ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

আদমদীঘিতে বৃষ্টিতে ডুবল সরকারী খাদ্য গুদাম

প্রকাশিত: ১৮:০৭, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২০

আদমদীঘিতে বৃষ্টিতে ডুবল সরকারী খাদ্য গুদাম

নিজস্ব সংবাদদাতা, সান্তাহার ॥ বৃহস্পতিবার শেষ রাত থেকে সকাল পর্যন্ত হওয়া রিমঝিম বৃষ্টিতেই ডুবে গেছে বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলা সদর খাদ্য গুদাম। নিস্কাশন ব্যবস্থা না থাকায় সামান্য বৃষ্টিতে এই খাদ্য গুদাম সহ পুরো উপজেলা ক্যাম্পাস জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। এর মধ্যে খাদ্য গুদামটির অবস্থা শোচনীয়। বর্তমানে ওই গুদামে সংরক্ষিত কয়েক কোটি টাকা মুল্যের ধান-চাল বিনষ্ট হবার উপক্রম হয়েছে। জানা গেছে, উপজেলা সদরে কোন খাদ্য গুদাম না থাকার প্রেক্ষিতে বিএডিসি’র পরিত্যক্তপ্রায় সার গুদামকে ১৯৯০ সালে সংস্কার করে লোকাল স্টোরেজ ডিপো বা এলএসডি খাদ্য গুদাম করা হয়। সাধারণ ভাবে পাঁচ শত মেট্টিক টন ধারণ ক্ষমতার এই গুদামে সাত শত মেট্টিক টন ধান ও চাল সংরক্ষন করা হয়ে থাকে। সংগ্রহ মৌসুমে আরো বৃদ্ধি পায় বলে জানিয়েছেন ওই খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আতিকুর রহমান। তিনি জানান, এই গুদামের পুর্বে দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে দিয়ে থাকা সওজের গভীর ও বিশাল দৈর্ঘ্যরে খাদে পানি নিস্কাশনের জন্য ড্রেনেজ ব্যবস্থা ছিল। কিন্তু দখল ও ভরাট করার ফলে নিস্কাশন ব্যবস্থা অকেজো হয়ে গেছে অনেক আগেই। তিনি আরো জানান, পুরাতন এই খাদ্য গুদামের সংস্কার কাজ পরিদর্শন করার সময় (এক সপ্তাহ পুর্বে) জেলা খাদ্য কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম ড্রেনেজ ব্যবস্থা প্রকল্প দিয়েছেন। কিন্তু ড্রেনের পানি কোন পথে নিস্কাশন হবে তা খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। উপজেলা প্রকৌশলী রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ির পক্ষে নয়। এব্যাপারে খায়রুল ইসলাম নামের জাতীয় পত্রিকার উপজেলা প্রতিনিধি বলেন, দেশের সব চেয়ে বড় খাদ্য সংরক্ষন ব্যবস্থা বর্তমানে আদমদীঘি উপজেলা। এশিয়ার প্রথম মাল্টিস্টোরিড চাল গুদাম, গম সংরক্ষনাগার সাইলো, সিএসডি এবং প্রায় ২২হাজার মেট্টিক ধারণ ক্ষমতার তিনটি এলএসডিসহ প্রায় দেড়লাখ মেট্টিক টন ধারণ ক্ষমতার এই উপজেলা সদরের খাদ্য গুদাম সামান্য বৃষ্টিতে ডুবে যাওয়া ও নিস্কাশন ব্যবস্থা না থাকা দুঃখজনক। এবিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী সাজেদুর রহমানের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, বর্তমানে ড্রেনেজ ব্যবস্থার কোন পরিকল্পনা নেই। তবে উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্স ভবনের টেন্ডার প্রক্রিয়া চলমান। সেটি বাস্তবায়ন হবার পর ড্রেনেজ ব্যবস্থার ব্যাপারে প্রকল্প নেয়া হবে। এদিকে গত রাতের বৃষ্টিতে শুধু খাদ্য গুদাম-ই নয়, উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা, একটি বাড়ি একটি খামার, সমাজসেবা কার্যালয়সহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তর জলমগ্ন হয়ে গেছে। এছাড়া ডুবে গেছে উপজেলা ক্যাম্পাসের ভিতরের রাস্তাও ।
×