ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

লজিস্টিক ও ওয়্যারহাউস পার্ক স্থাপনের প্রস্তাব

প্রকাশিত: ১৭:০৫, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২০

লজিস্টিক ও ওয়্যারহাউস পার্ক স্থাপনের প্রস্তাব

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ দেশের কাঙ্খিত অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিতকল্পে উন্নতদেশসমূহের ন্যায় ‘লজিস্টিক ও ওয়্যারহাউস পার্ক’ স্থাপনে আহ্বান জানানো হয়েছে ‘লজিস্টিকস’ বিষয়ক ওয়েবিনারে। ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) আয়োজিত ‘লজিস্টিকস : বাংলাদেশের আন্তঃবাণিজ্যের বর্তমান প্রেক্ষিত ও চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক ওয়েবিনার মঙ্গলবার (২২ সেপ্টেম্বর) অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)-এর সভাপতি ড. রুবানা হক সম্মানিত অতিথি হিসেবে যোগদান করেন। স্বাগত বক্তব্যে ডিসিসিআই সভাপতি শামস মাহমুদ বলেন, লজিস্টিক আমাদের ব্যবসা-বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের অন্যতম নিয়ামক, যেটি বৈশ্বিক বাণিজ্যে সময়মত এবং কম খরচে পণ্য ও সেবা সরবরাহ নিশ্চিতকল্পে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। শামস মাহমুদ বলেন, অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং অবকাঠামোখাতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি সাধন করলেও বাংলাদেশ লজিস্টিক ব্যবস্থাপনায় বেশ পিছিয়ে রয়েছে এবং কোভিড-১৯ মহামারীর সময়ে অপর্যাপ্ত লজিস্টিক সুবিধার কারণে চলতি বছরে আমাদের রপ্তানি প্রায় ১৭ শতাংশ কমে গিয়েছে, যেখানে বৈশ্বিক বাণিজ্যের পরিমাণ প্রায় ২৮ শতাংশ। তিনি জানান, ‘বৈশ্বিক লজিস্টিক সূচক ২০১৮’ অনুযায়ী বাংলাদেশের অবস্থান ১০০ এবং এক্ষেত্রে আমাদের প্রতিযোগী এশিয়ার অন্যান্য দেশসমূহের তুলনায় আমরা বেশ পিছিয়ে রয়েছি। তিনি আরো বলেন, ডিসিসিআই পরিচালিত একটি জরিপে দেখা যায়, কোভিড মাহামারীর কারণে ৪২ শতাংশ মনে করেন, ফ্যাক্টরি থেকে সমুদ্র বন্দরের মাধ্যমে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে ১৫ দিনের বেশি সময় প্রয়োজন হয় এবং ৬২ শতাংশ উদ্যোক্তার সমুদ্র বন্দর থেকে কারখানা পর্যন্ত পণ্য আমদানিতে ১৫ দিনের বেশি সময় লেগেছে বলে মত প্রকাশ করেন। এছাড়াও জরিপে অংশগ্রহণকারী উদ্যোক্তারা আরো মনে করেন, বন্দর সমূহে কন্টেনার জট, পোর্ট ডেমারেজ চার্জ, কাস্টমস ক্লিয়ারেন্সে দীর্ঘসূত্রিতা, অপর্যাপ্ত বন্দর অবকাঠামো প্রভৃতি বিষয়গুলো ব্যবসা-বাণিজ্য পরিচালনায় অন্যতম প্রতিবন্ধকতা হিসেবে নেতিবাচক ভূমিকা পালন করছে এবং এর ফলে ব্যবসা পরিচালনা ব্যয় উল্লেখজনক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। ডিসিসিআই সভাপতি উল্লেখ করেন, বিশ্বব্যাংকের তথ্য মতে রাস্তাঘাটে যানজট নিরসন ও লজিস্টিক ব্যবস্থাপনায় দক্ষতা উন্নয়ন করা গেলে ব্যবসা পরিচালনায় প্রায় ৭-৩৫ শতাংশ ব্যয় হ্রাস করা সম্ভব। তিনি জানান, বাংলাদেশের বৈদেশিক বাণিজ্যের প্রায় ৯০ শতাংশ সমুদ্রবন্দরের উপর নির্ভরশীল হলেও আমাদের বন্দরসমূহ এখনও পুরোনো প্রযুক্তি এবং ব্যবস্থাপনার উপর নির্ভরশীল। ঢাকা চেম্বারের সভাপতি দেশের কাঙ্খিত অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিতকল্পে দেশের বন্দরসমূহে কাস্টমস ক্লিয়ারেন্স প্রক্রিয়ার অটোমেশন সহ বন্দরে কন্টেনার ধারণ সক্ষমতা বৃদ্ধি, গভীর সমুদ্রবন্দর স্থাপন, লজিস্টিক নীতিমালা প্রণয়নে সরকারী সংস্থা, বন্দর কর্তৃপক্ষ ও বেসরকারীখাতের মধ্যকার সমন্বয় বাড়ানো, উন্নতদেশসমূহের ন্যায় ‘লজিস্টিক ও ওয়ারহাউস পার্ক’ স্থাপন এবং আমদানীকৃত কাঁচামাল সংরক্ষণে বন্ডেড ওয়ারহাউস স্থাপনের উপর গুরুত্বারোপ করেন। সম্মানিত অতিথি’র বক্তব্যে বিজিএমইএ-এর সভাপতি ড. রুবানা হক বলেন, ব্যবসা-বাণিজ্যে প্রয়োজনীয় লজিস্টিক সেবা নিশ্চিতকরণে আমাদের একটি নিজস্ব মানদন্ড থাকতে হবে এবং প্রতিনিয়ত তা নজরদারির আওতায় রাখতে হবে। তিনি বিনিয়োগ আকর্ষনের সাথে সংশ্লিষ্ট সেবাসমূহে আমাদের ইতিবাচক দিকগুলো তুলে ধরতে হবে, যার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক মানদন্ডে বাংলাদেশের অবস্থান আরো উন্নয়ন সম্ভব হবে। বিজিএমইএ আরো সভাপতি বলেন, বাণিজ্য বিয়ষক সংষ্কার কাজগুলো গুছিয়ে উপস্থাপনের জন্য আন্তঃমন্ত্রণালয়ের কমিটি প্রণয়ন করা আবশ্যক, এছাড়াও তিনি কাস্টমস প্রক্রিয়া সহজীকরণ, আশিয়ান অঞ্চলের দেশগুলোর সাথে সহযোগিতা আরো বাড়ানো এবং আশিয়ান প্লাস ওয়ান নীতিমালা প্রণয়নের আহ্বান জানান। তিনি আরো বলেন, বন্ডেড লাইসেন্স এর মাধ্যমে পণ্য আমদানি করে, যার এর অপব্যবহার করছে তাদেরকে শাস্তির আওতায় নিয়ে আসতে হবে, পাশাপাশি তিনি লজিস্টিক প্রক্রিয়া সহজীকরণের জোরারোপ করেন। ওয়েবিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সানেম’র নির্বাহী পরিচালক এবং ঢাকা বিশি^বিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. সেলিম রায়হান। তিনি বলেন, বিশ্বব্যাংকের ‘লজিস্টিক পারফ্যামেন্স সূচক”-এর প্রধানত কাস্টমস, অবকাঠামো, আন্তর্জাতিক শিপমেন্ট, লজিস্টিক মান ও দক্ষতা, ট্রাকিং অ্যান্ড ট্রেসিং এবং সময়পোযোগীতা-এ ছয়টি বিষয়টিকে বিবেচনা করা হয়। তিনি বলেন, লজিস্টিক সেবা প্রদানে বাংলাদেশ প্রতিযোগী দেশগুলোর চেয়ে বেশ পিছিয়ে রয়েছে এবং লজিস্টিক সুবিধা প্রাপ্তির অভাবে আমাদের রপ্তানি বহুমুখীকরণ প্রক্রিয়া মারাতœকভাবে ব্যাহত হচ্ছে, এছাড়াও এর ফলে জিডিপি প্রবৃদ্ধি এবং মাথাপিছু আয় বৃদ্ধিতে লজিস্টিক সুবিধা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সেলিম রায়হান আরো বলেন, বৈদিশিক বিনিয়োগ আকর্ষনে লজিস্টিক মান্ডদন্ডে বাংলাদেশের অবস্থান উন্নয়নের আবশ্যক, যদিও ২০০৭ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ এক্ষেত্রে উল্লেখজনক হারে অগ্রগতি সাধিত হয়নি। লজিস্টিক খাতে বর্তমান অবস্থা উন্নয়নে সকল বন্দরসমূহে অটোমেশন ব্যবস্থা চালু, ক্লিয়ারিং ও পেমেন্ট ব্যবস্থার ডিজিটালাইজেশন, সংশ্লিষ্ট সকল সংস্থার সমন্বয় বৃদ্ধি ও বন্দরের কার্য পদ্ধতির সহজীকরন, বন্দরের অবকাঠামোর আধুনিকায়ন সহ রেলপথ ও নদীপথের আধুনিকায়নের প্রস্তাব করেন। নির্ধারিত আলোচনায় বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট-এর এ্যাডভোকেট ব্যারিস্টার সামির সাত্তার, পলিসি এক্সচেঞ্জ-এর চেয়ারম্যান ড. এম মাশরুর রিয়াজ, পলিসি রিসার্চ ইন্সটিটিউট (পিআরআই)-এর চেয়ারম্যান ড. জায়েদী সাত্তার, চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি-এর সভাপতি মাহবুবুল আলম, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ-এর সদস্য (প্রশাসন ও পরিকল্পনা) মোঃ জাফর আলম এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)-এর ফার্স্ট সেক্রেটারি (কাস্টম অ্যান্ড ভ্যাট) মোঃ আকবর হোসেন অংশগ্রহণ করেন। বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট-এর এ্যাডভোকেট ব্যারিস্টার সামির সাত্তার বলেন, দেশের বাণিজ্য সক্ষমতা উন্নয়নে লজিস্টিক খাতে যুগোপযোগীকরনের কোন বিকল্প নেই। তিনি বন্দরসমূহে কন্টেনার জট, বন্দর থেকে পণ্য পরিবহনে সড়ক খাতের উপর বেশি মাত্রায় নির্ভরশীলতা, সংশ্লিষ্ট সকল খাতগুলোর মধ্যে সমন্বয়হীনতা প্রভৃতি বিষয়সমূহকে অন্যতম প্রতিবন্ধকতা এবং বিদ্যমান অবস্থা উন্নয়নে সকলের অংশগ্রহণে যুগোপযোগী নীতিমালা প্রণয়ন ও তার দ্রæত বাস্তবায়ন, পাশাপাশি বন্দরসমূহে অনলাইনে ওয়ানস্টপ সেবা চালুকরণ একান্ত আবশ্যক বলে করেন। পলিসি এক্সচেঞ্জ-এর চেয়ারম্যান ড. এম মাশরুর রিয়াজ বলেন, বর্ডার ক্লিয়ারেন্স প্রক্রিয়া বাংলাদেশের চার্জ কমানো খুবই জরুরী। তিনি বলেন, বৈদেশিক বিনিয়োগ আকর্ষনের পাশাপাশি স্থানীয় অর্থনীতির বিকাশে লজিস্টিক সেবা নিশ্চিতকরণ ও অবকাঠামোখাত এবং সাপ্লাই চেইনের উন্নয়ন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তিনি আরো বলেন, এ বিষয়ে একটি নীতিমালা প্রণয়ন এখন সময়ের দাবী, এছাড়াও তিনি বন্ডেড ওয়ারহাউস স্থাপনে গুরুত্বারোপ করেন। পলিসি রিসার্চ ইন্সটিটিউট (পিআরআই)-এর চেয়ারম্যান ড. জায়েদী সাত্তার বলেন, লজিস্টিক-এর ক্ষেত্রে কাস্টমস প্রক্রিয়ার আধুনিকায়ন খুবই জরুরী এবং কাস্টমস প্রক্রিয়ায় রাজস্ব আহরণের চেয়ে ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণে সহায়ক ভূমিকা পালনের উপর বেশি মাত্রায় গুরুত্বারোপ করা প্রয়োজন। তিনি আরো বলেন, প্রতিবছর নতুন ১০০টি পণ্য আমাদের বাজারে আসলেও প্রয়োজনীয় প্রণোদনা ও বাজার সম্প্রসারণ ব্যবস্থার অনুপস্থিতির কারণে প্রায় ৮০টি পণ্য হারিয়ে যাচ্ছে এবং এ অবস্থা উত্তরণে তিনি নতুন পণ্যে উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানসমূহকে আরো বেশি মাত্রায় আর্থিক প্রণোদনা প্রয়োজন বলে মত প্রকাশ করেন। চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি-এর সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, লজিস্টিক সেবা প্রদনের সাথে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও সংস্থাগুলোর মধ্যে সমন্বয় বাড়ানো অত্যন্ত জরুরী এবং এদের সমন্বয়হীনতার অভাবে দেশের বেসরকারীখাত মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তিনি উল্লেখ করেন, সাম্প্রতিক সময়ে চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বাড়লেও বিশ্বমানদন্ডে এখনও পিছিয়ে রয়েছি এবং বন্দর থেকে পণ্য পরিবহনে সহজতর করার জন্য রেলওয়ের কন্টেনার সেবা প্রদানে বাড়ানো প্রয়োজন। মাহবুবুল আলম বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর থেকে প্রতিদিন প্রায় ৮-১০ হাজার ট্রাক মালমাল পরিবহন করে থাকে, তবে বন্দরে কোন ট্রাক টার্মিনাল না থাকায় প্রতিনিয়ত যানজট লেগে থাকে এবং এ অবস্থা উন্নয়নে সহসাই একটি ট্রাক টার্মিনাল স্থাপন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ-এর সদস্য (প্রশাসন ও পরিকল্পনা) জাফর আলম জানান, বর্তমানে চট্টগ্রাম বন্দরের মাধ্যমে ৩০ লাখ কন্টেইনার পরিবহন করা হচ্ছে, বন্দরের সেবা প্রদানে সরকারের বেশকিছু সংস্থা জড়িত এবং সকলের মধ্যকার সমন্বয় এখানে একান্ত অপরিহার্য। তিনি ২০২৪ সালের মধ্যে চট্টগ্রাম বন্দরে ৮ হাজার কন্টেইনার ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন ১৮ মিটার গভীর জাহাজ আনার জন্য বে-টার্মিনাল স্থাপনের কাজ চলছে, যার সাথে সড়ক, নদী এবং রেল পথের সংযোগ থাকবে। এছাড়াও তিনি দেশের অভ্যন্তরে বিআইডবিøউটিও আওতাধীন নদীবন্দর সমূহে ছোটা ছোট বার্জ স্থাপনের প্রস্তাব করেন। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)-এর ফার্স্ট সেক্রেটারি (কাস্টম অ্যান্ড ভ্যাট) মোঃ আকবর হোসেন বলেন, ‘এসআইকোড ওয়ার্ল্ড’ কার্যকরের মাধ্যমে দেশের বন্দরসমূহের কাস্টমস কার্যক্রম অনেকাংশেই অটোমেশনের আওতায় চলে এসেছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, ‘ন্যাশনাল সিঙ্গেল উইন্ডো’ প্রকল্পের বাস্তবায়ন হলে, বিদ্যমান সমস্যাসমূহ অনেকাংশেই নিরসন করা যাবে। তিনি জানান, আমদানীকারকদের জন্য এনবিআর ইতোমধ্যে ‘প্রি-এ্যারাইভাল’ প্রক্রিয়ার কার্যক্রম চালু করেছে, যা বন্দরের কন্টেইনার জট কমবে ও পণ্য খালাস প্রক্রিয়া দ্রুততর হবে। এছাড়াও তিনি সমন্বিত বন্দর ব্যবস্থাপনা নিশ্চিতকল্পে সংশ্লিষ্ট সকল সংস্থার সমন্বয় আরো বাড়ানোর উপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি চট্টগ্রাম বন্দরের সাথে সংযোগকারী সড়কের অবকাঠামো উন্নয়নের কাজ দ্রæততম সময়মত সম্পন্নের আহ্বান জানান। মুক্ত আলোচনায় বিন্ড-এর চেয়ারম্যান এবং ঢাকা চেম্বারের প্রাক্তন সভাপতি আবুল কাসেম খান বলেন, লজিস্টিক সেবা প্রদানে একটি স্বতন্ত্র সংস্থা স্থাপন এবং একটি মন্ত্রণালয়ের অধীনে সকল সংস্থার অংশগ্রহণ নিশ্চিতকরণে সমন্বিত নীতিমালা প্রণয়ন করা প্রয়োজন। এছাড়াও তিনি ‘লজিস্টিক’ কে একটি থ্রাস্ট সেক্টর হিসেবে ঘোষণা করার প্রস্তাব করেন। আবুল কাসেম খান আরো বলেন, ভিয়েতনামের মত ‘গ্লোবাল ডিস্ট্রিবিউশন সেন্টার’-এর আদলে ‘কমন বন্ডেড ওয়ারহাউজিং’ স্থাপন করা যেতে পারে যা আমাদের ছোট ছোট দেশীয় শিল্প প্রতিষ্ঠানের কাঁচামাল প্রাপ্তিতে সহায়ক হবে।
×