ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

করোনায় দেশে আরও ৩৬ জনের মৃত্যু

প্রকাশিত: ২২:৪৩, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২০

করোনায় দেশে আরও ৩৬ জনের মৃত্যু

স্টাফ রিপোর্টার ॥ মোট পরীক্ষিত নমুনা সংখ্যার বিবেচনায় মোট করোনা রোগী শনাক্তের হারের ভিত্তিতে বিশ্বে ষষ্ঠ স্থানে উঠে এসেছে বাংলাদেশ। আর করোনায় মোট মৃতের সংখ্যার বিবেচনায় বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান ২৮তম। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আরও ৩৬ জনের মৃত্যু এবং শনাক্ত হয়েছেন নতুন ১৫৯৩ জন। এ নিয়ে এ পর্যন্ত মৃত্যুর সংখ্যা ৪৮৫৯ এবং আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৩ লাখ ৪৪ হাজার ২৬৪ জনে। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হওয়া ২৪৪৩ জনসহ এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ২ লাখ ৫০ হাজার ৪১২ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ১৩ হাজার ৬৭৩টিসহ এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১৭ লাখ ৮৩ হাজার ৭৭৯টি। গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ১১ দশমিক ৬৫ শতাংশ । ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৭২ দশমিক ৭৪ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার এক দশমিক ৪১ শতাংশ। বৃহস্পতিবার পাঠানো স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডাঃ নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ৩৬ জনের মধ্যে ২৮ জন পুরুষ ও ৮ জন নারী। তাদের বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে দুইজন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে একজন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে পাঁচজন , ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে সাতজন এবং ৬০ বছরের বেশি বয়সী ২১ রয়েছেন। তাদের বিভাগীয় পরিসংখ্যান অনুসারে, ঢাকা বিভাগে ২০ জন, চট্টগ্রামে ৫ জন, রাজশাহীতে ৪ জন, খুলনায় ২ জন, বরিশালে ৩ জন, রংপুরে ১ জন এবং সিলেটে ১ জন রয়েছেন। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে স্বাস্থ্য অধিদফতর আরও জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে রাখা হয়েছে ৩৩১ জনকে। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ১৭ হাজার ১৮৫ জন। ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশন থেকে ছাড়া পেয়েছেন ৪৬৬ জন, এখন পর্যন্ত ছাড়া পেয়েছেন ৬০ হাজার ৯৫৫ জন। এখন পর্যন্ত আইসোলেশন করা হয়েছে ৭৮ হাজার ১৪০ জনকে। আর প্রাতিষ্ঠানিক ও হোম কোয়ারেন্টাইন মিলে ২৪ ঘণ্টায় কোয়ারেন্টাইন করা হয়েছে ১২২৩ জনকে। কোয়ারেন্টাইন থেকে গত ২৪ ঘণ্টায় ছাড় পেয়েছেন ১৭৭৮ জন, এখন পর্যন্ত ছাড়া পেয়েছেন ৪ লাখ ৭২ হাজার ৭৩৯ জন। এখন পর্যন্ত কোয়ারেন্টাইন করা হয়েছে ৫ লাখ ২০ হাজার ৪৩০ জনকে। বর্তমানে কোয়ারেন্টাইনে আছেন ৪৭ হাজার ৬৯১ জন। ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মোট মৃত্যুর শতকরা হারে দেখা গেছে, শূন্য থেকে ১০ বছরের মধ্যে ২১ জন, যা শূন্য দশমিক ৪৩ শতাংশ। ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে ৪১ জন, যা শূন্য দশমিক ৮৪ শতাংশ। ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ১১২ জন, যা দুই দশমিক ৩১ শতাংশ। ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ২৮৭ জন, যা ৫ দশমিক ৯১ শতাংশ। ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ৬৩০ জন, যা ১২ দশমিক ৯৭ শতাংশ। ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ১৩২০ জন, যা ২৭ দশমিক ১৭ শতাংশ এবং ৬০ বছরের বেশি বয়সী মারা গেছেন ২৪৪৮ জন; যা ৫০ দশমিক ৩৮ শতাংশ। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত করোনায় মোট মৃতের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ২৩৬৯ জন, যা মোট মৃতের ৪৮ দশমিক ৭৫ শতাংশ, চট্টগ্রাম বিভাগে ১০১৮ জন, যা মোট মৃতের ২০ দশমিক ৯৫ শতাংশ, রাজশাহী বিভাগে ৩২৮ জন, যা মোট মৃতের ৬ দশমিক ৭৫ শতাংশ, খুলনা বিভাগে ৪১২ জন, যা মোট মৃতের ৮ দশমিক ৪৮ শতাংশ, বরিশাল বিভাগে ১৮৩ জন, যা মোট মৃতের ৩ দশমিক ৭৭ শতাংশ, সিলেট বিভাগে ২১৮ জন, যা মোট মৃতের ৪ দশমিক ৪৯ জন, রংপুর বিভাগে ২২৯ জন, যা মোট মৃতের ৪ দশমিক ৭১ শতাংশ এবং ময়মনসিংহ বিভাগে ১০২ জন, যা মোট মৃতের ২ দশমিক ১০ শতাংশ। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, সারাদেশে করোনা রোগীদের জন্য সাধারণ শয্যা সংখ্যা ১৪ হাজার ২৭৫টি, সাধারণ শয্যায় ভর্তি রোগীর সংখ্যা ৩০৫৫ জন এবং খালি রয়েছে ১১ হাজার ২২০টি শয্যা। দেশে মোট আইসিইউ শয্যা রয়েছে ৫৪৭টি, ভর্তিকৃত রোগী ৩০১ জন এবং খালি রয়েছে ২৪৬টি আইসিইউ শয্যা। দেশে মোট অক্সিজেন সিলিন্ডার রয়েছে ১৩ হাজার ৫৫টি, হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানুলা রয়েছে ৫২৮টি এবং অক্সিজেন কনসেনট্রেটর রয়েছে ৩৪১টি। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা বিভাগে ১০০৭ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ২৬৩ জন, রাজশাহী বিভাগে ৬৪০ জন, খুলনা বিভাগে ৩০৮ জন, সিলেট বিভাগে ১২৪ জন এবং রংপুর বিভাগে ৫২ জন সুস্থ হয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় হটলাইনগুলোর মধ্যে স্বাস্থ্য বাতায়নের নম্বরে ৭৯৮৮টি, ৩৩৩ নম্বরে ৪২ হাজার ৬২টি এবং আইইডিসিআর’র নম্বরে ২৪৫টি , অর্থাৎ মোট ৫০ হাজার ৩০১টি কল এসেছে। আর গত ২৪ ঘণ্টায় আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরসমূহে ২৪৫৫ জন, সমুদ্রবন্দরসমূহে ২৪৩ জন এবং স্থলবন্দরসমূহে ৪৭১ জনকে স্ক্রিনিং করা হয়েছে। এদিকে, মোট পরীক্ষিত নমুনা সংখ্যার বিবেচনায় ১৭ সেপ্টেম্বর করোনা রোগী শনাক্তের হার মেক্সিকোতে ৪৪ শতাংশ, আর্জেন্টিনায় ৩৬ দশমিক ১৭ শতাংশ, ব্রাজিলে ৩০ দশমিক ২৪ শতাংশ, কলম্বিয়ায় ২২ দশমিক ৬৭ শতাংশ, পেরুতে ২০ দশমিক ৭২ শতাংশ, বাংলাদেশে ১৯ দশমিক ৩০ শতাংশ, দক্ষিণ আফ্রিকায় ১৬ দশমিক ৪৯ শতাংশ, চিলিতে ১৪ দশমিক ৬৮ শতাংশ, ইরানে ১১ দশমিক ২৬ শতাংশ, ভারতে ৮ দশমিক ৪৫ শতাংশ, যুক্তরাষ্ট্রে ৭ দশমিক ২৪ শতাংশ , স্পেনে ৫ দশমিক ৭১ শতাংশ, রাশিয়ায় ২ দশমিক ৫৯ শতাংশ।
×