ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

দেশেই তরমুজের বীজ উৎপাদন সম্ভব এমন দুটি নতুন জাত উদ্ভাবন করেছে বারি

প্রকাশিত: ১৯:৪৪, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২০

দেশেই তরমুজের বীজ উৎপাদন সম্ভব এমন দুটি নতুন জাত উদ্ভাবন করেছে বারি

স্টাফ রিপোর্টার, গাজীপুর ॥ দেশেই তরমুজের বীজ উৎপাদন সম্ভব এমন দুটি নতুন জাত উদ্ভাবন করেছে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি)’র বিজ্ঞানীরা। দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে সংগৃহীত বিশুদ্ধ লাইন থেকে উদ্ভাবিত এ দুটি ওপি (ওপেন পলিনেটেড) জাতের একটির ভিতরে (মাংসল অংশ) হলুদ এবং অপরটির ভিতরে টকটকে লাল। বারি’র সবজি বিভাগ এবং পটুয়াখালির লেবুখালি আঞ্চলিক উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্রের যৌথ উদ্যোগে এ দুটি জাত উদ্ভাবন করা হয়। শীঘ্রই এ দুটি জাত নিবন্ধনের মাধ্যমে মুক্তায়িত করা হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। সোমবার বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার এবং বারি’র মহাপরিচালক ড. মো. নাজিরুল ইসলাম এ দুটি জাতের গবেষণা মাঠ পরিদর্শন করেন। জাত উদ্ভাবনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বারি’র বিজ্ঞানীরা জানান, আমাদের দেশে গ্রীষ্মকালে যেসব উন্নতমানের তরমুজ পাওয়া যায় তার প্রায় সবই জাপান বা অন্যান্য দেশ যেমন- চীন, থাইল্যান্ড, ভারত থেকে আমদানীকৃত শংকর জাতের বীজ থেকে উৎপাদন করা হয়। ফলে তরমুজের বীজ আমদানী বাবদ প্রতি বছর প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা খরচ করতে হয়। এছাড়া এসব জাতের বীজের বিশুদ্ধতা ও অঙ্কুরোদ্গম হার সব সময় ঠিক না থাকায় কৃষকরা প্রতারিত হয়ে থাকেন। কিন্তু বারি উদ্ভাবিত জাত দুটি থেকে কৃষক নিজেই বীজ উৎপাদন করতে পারবে। এদের ফলন, আকৃতি, স্বাদ ও মিষ্টতা প্রচলিত জাপানী শংকর জাতের চেয়ে উন্নততর। এছাড়া এ জাত দুটি বাংলাদেশের আবহাওয়া উপযোগী অমৌসুমী জাত হওয়ায় কৃষক এখান থেকে অধিক লাভবান হবে। হাইব্রিড জাত হিসেবে মুক্তায়িত হওয়ার পর ব্যাপক সম্প্রসারণের প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করলে বীজ আমদানী বাবদ বিপুল বৈদেশিক মুদ্রা বাঁচানো সম্ভব হবে এবং তরমুজ উৎপাদনের ক্ষেত্রে দেশে এক নতুন দিগন্তের উন্মোচন হবে বলে তারা আশা প্রকাশ করেন। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বারি’র পরিচালক (গবেষণা) ড. মো. মিয়ারুদ্দীন, পরিচালক (পরিকল্পনা ও মূল্যায়ন) ড. মো. কামরুল হাসান, পরিচালক (প্রশিক্ষণ ও যোগাযোগ) ড. মুহাম্মদ সামসুল আলম, সবজি বিভাগের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. ফেরদৌসি ইসলাম, জাত উদ্ভাবনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিজ্ঞানীসহ বিভিন্ন বিভাগের বিজ্ঞানী ও কর্মকর্তাবৃন্দ।
×