ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

বাংলাদেশে চিকিৎসক এবং রোগীদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির ঘটনা প্রায়ই শোনা যায়

প্রকাশিত: ১৩:৩৪, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২০

বাংলাদেশে চিকিৎসক এবং রোগীদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির ঘটনা প্রায়ই শোনা যায়

অনলাইন ডেস্ক ॥ বাংলাদেশে চিকিৎসক এবং রোগীদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি, বিতণ্ডা এমনকি সংঘর্ষের ঘটনা প্রায়ই শোনা যায়। এসব কারণে মারামারি, হাসপাতাল ভাংচুর এবং মামলা ঘটনাও ঘটে। রোগীদের অভিযোগ, চিকিৎসকরা তাদের কথা মনোযোগ দিয়ে শোনেন না, প্রশ্নের জবাব দেন না এবং যথেষ্ট সময় দেন না। হাসপাতালে ভর্তি রোগীরাও তাদের চিকিৎসার ব্যাপারে পর্যাপ্ত তথ্য পান না। অপরদিকে চিকিৎসকদের অভিযোগ, অনেক সময় রোগীরা তাদের রোগের ব্যাপারে সঠিক তথ্য দেন না। এমন প্রেক্ষাপটে আজ পালিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক রোগী সুরক্ষা দিবস। কিন্তু হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়ার সময় একজন রোগীর কী কী অধিকার থাকে? বাংলাদেশে রোগীরা সেসব অধিকারের ব্যাপারে কতটা সচেতন? বাংলাদেশে এসব অধিকার রক্ষার চর্চায় বা কতটা হয়? রোগী এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের মধ্যে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে কী করা উচিত? কয়েকটি ঘটনা : মিরপুরের বাসিন্দা সোমা সাহার পিতা কয়েক বছর আগে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার পর ঢাকার একটি সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তিনি বলছিলেন, ‘’প্রতিদিন সকালে যখন বড় ডাক্তার রাউন্ডে আসতেন, তখন আমাদের সবাইকে ওয়ার্ড থেকে বের হয়ে যেতে বলা হতো। তিনি চলে যাবার পর একজন জুনিয়র ফাইলে ওষুধ, টেস্ট ইত্যাদি লিখে দিতেন। পরে সেটা দেখে নার্স আমাদের ওষুধ আনতে বলতেন। কিন্তু রোগীর উন্নতি কতটা হচ্ছে, কোন ওষুধ কেন দেয়া হচ্ছে, সেটা কখনোই আমাদের বলা হতো না। জুনিয়রদের কাছে জিজ্ঞেস করলে তারাও বিরক্ত হতেন।‘’ এরকম অভিজ্ঞতা যে শুধু তার একার হয়েছে তা নয়। শামিমা আক্তারের বাচ্চা ছেলের মাথা ফেটে গেলে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেলাই করার পর সার্জারি ওয়ার্ডের চিকিৎসক কোন কথা না শুনেই অ্যান্টিবায়োটিক আর কিছু ওষুধ লিখে দেন। ওষুধগুলোর কোনটার কি কাজ, জানতে চাইলে সেই চিকিৎসক চিৎকার করে বলেন, বাইরে ওষুধের দোকানে গিয়ে জিজ্ঞেস করেন। শুধু সরকারি হাসপাতালেই নয়, উন্নত চিকিৎসার জন্য অনেকে অর্থ খরচ করে যেসব বেসরকারি হাসপাতালে যান, সেখানেও রোগীদের অভিযোগ রয়েছে যে, তাদের চিকিৎসা, ওষুধ বা অপারেশনের ব্যাপারে ঠিক মতো অবহিত করা হয় না। এমনকি চেম্বারে চিকিৎসকরাও রোগীদের কথা ভালো ভাবে না শুনেই চিকিৎসাপত্র দেন বলে অভিযোগ আছে। নাজমা আক্তার ঢাকার একটি পাকস্থলীর সমস্যা নিয়ে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। তিনি বলছেন, ‘’চিকিৎসক এসে রোগী দেখে যাওয়ার পর তার জুনিয়র এসে আমাদের জানাতেন, এই করতে হবে, ওই টেস্ট করতে হবে। কিন্তু মূল চিকিৎসক কখনো ভালোভাবে কথাও বলতেন না। প্রতিদিন অনেকগুলো করে টেস্ট করতে দিতেন। কিন্তু সেসব টেস্ট কেন করা হচ্ছে, আদৌ দরকার আছে কিনা, তার কোন ব্যাখ্যা কখনো পাই নি।‘’ দুই বছর আগে অক্টোবরে ডেঙ্গু জ্বর নিয়ে ঢাকার একটি নামী বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন ভিকারুননিসার ছাত্রী আফরিন হক। একদিন পরেই তার মৃত্যু হয়। চিকিৎসকরা পরিবারের সঙ্গে কোনরকম আলোচনা না করেই তার লাইফ সাপোর্ট সরিয়ে নিয়েছিলেন বলে পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করেন। রোগী ও চিকিৎসকের সম্পর্ক নিয়ে ধারণার অভাব: বাংলাদেশের একটি বেসরকারি হাসপাতালের কর্ণধার এবং জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. লেলিন চৌধুরী বলছেন, বাংলাদেশে রোগী এবং চিকিৎসক পরস্পরের প্রতি যে দায়বদ্ধতা, ডাক্তার এবং রোগীর সম্পর্ক যে অলিখিত বোঝাপড়ার একটি সম্পর্ক, সেই সম্পর্কে তাদের কারো ধারণা নেই। ‘’রোগী যখন কোন বিষয়ে ডাক্তারের সহযোগিতা প্রার্থী হন, ডাক্তার সেটা দেখেন কর্তৃত্ববাদী দৃষ্টিকোণ থেকে। অর্থাৎ আমি বললাম, আপনি এটা করুন। আসলে হওয়া উচিত, ডাক্তার তার লব্ধ জ্ঞানকে রোগীর কাছে রোগীর মতো করে উপস্থাপন করবেন। সেটা করতে গেলে তার সামাজিক, সাংস্কৃতিক, শিক্ষা ইত্যাদি বিষয় বিবেচনায় রাখতে হবে। ‘’ একই সাথে রোগীকেও মনে রাখতে হবে, তিনি যে বিষয়টির জন্য চিকিৎসকের সহযোগিতা প্রার্থী হয়েছেন, সেই বিষয়টি তাকে বুঝে নিতে হবে। অর্থাৎ চিকিৎসকের সেবাটা নেয়ার জন্য, যোগাযোগ করার জন্য তাকেও প্রস্তুতি নিতে হবে।‘’ তিনি বলছেন, চিকিৎসক এবং রোগীর এই যোগাযোগের জায়গাটা বাংলাদেশে একটি ঘাটতি রয়েছে বলে তাদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির ঘটনা ঘটে। তখন একে অপরের প্রতি দোষারোপের ঘটনা ঘটে। পাবলিক হেলথ ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের চেয়ারপার্সন ডা. শারমিন ইয়াসমিন বলছেন, ‘’নিজেদের এসব অধিকারের ব্যাপারে রোগীরাও সচেতন নন বা জানেন না। ফলে তারা তাদের অধিকার দাবি করতে পারেন না বা আদায় করে নিতে পারছেন না। তাদের জানতে চাইতে হবে। সেই ব্যাপারে তাদেরও সচেতন হওয়া দরকার। তখন আমাদের ভেতর ট্রেন্ডটা চালু হবে। ‘’ কোথাও কোথাও চার্টার আকারে রোগী চিকিৎসকের অধিকার, দায়িত্বের কথা লেখা থাকে, কিন্তু বাংলাদেশের ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট কোন প্রটোকল অনুসরণ করা হয় বলে এই জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের জানা নেই। চিকিৎসা সেবা নিতে গিয়ে রোগীর কী কী অধিকার রয়েছে? পাবলিক হেলথ ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের চেয়ারপার্সন ডা. শারমিন ইয়াসমিন বিবিসি বাংলাকে বলছেন, বিশ্বের যেকোনো যেদেশেই রোগীদের প্রধান অধিকার হচ্ছে চিকিৎসা সেবা সংক্রান্ত তথ্য প্রাপ্তির অধিকার। অর্থাৎ তাকে কি চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে, কার কাছ থেকে নিচ্ছেন, সেটার জন্য কেমন খরচ হবে, কী ওষুধ দেয়া হচ্ছে বা হবে, কোনটা করলে ভালো হবে, না করলে কি কি সমস্যা হতে পারে, শারীরিক কোন অসুবিধা হতে পারে কিনা, এমনকি মানসিক কোন সমস্যা হতে পারে কিনা- প্রতিটি তথ্য রোগী বা তাদের স্বজনদের জানার অধিকার রয়েছে।সেবা পাওয়ার সময় তার যদি কোনরকম ঝুঁকির সম্ভাবনা থাকে, সেটাও তাকে আগে থেকে অবহিত করতে হবে। ডা. শারমিন ইয়াসমিন বলছেন, "হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ থেকে শুরু করে চিকিৎসক, নার্স- যেই হোক, রোগী বা তার অ্যাটেন্ডডেন্টের যদি কোন প্রশ্ন থাকে, সেটার উত্তর তাকে দিতে হবে। সেটা অবশ্যই তাদের নিশ্চিত করতে হবে।" "একজন রোগীর অধিকার রয়েছে বেছে নেয়ার যে, সেই ওই চিকিৎসা নেবেন নাকি নেবেন না," বলছেন ডা. ইয়াসমিন। কিন্তু এসব অধিকার রক্ষায় বাংলাদেশে অনেক ঘাটতি রয়েছে বলে বলছেন এই জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ। বাংলাদেশে রোগীদের অধিকার কতটা রক্ষা হয়? বাংলাদেশে ভুল চিকিৎসা বা রোগীদের অধিকার রক্ষা নিয়ে সুনির্দিষ্ট কোন আইন নেই। রোগীরা ভুল চিকিৎসার শিকার হলে ফৌজদারি বিভিন্ন আইনের আশ্রয় নিতে পারেন। কোন নির্দিষ্ট চিকিৎসকের বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে বাংলাদেশ মেডিক্যাল এন্ড ডেন্টাল কাউন্সিলে অভিযোগ জানাতে পারেন। এক্ষেত্রে তদন্ত করে বিএমডিসি চিকিৎসকের লাইসেন্স বাতিল করতে পারেন, যদিও এরকম ঘটনা খুব একটা শোনা যায় না।হাসপাতাল বা চিকিৎসকের ভুল চিকিৎসা, অবহেলা, হয়রানি বা প্রতারণার শিকার হলে ফৌজদারি বিভিন্ন আইনের আশ্রয় নিতে পারেন বা মামলা করতে পারেন। কিন্তু স্বাস্থ্য সেবার অধিকার ক্ষুণ্ণ হলে শুধুমাত্র একটি জায়গায় গিয়ে অভিযোগ জানালে প্রতিকার পাওয়া যাবে, কোন ব্যবস্থা বা গাইডলাইন এখনো বাংলাদেশে নেই বলে জানিয়েছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। ফলে অধিকার ক্ষুণ্ণ, অবহেলা বা ভুল চিকিৎসার কারণে কারো শাস্তি, ক্ষতিপূরণ প্রাপ্তির উদাহরণ অত্যন্ত বিরল। বাংলাদেশে রোগীর অধিকার রক্ষায় কি করা যেতে পারে? জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাংলাদেশের রোগীদের অধিকার রক্ষা এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝি এড়াতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে একটি স্বতন্ত্র বডি বা সংস্থা থাকা উচিত। যাদের কাছ হবে চিকিৎসা সেবা বিষয়ে কোন অভিযোগ পেলে উভয় পক্ষের বক্তব্য শুনে ব্যবস্থা নেয়া। বিশেষজ্ঞ ডা. লেলিন চৌধুরী বলছেন, আমরা অনেক দিন ধরেই এরকম একটি বডি তৈরি করার জন্য দাবি করে আসছি। কোন রোগী বা স্বজন যদি মনে করেন, তাদের অধিকার লঙ্ঘন করা হয়েছে, যথাযথ আচরণ করা হয়নি, তাহলে তারা সেখানে অভিযোগ জানাতে পারবেন। ধরা গেল, সাত কার্যদিবসের মধ্যে উভয়পক্ষের শুনানির মাধ্যমে যৌক্তিকভাবে সমাধান করা হবে। কিন্তু এরকম কোন নিয়ম, আইন বা দপ্তর এখনো বাংলাদেশে নেই। বাংলাদেশের স্বাস্থ্য অধিদফতরের হাসপাতাল বিভাগের পরিচালক ডা. ফরিদ উদ্দিন মিয়া বিবিসি বাংলাকে বলছেন, সরকারি-বেসরকারি কোন হাসপাতাল বা চিকিৎসকের বিরুদ্ধে যদি কারো কোন অভিযোগ থাকে, সেটা আমরা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেই। স্বাস্থ্য অধিদফতরে মহাপরিচালক বরাবর লিখিত আকারে এরকম অভিযোগ দেয়া যেতে পারে বলে তিনি জানান। তবে চিকিৎসক-রোগীদের সম্পর্ক নিয়ে অভিযোগ, সংবাদ পত্রপত্রিকায় ছাপা হলেও অধিদফতরে এরকম অভিযোগ জমা পড়ার ঘটনা বিরল। কিন্তু হাসপাতাল, চিকিৎসকের বিরুদ্ধে রোগীদের অভিযোগ দেখার জন্য সুনির্দিষ্ট একটি দফতর তৈরির বিষয় পরিকল্পনায় থাকলেও এখনো গঠিত হয়নি বলে তিনি জানান। পাবলিক হেলথ ফাউন্ডেশনের চেয়ারপার্সন ডা. শারমিন ইয়াসমিন বলছেন, রোগীদের অধিকার রক্ষায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। তাদের হাসপাতালের নীতিমালার মধ্যে এসব বিষয় রাখতে হবে, সেটার প্রয়োগ করতে হবে। রোগীদের তথ্য প্রাপ্তির বিষয়টা তাদের নিশ্চিত করতে হবে। ডা. লেলিন চৌধুরী পরামর্শ দিয়ে বলছেন, বাংলাদেশে যখন চিকিৎসকরা পড়াশোনা শেষ করে যখন রোগী দেখার জন্য লাইসেন্স পান, তার আগে অন্তত ১০ দিন বা ১৫ দিনের একটা ওরিয়েন্টশন কোর্স করানো উচিত, যেখানে থাকবে তিনি যখন পেশাজীবন শুরু করবেন, তখন কীভাবে রোগী-চিকিৎসকের সম্পর্ক কেমন হওয়া উচিত। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশেও সুনির্দিষ্ট একটা গাইডলাইন তৈরি করা উচিত, যেখানে রোগী এবং চিকিৎসক, উভয়েরই অধিকার, দায়িত্ব এবং সুরক্ষার বিষয়গুলো উল্লেখ থাকবে বলে তিনি করেন। মি. চৌধুরী জানান, তার হাসপাতালে তাদের তো করে একটি স্ট্যান্ডার্ড প্রটোকল অনুসরণ করা হয়। যাতে রোগী এবং চিকিৎসক, উভয়ের মধ্যে একটি যোগাযোগের ব্যবস্থা থাকে। সেখানে রোগীদের তথ্য দেয়া এবং রোগীর কাছ থেকে তথ্য নেয়া, উভয় ব্যবস্থাই রয়েছে। তিনি উদাহরণ দিয়ে বলেন, আইসিইউতে সকালে সন্ধ্যায় রোগীদের ব্রিফ করা হয়। এছাড়া একজন কর্মকর্তাকে সার্বক্ষণিকভাবে দায়িত্ব দেয়া আছে যার কাজ রোগী এবং স্বজনদের সঙ্গে যোগাযোগের বিষয়গুলো নিশ্চিত করা। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে হাসপাতালের রোগীদের অধিকার বেশ পরিষ্কারভাবে বলা আছে। অন্যদিকে রোগীদের দায়িত্ব সম্পর্কেও অবহিত করা হয়। ব্রিটেনের জাতীয় স্বাস্থ্য সেবা বিভাগে রোগীদের অধিকার সম্পর্কে বলা হয়েছে: • জাতি, ধর্ম, বর্ণ, জাতিগত উৎস, বয়স ও লিঙ্গ নির্বিশেষে পরিচর্যা পাওয়ার • সেবা প্রদানকারী সব ব্যক্তির নাম, পরিচয় এবং পেশাদারি মর্যাদা জানার এবং তাঁদের দায়িত্ববান ডাক্তার সম্পর্কে জানার • চিকিৎসা সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য জানা এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণে অংশগ্রহণ করা • চিকিৎসা গ্রহণ করা বা প্রত্যাখ্যান করার অধিকার • চিকিৎসা সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্যের গোপনীয়তা রক্ষার • কোনরকম মৌখিক, শারীরিক, মানসিক লাঞ্ছনা, হয়রানি বা অবহেলা মুক্ত চিকিৎসা সেবা প্রাপ্তি • তাঁদের ব্যক্তিগত সাংস্কৃতিক, ধর্মীয় বা আধ্যাত্মিক এবং সামাজিক মূল্যবোধ ও বিশ্বাসের সম্মান • রোগের প্রকৃতি, সম্ভাব্য ঝুঁকি, সুবিধা, বিকল্প, অপ্রত্যাশিত ফলাফল ও খরচ সহ তাঁদের স্বাস্থ্যের অবস্থা জানার এবং তাঁদের স্বাস্থ্য পরিচর্যা সিদ্ধান্তে পূর্ণভাবে অংশগ্রহণের • হাসপাতাল নীতি অনুযায়ী ভিজিটর অ্যাকসেস করার • পরিচর্যার গুণমান সম্পর্কে অভিযোগ বা আপত্তি প্রকাশের এবং বৈষম্য বা বঞ্চিত হওয়ার কোনো ভীতি ছাড়াই প্রতিবাদ করার এবং তাঁদের অভিযোগের তাৎক্ষণিক ও সৌজন্যমূলক প্রতিক্রিয়া পাওয়ার • তাঁদের মেডিক্যাল রেকর্ডে যেসব তথ্য আছে তা অনুরোধের পর অ্যাকসেস করার • যে কোনো চিকিৎসার খরচ সম্পর্কে তথ্যের অনুরোধ ও তা পাওয়ার এবং অনুরোধের ভিত্তিতে বিলের ব্যাখ্যা পাওয়ার • মেডিক্যাল পরামর্শের বিরুদ্ধে ডিসচার্জ এবং পরিচর্যা প্রত্যাখ্যানের • কোনরকম ভীতি ছাড়াই হাসপাতাল বা হাসপাতালের বাইরের কোন দ্বিতীয় কোন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ গ্রহণ রোগীর দায়িত্ব : • উপযুক্ত পরিচর্যা পাওয়ার জন্য ব্যক্তিগত ও পরিবারের যাবতীয় প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদান • চিকিৎসা সেবা সম্পর্কে সিদ্ধান্ত গ্রহণে তাঁদের অংশগ্রহণ এবং সম্মত পরিচর্যা মেনে চলা • হাসপাতাল নিয়ম মেনে চলা যেমন ধূমপান নিষেধ ও ভিজিটর সংক্রান্ত নীতি • স্বাস্থ্য সেবার জন্য আর্থিক দায়িত্ব গ্রহণ এবং তৎক্ষণাৎ বিল নিষ্পত্তি করা সূত্র : বিবিসি বাংলা
×