ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

নবেম্বরেই বাজারে আসছে করোনার চীনা ভ্যাকসিন

প্রকাশিত: ২২:৫০, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২০

নবেম্বরেই বাজারে আসছে করোনার চীনা ভ্যাকসিন

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ বিশ্বব্যাপী করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৩ কোটি ছাড়িয়েছে। আর নবেম্বরেই চীনা ভ্যাকসিন বাজারে আসার সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া ভারতে একদিনে প্রায় এক লাখ রোগী শনাক্ত হয়েছে। ফ্রান্সে ফের করোনার ঢেউ শুরু হয়েছে। যেজন্য হাসপাতালগুলো দীর্ঘমেয়াদী প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে। বিশ্বে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে তিন কোটি দুই লাখ ৪৬ হাজার ৭৭৭ জন হয়েছে। মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯ লাখ ৪৮ হাজার ৪৪২ জনে। সুস্থ হয়েছেন দুই কোটি ১৯ লাখ ৫১ হাজার ২৪৪ জন। এখনও চিকিৎসাধীন আছেন ৭৩ লাখ দুই হাজার ২৬৫ জন। যাদের মধ্যে ৬১ হাজার ২৮৩ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়েছেন তিন লাখ ৮ হাজার ২৯৮ জন যা একদিনে সংক্রমিত হওয়া রোগীর সংখ্যায় বিশ্ব রেকর্ড। এদিন মারা গেছেন ছয় হাজার ২২৮ জন। খবর বিবিসি, সিএনএন, এএফপি, আলজাজিরা, রয়টার্স ও ওয়ার্ল্ডোমিটার ডট ইনফোর। করোনার চীনা ভ্যাকসিন জনসাধারণের ব্যবহারের জন্য নবেম্বরেই বাজারে আসতে পারে। এ সম্ভাবনার কথা জানিয়েছেন চীনের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র সিডিসির এক কর্মকর্তা। চীনের তৈরি কোভিড-১৯ এর চারটি ভ্যাকসিন ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের শেষ পর্যায়ে রয়েছে। এর মধ্যে অন্তত তিনটি ভ্যাকসিন ইতোমধ্যে জুলাই মাসে ‘ইমার্জেন্সি ইউজ প্রোগ্রাম’ এর আওতায় জরুরী সেবাদাতা কর্মীদের জন্য সহজলভ্য করা হয়েছে। নবেম্বর বা ডিসেম্বর মাসের মধ্যে চীনা ভ্যাকসিন সাধারণ মানুষের ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সিডিসির চীফ বায়োসেফটি এক্সপার্ট গুইঝেন উ চীনের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে এক সাক্ষাতকারে এসব কথা বলেন। উ জানান, এপ্রিল মাসে তিনি নিজেই পরীক্ষামূলক ভ্যাকসিনটি নিয়েছেন কিন্তু এর অস্বাভাবিক কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি। তবে তিনি কোন ভ্যাকসিনের কথা বলেছেন, তা উল্লেখ করেনি। চীনের জাতীয় ফার্মাসিউটিক্যাল গ্রুপ সিনোফার্ম এবং সিনোভ্যাক বায়োটেক তিনটি ভ্যাকসিন তৈরি করছে। চতুর্থ ভ্যাকসিনটি তৈরি করছে ক্যানসিনো বায়োলজিক্স। যা জুনে চীনের সামরিক বাহিনী ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে। ভারতে রেকর্ড রোগী শনাক্ত ॥ সংক্রমণের সংখ্যায় বিশ্বে দ্বিতীয় স্থানে থাকা ভারতে একদিনে আরও প্রায় এক লাখ রোগী শনাক্তের রেকর্ড হয়েছে। বৃহস্পতিবার দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেয়া তথ্যে দেখা গেছে, ২৪ ঘণ্টায় ৯৭ হাজার ৮৯৪ জনের দেহে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে। শনাক্ত ৫১ লাখ ২০ হাজারেরও বেশি রোগী নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পর সবচেয়ে বেশি করোনা আক্রান্ত দেশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৬৬ লাখ ৩০ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। মহামারী শুরু হওয়ার পর থেকে শুধু এ দুটি দেশেই শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৫০ লাখের দুঃখজনক মাইলফলক পার হয়েছে। টানা এক মাসেরও বেশি সময় ধরে ভারতে প্রতিদিনই বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে বেশি রোগী শনাক্ত হচ্ছে। টানা দুই সপ্তাহ ধরে প্রতিদিন এক হাজারেরও বেশি রোগীর মৃত্যু রেকর্ড হচ্ছে। দিন দিন মৃত্যুর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। কোভিড-১৯ এ শেষ ২৪ ঘণ্টায় এক হাজার ১৩২ জনের মৃত্যু হয়েছে। ফ্রান্সে ফের করোনার ছোবল ॥ এর আগে করোনার ছোবলে ক্ষত-বিক্ষত ফ্রান্স। কিছুটা সময় কমেছিল করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। ফলে লকডাউন প্রত্যাহার করে নেয়ার সুবিধা নিয়ে ফ্রান্সের তরুণরা অবাধ সামাজিক চলাফেরা করেছে। যেজন্য প্যারিস, বোর্ডক্স ও ভূ-মধ্যসাগরীয় উপকূলীয় মার্সেলের মতো বড় বড় শহরগুলোর হাসপাতালে করোনা রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। করোনার প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ায় ফরাসী হাসপাতালগুলো এখন দীর্ঘমেয়াদী প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে। খবরে বলা হয়, ফ্রান্সজুড়েই হাসপাতালের কর্মীরা এখন প্রথম ধাপের চেয়ে বেশি করোনা রোগীর মুখোমুখি হচ্ছেন। করোনা রোগীদের উপসর্গ কমিয়ে আনতে বোর্ডক্স ইউনিভার্সিটি হসপিটাল কর্তৃপক্ষ স্টেরয়েড ওষুধ মজুদ ও ভেন্টিলেটর সেবা উন্নত করছে।
×