ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

নিপীড়িতদের পাশে অ্যাঞ্জেলিনা জোলি

প্রকাশিত: ১১:৪১, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২০

নিপীড়িতদের পাশে অ্যাঞ্জেলিনা জোলি

অনলাইন ডেস্ক ॥ ইয়েমেনে হাজারও মানুষকে মানবেতর দিনযাপন করতে হচ্ছে। তাদের পাশে কিছুটা হলেও যেন দাঁড়ানো যায়—সেই লক্ষ্যে এগিয়ে এসেছিল দুই ব্রিটিশ শিশু। বাড়ির সামনের সড়কে টেবিল পেতে তারা লেমোনেড ও কুকি বিক্রির দোকান চালু করেছিল। নিপীড়িতদের সহায়তা করতে শিশুদের এমন উদ্যোগ মন ছুঁয়ে গেছে হলিউড তারকা অ্যাঞ্জেলিনা জোলির। যে কারণে তিনি সেই শিশুদের পাশে দাঁড়িয়েছেন এবং পাঠিয়েছেন অনুদান। অবশ্য অনুদানের অঙ্কটা তিনি প্রকাশ করেননি। সিএনএনের খবরে বলা হয়, পূর্ব লন্ডনের ছয় বছর বয়সী দুই ব্রিটিশ স্কুলশিক্ষার্থী আয়ান মুসা ও মিকাইল ইশা খুবই ভালো বন্ধু। গত জুলাইয়ে তারা দাতব্য উদ্দেশ্য নিয়ে ওই দোকান চালু করেছিল। আয়ান মুসার বাবা শাকিল মুসা জানিয়েছেন, সপ্তাহ তিনেক আগে হলিউড সুপার স্টার অ্যাঞ্জেলিনা জোলি একজন এজেন্টের মাধ্যমে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। শিশুরা যে উদ্দেশ্য নিয়ে সড়কে দোকান বসিয়ে অর্থ সংগ্রহ করছিল, জোলি ঠিক একই উদ্দেশে তাদের জন্য অনুদান দিতে চান বলে জানান ওই এজেন্ট। এ সপ্তাহে ওই অনুদানে অর্থ পাঠিয়ে দিয়েছেন তিনি। কেবল টাকা-ই নয়, দুই শিশুর জন্য জোলি একটি চিঠিও লিখেছেন। চিঠিতে তিনি তাদের মহত্ উদ্দেশ্যের প্রতি সম্মান জানান। সেইসঙ্গে সশরীরে উপস্থিত থেকে লেমোনেড কিনে খেতে পারেননি বলে আন্তরিকভাবে দুঃখও প্রকাশ করেন। দুই শিশু ইনস্টাগ্রামে সেই চিঠির প্রাপ্তিস্বীকার করে পোস্টও দিয়েছে। জোলিকে জানিয়েছে ধন্যবাদ এবং অন্যদেরও এভাবে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছে। মুসা বলেছে, তিনি খুবই অসাধারণ। তিনি বিশ্বের সবচেয়ে খ্যাতিমান তারকাদের একজন। তার কাছ থেকে এমন সাড়া পাওয়াটা খুবই উচ্ছ্বাসের বিষয়। তিনি অতুলনীয়। ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করা ভিডিওবার্তায় এই দুই শিশু বলেছে, ‘হাই অ্যাঞ্জেলিনা। আমি আয়ান ও আমি মিকাইল। আমরা সেই ‘লেমোনেড’ শিশু। আমাদের জন্য তুমি যে অনুদান পাঠিয়েছ, তার জন্য তোমাকে ধন্যবাদ জানাতে চাই।’ এ সময় তারা জোলি কখনো লন্ডনে এলে তার কাছে সরাসরি লেমোনেড বিক্রি করতে চায় বলেও জানিয়েছে। সুপারস্টার অ্যাঞ্জেলিনা জোলির এমন মানবিক সহায়তা নিয়ে মানুষের পাশে দাঁড়ানো অবশ্য নতুন কিছু নয়। জোলি নিজে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর’র একজন বিশেষ দূত। এর আগেও তিনি মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সংঘাত ও দারিদ্র্য নিয়ে একাধিকবার সোচ্চার হয়েছেন। মধ্যপ্রাচ্যের এসব সংঘাতপূর্ণ দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম ইয়েমেন। দেশটিতে ২০১৫ সাল থেকে গৃহযুদ্ধ চলছে। অভিযোগ আছে, সেখানকার বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোকে সৌদি আরব ও আরব আমিরাতের মতো দেশগুলো সমর্থন দিয়ে থাকে। গত পাঁচ বছরে এই গৃহযুদ্ধে এক লাখেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। দেশটির প্রায় অর্ধেক জনগণকেই দুর্ভিক্ষের মুখে পড়তে হয়েছে।
×