ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

কোটালীপাড়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যা চেষ্টা মামলায় আপীল শুনানি ২৩ সেপ্টেম্বর

প্রকাশিত: ১৯:০৭, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২০

কোটালীপাড়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যা চেষ্টা মামলায় আপীল শুনানি ২৩ সেপ্টেম্বর

স্টাফ রিপোর্টার॥ গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় ৭৬ কেজি ওজনের বোমা পুঁতে রেখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা মামলায় মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামিদের ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদন্ড নিশ্চিতকরণ) ও আপীলের ওপর শুনানি ২৩ সেপ্টেম্বর পুনরায় শুরু হচ্ছে। গত বুধবার এই মামলার শুনানি শুরু হয়ে পরবর্তী এ দিন নির্ধারন করা হয়। বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি মো. বদরুজ্জামানের ভার্চুয়াল বেঞ্চে এ মামলার শুনানি শুরু হয়। এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে আছেন ডেপুটি এ্যাটর্নি জেনারেল ড. মো. বশির উল্লাহ ও আসামিপক্ষে মোহাম্মদ আহসান। জঙ্গি নেতা মুফতি আব্দুল হান্নানের অন্য মামলায় ফাঁসি কার্যকর হওয়ায় এ মামলা থেকে তাকে বাদ দেয়া হয়। মামলায় মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন , ওয়াসিম আক্তার ওরফে তারেক ওরফে মারফত আলী, রাশেদ ড্রাইভার ওরফে আবুল কালাম ওরফে রাশেদুজ্জামান ওরফে শিমন খান, ইউসুফ ওরফে মোসাহাব মোড়ল ওরফে আবু মুসা হারুন, শেখ ফরিদ ওরফে মাওলানা শওকত ওসমান, হাফেজ জাহাঙ্গীর আলম বদর, মাওলানা আবু বকর ওরফে হাফেজ সেলিম হাওলাদার, হাফেজ মাওলানা ইয়াহিয়া, মুফতি শফিকুর রহমান, মুফতি আব্দুল হাই ও মাওলানা আব্দুর রউফ ওরফে আব্দুর রাজ্জাক ওরফে ওমর। মামলার বিবরনে জানা যায় ,২০০০ সালে কোটালীপাড়া সফরের অংশ হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শেখ লুৎফর রহমান সরকারি আদর্শ কলেজ মাঠে ভাষণ দেয়ার কথা ছিল। সমাবেশের দুদিন আগে ২০ জুলাই কলেজ প্রাঙ্গণে জনসভার প্যান্ডেল তৈরির সময় শক্তিশালী বোমার অস্তিত্ব পাওয়া যায়। পরে ওই কলেজের উত্তর পাশে সন্তোষ সাধুর দোকান ঘরের সামনে থেকে সেনাবাহিনীর একটি দল ৭৬ কেজি ওজনের বোমাটি উদ্ধার করে। পরদিন ২১ জুলাই গোপালগঞ্জ সদর থেকে ৮০ কেজি ওজনের আরও একটি শক্তিশালী বোমা উদ্ধার করা হয়। এসব ঘটনায় পৃথক দুটি মামলা দায়ের হয়। ২০১০ সালে মামলা দুটি ঢাকার ২নং দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করা হয়। ২০১৭ সালের ২০ আগস্ট দুই মামলার একটিতে ১০ আসামিকে মৃত্যুদন্ড প্রদান কওে বিচারিক আদালত। এছাড়া একজন আসামির যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও তিনজনের ১৪ বছর করে কারাদন্ড দেন ঢাকার ২ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মমতাজ বেগম। অন্য মামলায় নয়জনকে ২০ বছর করে কারাদন্ড দেয়া হয়। রায় ঘোষণার মাত্র এক সপ্তাহের মাথায় ২৭ আগস্ট বিচারিক আদালত থেকে পাঠানো ডেথ রেফারেন্স, রায় ও মামলার নথিপত্র হাইকোর্টে পাঠানো হয়। এরপর নিয়ম অনুসারে প্রয়োজনীয় কাজ সম্পন্নের পর ডেথ রেফারেন্স শুনানির জন্য বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিমের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চের কার্যতালিকায় আসে। যাবজ্জীবন কারাদন্ডপ্রাপ্ত মেহেদী হাসান ওরফে আব্দুল ওয়াদুদ ওরফে গাজী খানকে ১০ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়।
×