর কয়েকটি দলিল রেজিস্ট্রি করে বিশ্রামে চলে যান। পরে এসে দাখিলকৃত দলিল রেজিস্ট্রি করতে এক হাজার থেকে দুই হাজার টাকা করে উৎকোচ নেন। এ নিয়ে দলিল লেখকদের মধ্যে অসন্তোষের সৃষ্টি হলে সমিতির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাকে উৎকোচ দেয়া বন্ধ করে দেয়া হয়। এর ফলে তিনি দলিল রেজিস্ট্রি করতে অস্বীকৃতি জানান। এর প্রতিবাদে সোমবার থেকে ৮০ জন দলিল লেখক কর্মবিরতি পালন করছেন। ঢাকা থেকে দলিল দিতে আসা (দাতা) খলিলুর রহমান অভিযোগ করেন, ‘তিনি সোমবার সকালে ঢাকা থেকে বাউফল সাব রেজিস্ট্রি অফিসে এসে জানতে পারেন সাব-রেস্ট্রিারের অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের প্রতিবাদে দলিল লেখল সমিতি কর্মবিরতি পালন করছে। দলিল রেজিস্ট্রি করে সোমবারই তার ঢাকায় ফিরে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু দলিল রেজিস্ট্রি করতে না পেরে তিনি হাতাশ হয়েছেন।’ এদিকে দলিল রেজিস্ট্রি বন্ধ থাকায় সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত সাব- রেজিস্ট্রার নজরুল ইসলাম তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। এক এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘দলিল দাখিল করা না হলে আমি রেজিস্ট্রি করব কিভাবে।’ সোমবার তারা (দলিল লেখক) দলিল দাখিল করেননি, তাই রেজিস্ট্রি হয়নি।
×