ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

৬৪ জেলায় সমলয়ে চাষাবাদ পদ্ধতি জনপ্রিয় করার আহ্বান

প্রকাশিত: ২৩:১৮, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২০

৬৪ জেলায় সমলয়ে চাষাবাদ পদ্ধতি জনপ্রিয় করার আহ্বান

স্টাফ রিপোর্টার ॥ মানুষ বাড়ছে, জমি কমছে। বর্ধিত জনসংখ্যার খাদ্য যোগান দিতে হলে নতুন জাত, ভাল বীজ এবং উন্নত প্রযুক্তি দ্রুত মাঠে নিয়ে যেতে হবে। আর ফলন বাড়াতে সমলয়ে চাষাবাদ এখন সময়ের দাবি বলে জানিয়েছেন কৃষি সচিব মোঃ নাসিরুজ্জামান। সমলয়ে চাষাবাদ পদ্ধতি ৬৪ জেলায় জনপ্রিয় করতে হবে। এ জন্য যত রকমের সহযোগিতা দরকার সেটি কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে করা হবে বলে জানান কৃষি সচিব। শনিবার বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বিএআরসি) মিলনায়তনে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের উদ্যোগে এবং কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের সহযোগিতায় ‘ঢাকা অঞ্চলের বর্তমান রোপা আমন আবাদ পরিস্থিতি এবং আগামী বোরো ও রবি মওসুমের প্রস্তুতি’ বিষয়ক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় কৃষি সচিব মোঃ নাসিরুজ্জামান এসব কথা বলেন। কৃষি সচিব বলেন, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি)-কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর (ডিএই) অঞ্চলভিত্তিক কর্মশালাগুলো অত্যন্ত ফলপ্রসূ বলে ইতোমধ্যে প্রমাণিত হয়েছে। কৃষি সচিব বলেন, হাইব্রিড জাতের আবাদ বাড়াতে হবে। এখন হাইব্রিড ধানের আবাদ এলাকা মাত্র ১০ লক্ষ হেক্টর। এটিকে ১২ লক্ষ হেক্টরে উন্নীত করা কঠিন কাজ নয়। ভবিষ্যতে এটি আরও বাড়াতে হবে। মাঠ পর্যায়ে বীজের প্রাপ্যতা নিশ্চিত করবে কৃষি মন্ত্রণালয়। বর্তমান খাদ্য নিরাপত্তা টেকসই করার জন্য এ অঞ্চলের পতিত জমিগুলো চাষাবাদের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। তিনি দেশের প্রতিটি উপজেলায় পারিবারিক পুষ্টিবাগান সৃজনের জন্য সরকারী সহযোগিতায় অর্থ সুষ্ঠু ব্যবহারের জন্য তিনি কৃষি কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানান। সরকারী প্রণোদনা, পুনর্বাসন, ক্ষতিপূরণের অর্থ সঠিকভাবে কৃষকদের মাঝে বিতরণের জন্য তিনি গ্রুপভিত্তিক পর্যায়ক্রম পদ্ধতি অনুসরণের জন্য উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানান। কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (সম্প্রসারণ) মোঃ হাসানুজ্জামান কল্লোল বলেন, করোনাকালে কৃষি মন্ত্রণালয়ের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা কর্মচারীরা যেভাবে সম্মূখযোদ্ধা হিসেবে কাজ করেছে তাতে সকলের কাছে এই মন্ত্রণালয়ের সম্মান ও গ্রহণযোগ্যতা বাড়িয়ে দিয়েছে। এই কৃতিত্ব আমাদের সকলের, বিশেষ করে মাঠ পর্যায়ের সম্প্রসারণ কর্মীদের। বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. মোঃ শাহজাহান কবীরের সভাপতিত্বে কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন ড. তমাল লতা আদিত্য, পরিচালক (গবেষণা), ব্রি। কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (গবেষণা অনুবিভাগ) বলাই কৃষ্ণ হাজরা, কৃষিবিদ ড. মোঃ আসাদুল্লাহ, পরিচালক (সরেজমিন উইং), কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন ড. কৃষ্ণ পদ হালদার, পরিচালক (প্রশাসন ও সাধারণ পরিচর্যা) ব্রি। বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের পক্ষ থেকে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ব্রি’র মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এবং ফলিত গবেষণা বিভাগের প্রধান ড. মোঃ হুমায়ুন কবীর। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের পক্ষে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ বিভূতি ভূষণ সরকার। বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের বিভিন্ন বিভাগের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও বিভাগীয় প্রধানগণ, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের ঢাকা অঞ্চলের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা, বীজ প্রত্যয়ন এজেন্সির বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন ও কৃষি তথ্য সার্ভিসের উর্ধতন কর্মকর্তাবৃন্দ কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন।
×