ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

ফের রিংবাঁধ ভেঙ্গে আশাশুনির বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত

প্রকাশিত: ২০:৩৩, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২০

ফের রিংবাঁধ ভেঙ্গে আশাশুনির বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত

স্টাফ রিপোর্টার, সাতক্ষীরা ॥ গত দুইদিনের প্রবল জোয়ারের পানির চাপে আবারও রিং বাঁধ ভেঙ্গে প্লাবিত হয়েছে আশাশুনির বিস্তীর্ণ এলাকা। কপোতাক্ষ ও খোলপেটুয়া নদীর ভেড়িবাঁধ ভেঙ্গে এই এলাকা ভেসে যায়। বানভাসিরা নতুন করে আবারও বিপর্যয়ের মধ্যে পড়েছে। বিশুদ্ধ পানির সঙ্কট চরম আকার ধারণ করেছে। আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগর, শ্রীউলা ও আশাশুনি সদর ইউনিয়নের প্রায় ১২টি স্থানের রিংবাঁধ প্রবল জোয়ারের চাপে ভেঙ্গে যাতায়াতের প্রধান সড়কের (পাকা রাস্তার) ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। দীর্ঘ ৪ মাসেও টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ না করায় এসব এলাকার মানুষ এখন মানবেতর জীবন যাপন করছে। গত ২০ মে ঘূর্ণিঝড় আমফানের তান্ডবে এবং পরবর্তীতে ২০ আগস্ট নদীর জোয়ারের পানির অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পাওয়ায় উপকূলীয় বেড়িবাঁধ ও রিংবাঁধ ভেঙ্গে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়। আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগর ও শ্রীউলা ইউনিয়নের প্রায় প্রতিটি গ্রাম এখনও পানিতে ডুবে আছে। আবার চলতি অমাবস্যার গোনে নদীর পানির প্রবল স্রোতে পানি ঢুকছে লোকালয়ে। এতে রাস্তাঘাট, ঘরবাড়িসহ বিভিন্ন স্থানে নতুন করে পানিতে নিমজ্জিত। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে এলাকার শত শত মানুষ আবারও রিংবাঁধ দিয়ে পানির আটকানোর চেষ্টা করছেন। এদিকে, আশাশুনি উপজেলার ভাঙ্গন কবলিত শ্রীউলা ইউনিয়ন পরিদর্শন করে সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডাঃ আ ফ ম রুহুল হক এমপি দুর্গতদের মাঝে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করে বলেন, খুব দ্রুতই টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণের কাজ শুরু করা হবে। এলাকার জনপ্রতিধিরা জানান, গত দুইদিনের জোয়ারে প্রতাপনগর ইউনিয়নের চাকলা, হরিশখালী, কর্মকারবাড়ি, কোলা, শ্রীউলা ইউনিয়নের কলিমাখালী, মাড়িয়ালা, কোলা ও আশাশুনি সদর ইউনিয়নের দয়ারঘাট এলাকায় রিংবাঁধ ভেঙ্গে প্রবল বেগে পানি লোকালয়ে প্রবেশ করেছে। আগামী শুষ্ক মৌসুম নবেম্বর মাস নাগাদ এসব এলাকায় টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ শুরু হবে বলে ধারণা করছেন এলাকাবাসি। উল্লেখ্য, গত ২০ মে ঘূর্ণিঝড় আমফানের আঘাতে সাতক্ষীরার উপকূলীয় এলাকায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রায় ৩০টি পয়েন্টে সাড়ে ৫৭ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় আশাশুনি ও শ্যামনগর উপজেলায়। ওই সময় বেশকিছু স্থানে রিংবাঁধ দিয়ে পানি প্রবাহ বন্ধ করা হলেও আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগর ও শ্রীউলা ইউনিয়নের বড় একটি অংশের লোকালয়ে চলে জোয়ার-ভাটা। কিছু কিছু এলাকায় রিংবাঁধ দিয়ে পানি বন্ধ করা হলেও তা আবারও ভেঙ্গে গেছে।
×