ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

আগেই জানত বেয়ার্ন মিউনিখ, মুখ খুললেন লেভানডোস্কি

প্রকাশিত: ২৩:৩৪, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২০

আগেই জানত বেয়ার্ন মিউনিখ, মুখ খুললেন লেভানডোস্কি

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ যোগ্য দল হিসেবেই এবার উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লীগের শিরোপা জিতেছে বেয়ার্ন মিউনিখ। পুরো টুর্নামেন্টে ১১ ম্যাচ জিতে। চ্যাম্পিয়ন্স লীগে এমন রেকর্ড আগে দেখেনি কখনোই। এবার অপ্রতিরোধ্য বেয়ার্ন মিউনিখকেই দেখা গেছে। সেইসঙ্গে ২০১৩ সালের পর আরও একবার ট্রেবল শিরোপা জয়ের স্বাদ পেয়েছে জার্মান জায়ান্টরা। ফাইনালে পিএসজিকে হারিয়ে গত মৌসুমটাকে একেবারে রাঙিয়ে নেয় মুলার-লেভানডোস্কিরা। তবে চ্যাম্পিয়ন্স লীগে এবার বেয়ার্নের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ছিল কোয়ার্র্টার ফাইনালের ম্যাচটি। যেখানে তাদের প্রতিপক্ষ ছিল স্প্যানিশ জায়ান্ট বার্সিলোনা। শেষ আটের ম্যাচেও চমকপ্রদ পারফর্মেন্স উপহার দেয় বেয়ার্ন। অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি সেই ম্যাচে তারা গুনে গুনে ৮ বার বল জড়ায় বার্সিলোনার জালে। শেষ পর্যন্ত ম্যাচটা জিতে ৮-২ ব্যবধানে! আর কাতালানদের বিপক্ষে ম্যাচটা যে বড় ব্যবধানে জিতবে বেয়ার্ন তা নাকি আগেই জানা ছিল তাদের! হ্যাঁ, ক্লাবটির সেরা তারকা রবার্ট লেভানডোস্কিই জানালেন এই কথা। এ প্রসঙ্গে মঙ্গলবার এক সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘আমি দলের একজনের সঙ্গে কথা বলছিলাম, তখন সে আমাকে বলে আমরা ম্যাচটা ৫-১ ব্যবধানে জিতব!’ বেয়ার্নের পোলিশ স্ট্রাইকার এ সময় আরও বলেন, ‘খেলার সময়ও জানতাম যে, আমরা শক্তিশালী দল। শুধু তাই নয়, সেই ম্যাচে আমরা বেশ ভালও খেলছিলাম। তবে ততক্ষণে কয় গোল দিয়েছি সেটা তখনও বিবেচ্য বিষয় ছিল না আমাদের মাঝে বরং আমরা আরও গোল দিতে মরিয়া ছিলাম। তবে এটা নিশ্চিত করে বলতে পারি যে সেই ম্যাচটা ছিল দারুণ এক উপভোগ্য ম্যাচ এবং সন্ধ্যাটাও ছিল দুর্দান্ত।’ বার্সাকে হারানোর পর লিওনের বিপক্ষেও বড় (৩-০) জয় পায় বেয়ার্ন। শেষ ম্যাচে ফাইনালে তারা ১-০ গোলে পিএসজিকে পরাজিত করে স্বপ্নের শিরোপা পুনরুদ্ধার করে। অন্যদিকে ৫০ বছরের ইতিহাসে প্রথমবার ফাইনালে উঠলেও স্বপ্নভঙ্গের বেদনায় নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় পিএসজিকে। ৪৫ মিনিটের কনফারেন্সে লেভানডোস্কি আরও নানান বিষয় নিয়ে কথা বলেন। বিশেষ করে ফেবারিট হয়েও এবার ব্যালন ডি’অর জিততে না পারার হতাশাটা বেশ ভালভাবেই ঘায়েল করেছে তাকে। তিনি বলেন, ‘সত্যি কথা বলতে, ব্যালন ডি’অর জেতাটা যে কোন খেলোয়াড়ের জন্যই স্বপ্ন।’ লেভানডোস্কি এ সময় আরও বলেন, ‘আমার বয়স এখন ৩২ বছর। আমি আরও পাঁচ থেকে ছয় বছর খেলতে চাই। তবে আমি জানি না মেজর সকার লীগে খেলার খেলব কী না। তবে ভবিষ্যতে খেলার সুযোগ তৈরিও হতে পারে।’ বুন্দেসলিগার নতুন মৌসুম শুরু হচ্ছে কাল থেকে। তার আগেই বুন্দেসলিগা ভক্তদের জন্য দারুণ সুখবর দিয়েছে জার্মান ফুটবল ফেডারেশন (ডিএফবি)। করোনাভাইরাসের মাঝেই বুন্দেসলিগার গ্যালারিতে ফিরছেন দর্শক।
×