ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

স্বেচ্ছায় সরে দাঁড়ালেন আল্লামা শাহ আহমদ শফী

প্রকাশিত: ১২:৩১, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২০

স্বেচ্ছায় সরে দাঁড়ালেন আল্লামা শাহ আহমদ শফী

নিজস্ব সংবাদদাতা, ফটিকছড়ি ॥ হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফী হাটহাজারী মাদ্রাসার মহাপরিচালকের পদ থেকে স্বেচ্ছায় সরে দাঁড়িয়েছেন বলে জানিয়েছেন বৈঠকের শূরার সদস্যরা। বৃহস্পতিবার রাতে দারুল উলুম মুঈনুল ইসলাম হটহাজারী মাদ্রাসার আল্লামা শাহ আহমদ শফীর কক্ষে মজলিসে শুরার বৈঠকে তিনি মহাপরিচালকের দায়িত্ব থেকে স্বেচ্ছায় অব্যাহতি নিয়েছেন। মজলিসে শুরা অব্যাহতি গ্রহণ করে আল্লামা শফীকে সদরুল মুহতামিম হিসেবে নিয়োগ প্রদান করেছে।শুরা কমিটি ঐ বৈঠকে এ শূণ্য পদে অন্য কাউকে দায়িত্ব দেয়নি। এদিকে, আল্লামা আহমদ শফী শারীরিক গুরুতর অসুস্থ বিধায় তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য ঘোষণা করা হয়। কিন্তু এতে আন্দোলনকারীদের কেউ কেউ আপত্তি জানায়। তাই বাইরে প্রশাসন এবং ভিতরে ছাত্ররা মাদ্রাসার সামনে উভয়পক্ষের মুখোমুখি অবস্থানে রয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১১ টার সময় মজলিসে শুরার পক্ষ থেকে এই ঘোষণা দেয়া হয়। এছাড়াও, মাওলানা আনাস মাদানীকে স্থায়ী ভাবে বহিষ্কার করে এবং আগের সব সিদ্ধান্ত বলবৎ রেখেছে শুরা কমিটি । শুরা কমিটি ছাত্র আন্দোলনের ইন্দন দেয়ার অভিযোগে মাওলানা নুরুল ইসলাম কক্সবাজারীকে সব দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়েছে। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, আল্লামা শাহ আহমদ শফী, আল্লামা শাহ মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী, মাওলানা শেখ আহমদ, মাওলানা নোমান ফয়েজি, মাওলানা সালাহউদ্দিন নানুপুরী, মুফতী নুর আহমদ, মাওলানা শোওয়াইব, মাওলানা ওমর, মওলানা কবির আহমদ, মাওলানা আহমদ দিদার, মাওলানা আশরাফ আলী নিজামপুরী সহ ১১ জন । এর আগে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে করোনা কালীন আরোপিত শর্ত ভঙ্গের ইস্যু তুলে সন্ধ্যায় হাটহাজারী মাদ্রাসা বন্ধ ঘোষণা করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। কিন্তু ঐ ঘোষণা প্রত্যাখ্যান করে ছাত্ররা আন্দোলন অব্যাহত রাখে এবং মাদ্রাসা বিক্ষুব্ধ ছাত্রদের নিয়ন্ত্রণে রেখেছে । শাপলা চত্বরের মত রাতের যে কোন সময়ে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করতে সম্ভাব্য অভিযানের ভয়ে বিক্ষুব্দ ছাত্ররা মাদ্রাসার সবগুলো ফটকে তালা দিয়ে রাখে। এ পরিস্থিতিতে রাতভর বাইরে মোতায়েন রয়েছে বিপুল সংখ্যক পুলিশ এবং ভিতরে ছিল কয়েক হাজার বিক্ষুব্ধ ছাত্রের অবস্থান। যার কারণে, উত্তজনাকর পরিস্থিতি বিরাজ ছিল মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে। বিক্ষোভের শুরু থেকেই ছাত্ররা মাদ্রাসার মূল ফটকে তালা লাগিয়ে দিলে আইনশৃঙ্খলার অবনতির আশঙ্কায় মাদ্রাসার বাইরে প্রধান ফটকের সামনে অবস্থান নেন র্যাব ও পুলিশের সদস্যরা। এদিকে,বৃহস্পতিবার গভীর রাতে শারিরীক অসুস্থতার কারণে আল্লামা শাহ আহমদ শফীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য নগরীর একটি ক্লিনিকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে কয়েকটি সূত্রে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
×