ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

মাস্ক পরা নিশ্চিত করতে এ্যাকশনে নামছে সরকার

প্রকাশিত: ২৩:০৯, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২০

মাস্ক পরা নিশ্চিত করতে এ্যাকশনে নামছে সরকার

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ জনসাধারণের মাস্ক পরা শতভাগ নিশ্চিত করতে কঠোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। অনেকেরই মাস্ক পরায় অনীহা দেখা দেয়ার প্রেক্ষাপটে মার্কেট ও শপিংমলগুলোতে এ্যাকশনে যাচ্ছে সরকার। মাস্ক পরা শতভাগ বাধ্যতামূলক করতে আকস্মিক অভিযান পরিচালিত হবে ওইসব স্থানে। সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রিসভা বৈঠকের ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম মাস্ক না পরা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে যাওয়ার কথা জানান। এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে ভার্চুয়াল মন্ত্রিসভা বৈঠক হয়। প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীরা সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে বৈঠকে যুক্ত হন। করোনা পরিস্থিতি নিয়ে মন্ত্রিসভায় বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, অনেক দেশেই বিশেষত শীতপ্রধান দেশে দ্বিতীয় দফায় সংক্রমণ হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন নবেম্বরের শেষ থেকে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আসছে। সে কারণে সকল প্রকার প্রস্তুতি থাকতে হবে। করোনা প্রতিরোধে সর্বাত্মক প্রস্তুতি রাখতে আজ মঙ্গলবার আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা আহ্বান করেছি। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীও বলেছেন আমাদের যেন সার্বিক প্রস্তুতি থাকে। প্রধানমন্ত্রী বলে দিয়েছেন করোনার দ্বিতীয় পর্যায়ের আঘাত আসলে অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে যদি সচেতন হই তাহলে আমাদের জন্য এটা সুবিধা হবে। পাশাপাশি তিনি নির্দেশনা দিয়েছেন, অক্টোবরের শেষ বা নবেম্বরের মাঝামাঝি থেকে ঠা-ার প্রকোপটা বাড়তে পারে, সেক্ষেত্রে আমাদের লোকজনের নিউমোনিয়া, সর্দি, জ্বর বা এ্যাজমাটিক সমস্যা থাকে, সবাই যাতে প্রস্তুতি নেয়। এসবে আক্রান্ত হলে যেন চিকিৎসা করান। কোভিডের দ্বিতীয় পর্যায়ের আঘাত এলে মাঠ পর্যায়ে সেটাকে কীভাবে মোকাবেলা করতে হবে সেটার জন্য এখন থেকেই প্রস্তুতি নিতে বলেছেন। আজ মঙ্গলবার বসে বিস্তারিত কর্মসূচী নেব। সবার মাস্ক ব্যবহার করা দরকার উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘সবাই মিলে ঠিকভাবে মাস্ক যদি ব্যবহার না করি তাহলে কিন্তু মুশকিল। কারণ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দুই তরফ থেকে যদি মাস্ক পরা থাকে তাহলে ৯৫ থেকে ৯৮ শতাংশ নিরাপদ। আর এক তরফ থেকে মাস্ক থাকলে ৬০ থেকে ৬৫ শতাংশ নিরাপদ। মাস্ক যদি না পরে তাহলে কিন্তু কোন কিছুই সফল হবে না। এজন্য সবাইকে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। ঠা-া থেকে প্রোটেকশন নিতে হবে। উপসর্গ দেখা গেলে চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। খন্দকার আনোয়ার বলেন, সম্প্রতি একটি কাজে এক মার্কেটে গিয়েছিলাম, আমি সেখানে বেশি লোককে মাস্ক পরতে দেখিনি। পরে আমরা নির্দেশনা দিয়েছি- আমরা ক্রস চেক করব যে কোন দিন, সেই মার্কেটে যদি সবাইকে মাস্ক পরা না দেখি তাহলে উই উইল টেক এ্যাকশন। ধর্ম মন্ত্রণালয়কে বলা হয়েছে, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে সব মসজিদে জোহর ও মাগরিবের নামাজের সময় যেন ঘোষণা দেয়া হয়, মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক, এটা রাষ্ট্রীয় কল্যাণকর নির্দেশ। স্বাস্থ্যবিধি মানার ক্ষেত্রে অভিযান অব্যাহত আছে। মোবাইল কোর্ট চলছে বলেও জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব। করোনার দ্বিতীয় পর্যায় শুরু হলে সরকার আগের মতো আবার লকডাউনে যাবে কিনা- জানতে চাইলে খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, যাওয়া হবে কি-না, মাত্রাটা কেমন হবে আমরা তো জানি না। আমাদের প্রস্তুতি রাখতে হবে। সেইন্ট কিটস-ডোমেনিকার সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন হচ্ছে ॥ দুই ক্যারিবীয় দ্বীপ রাষ্ট্র সেইন্ট কিটস এ্যান্ড নেভিস ও কমনওয়েলথ অব ডোমেনিকার মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ সরকার। এজন্য কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন সংক্রান্ত যৌথ ঘোষণাপত্রের খসড়া অনুসমর্থনের প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে ভার্চুয়াল মন্ত্রিসভা বৈঠকে এই অনুমোদন দেয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীরা সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে বৈঠকে যুক্ত হন। বৈঠকে শেষে সাংবাদিকদের মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এই অনুমোদনের কথা জানান। তিনি বলেন, বাংলাদেশ এবং সেইন্ট কিটস এ্যান্ড নেভিসের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন সংক্রান্ত যৌথ ঘোষণাপত্রের খসড়া অনুসমর্থনের প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
×