নিজস্ব সংবাদদাতা, লালমনিরহাট, ২০ সেপ্টেম্বর ॥ বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদ্যাপন উপলক্ষে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির শতবর্ষে বঙ্গবন্ধুর শত গানের বইয়ে সংকলনে লালমনিরহাটের কুখ্যাত রাজাকার গ্রাম্য চিকিৎসক সোলাইমান মিয়ার পুত্র সাজেদ ফাতেমীর দুটি গান প্রকাশের প্রতিবাদে ও এই সংকলন বাজেয়াফত এবং কাদের পৃষ্ঠপোষকতায় রাজাকার পুত্রের গান প্রকাশ পেল তার তদন্ত করে বিচারের দাবিতে রবিবার দুপুরে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করে স্মারকলিপি দিয়েছে। জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান জেলা ইউনিট কমান্ডের সভাপতি এ্যাডভোকেট মোঃ ইকবাল হোসেন মামুনের নেতৃত্বে সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক, সামাজিক ও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের জনতা স্মারকলিপি জেলা প্রশাসনের কার্যালয়ে প্রদান করেন। স্মারক লিপিতে দাবি করা হয়, কুখ্যাত রাজাকার পুত্র সাজেদ ফাতেমী ফোক গানের একজন শিল্পী। তার বড় ভাই লালমনিরহাট জেলা জামাতের সাবেক সেক্রেটারি জেনারেল আলা উল ফাতেমী। তার পিতা গ্রাম্য চিকিৎসক সোলাইমান মিয়া জেলার আদিতমারী উপজেলার পলাশী ইউনিয়নে মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে শান্তি কমিটির সাধারণ সম্পাদক ছিল। সেই সময় ৫ জন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে সে পাকিস্তান সেনাদের হাতে ধরিয়ে দেয় ও হত্যা করে। তার ছোট ভাই বিমানবাহিনীর স্কোয়াডন লিডার (অব) জিয়া উল ইসলাম ফাতেমী ’৭১’র যুদ্ধাপরাধী মামলায় মৃত্যুদন্ডের সাজা কার্যকর হওয়া জামাত নেতা আজাহারুল ইসলামের জামাতা।
সাজেদ ফাতেমী জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যায়নের সময় ছাত্র দলের হল শাখার নেতা ছিল। বর্তমানে ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির পরিচালক ও জনসংযোগ কর্মকর্তা।
সে তার কর্মজীবন জামাতের পত্রিকা নয়া দিগন্তে সাংবাদিকতা করে শুরু করেছিল। কুখ্যাত এই রাজাকার পুত্র সাজেদ ফাতেমী কিভাবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জম্মশতবার্ষিকী উদ্যাপন উপলক্ষে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সম্পাদনায় বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে শতবর্ষে বঙ্গবন্ধুর শত গানের সংকলনে তার দুইটি গান প্রকাশ পায়। রাজাকার পুত্রের এই গান প্রকাশকে মুক্তিযোদ্ধারা মহান স্বাধীনাতা সংগ্রামে ৩০ লাখ শহীদের রক্ত ও দুই লাখ মা বোনের সম্ভ্রমহানির সঙ্গে বেইমানি বলে আখ্যা দিয়েছেন। তারা শিল্পকলার এই বইয়ের সংকলন বাজেয়াফত করে রাজাকার পুত্রের লেখা গান দুইটি বাদ দিয়ে পুনরায় গানের বই প্রকাশের দাবি জানান। সেই সঙ্গে কিভাবে রাজাকার পুত্রের গান বইয়ে স্থান পেল তা তদন্ত করে দায়ীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন। সাজেদ ফাতেমীর বাবা কুখ্যাত রাজাকার গ্রাম্য চিকিৎসক সোলাইমান মিয়ার মুক্তিযোদ্ধাদের তৈরি রাজাকারের খসড়া তালিকায় ১৫ নম্বরে নাম আছে।