ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

গ্রামীণ উন্নয়নে পল্লী উন্নয়ন একাডেমী নিরলসভাবে কাজ করছে ॥ প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য

প্রকাশিত: ১৭:৫৯, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২০

গ্রামীণ উন্নয়নে পল্লী উন্নয়ন একাডেমী নিরলসভাবে কাজ করছে ॥ প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য

স্টাফ রিপোর্টার ॥ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন ছিল বাংলাদেশ হবে একটি গণতান্ত্রিক, অসাম্প্রদায়িক, ক্ষুধা ও দারিদ্র মুক্ত আধুনিক রাষ্ট্র। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নে লালিত সেই বাংলাদেশকে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উন্নয়নের লক্ষ্যে বলিষ্ঠ চিত্তে এগিয়ে নিয়ে চলেছেন। তারই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমী (বার্ড) দেশের গ্রামীণ উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে বলেছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য এম.পি। আজ রবিবার বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমি (বার্ড) কুমিল্লায় দুই দিনব্যাপী ৫৩তম বার্ষিক পরিকল্পনা সম্মেলনের সমাপনী অধিবেশনে তিনি এসব কথা বলেন। বার্ডের মহাপরিচালক মোঃ শাহজাহান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কুমিল্লার জেলা প্রশাসক মোঃ আবুল ফজল মীর, অতিরিক্ত মহাপরিচালক মাসুদুল হক চৌধুরী। এ সম্মেলনে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের উচ্চ ও মধ্য পর্যায়ের ১০৫ জন প্রতিনিধি অংশ নেন। অনলাইনে যুক্ত থেকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য এম.পি বলেন, বার্ডের মূল দায়িত্ব হল প্রশিক্ষণ প্রদান, গবেষণা ও প্রায়োগিক গবেষণা পরিচালনা করা এবং পলিসি এডভোকেসি -এর মাধ্যমে সরকারের উন্নয়ন কার্যক্রমে সহায়তা করা।বিগত ছয় দশকেরও বেশি সময় ধরে বার্ড এই দায়িত্ব সফলতার সাথে পালন করে আসছে। গ্রামীণ উন্নয়নে বার্ডের উদ্ভাবিত “কুমিল্লা মডেল” দেশে-বিদেশে প্রশংসিত হয়েছে এবং বিশ্বের অনেক দেশে এই মডেলটি অনুকরণ করা হয়েছে। প্রতিমন্ত্রী বলেন, সম্প্রতি বার্ড কুমিল্লা জেলার লাকসাম উপজেলায় “কৃষি যান্ত্রিকীকরন ও সমন্বিত চাষাবাদ” বিষয়ক একটি প্রায়োগিক গবেষণা সম্পন্ন করেছে যেখানে কৃষকের খণ্ড খণ্ড জমিকে একত্রিত করে যান্ত্রিক উপায়ে চাষাবাদ করার মাধ্যমে কম খরচে অধিক ফসল উৎপাদন করা সম্ভব হয়েছে। আমি বিশ্বাস করি এ মডেলটি দেশের অন্যন্য এলাকায় ব্যাপকভাবে বাস্তবায়ন করা গেলে কৃষির উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির সাথে সাথে কৃষি শ্রমিকের ঘাটতির সমস্যা বহুলাংশে সমাধান হবে। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, আমার দেখা খুব কম সংখ্যক প্রতিষ্ঠান আছে যারা তাদের বিগত বছরের কাজের মূল্যায়ন এবং আগামী বছরের কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নের জন্য সংশ্লিট প্রফেশনালদের নিয়ে এই ধরনের মতবিনিময় কর্মশালার আয়োজন করে থাকে। আমি মনে করি বার্ষিক পরিকল্পনা সম্মেলনের এই ব্যবস্থাটি অন্যান্য সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানও অনুসরণ করতে পারে। দ্রুত পরিবর্তনের এই যুগে গ্রামীণ উন্নয়নের ক্ষেত্রে বার্ডকে নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে। করোনা মহামারির ফলে সৃষ্ট অর্থনৈতিক মন্দা ও সামাজিক বিশৃঙ্খলা গ্রামীণ উন্নয়নের চ্যালেঞ্জসমূহকে আরও কঠিন করে তুলবে।গ্রামীণ উন্নয়নে সমসাময়িক সমস্যাগুলোর সমাধানকল্পে এবং কার্যকর পরিকল্পনা প্রণয়নে আপনাদের মতো একাডেমিশিয়ানদের মতামত ও পরামর্শ বার্ডের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিমন্ত্রী বলেন,আমি আশা করি দুই দিনের এ বার্ষিক পরিকল্পনা সম্মেলনে আপনারা সেই কাজটি অত্যন্ত সুচারুভাবে সম্পন্ন করেছেন। আমি বার্ডের চলমান কাজগুলি সফলভাবে বাস্তবায়নে এবং পল্লী উন্নয়নের ক্ষেত্রে ভবিষ্যতের যে কোন প্রচেষ্টাতে বার্ডকে সর্বাত্মক সহযোগিতা দিয়ে যাবো।
×