ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

বাগেরহাটে পশু খাদ্যের দাম বৃদ্ধি ॥ বিপাকে খামারি

প্রকাশিত: ২১:২২, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২০

বাগেরহাটে পশু খাদ্যের দাম বৃদ্ধি ॥ বিপাকে খামারি

স্টাফ রিপোর্টার, বাগেরহাট ॥ বাগেরহাটে গো-খাদ্র্যের তীব্র সঙ্কট ও ফার্মের খাদ্য উপকরণ সামগ্রীর মূল্য বৃদ্ধির কারণে খামারিরা দিশেহারা হয়ে পড়ছেন। পাশাপাশি হাঁস-মুরগির প্রতিষেধক টিকা/ভ্যাকসিনের তীব্র সঙ্কট দেখা দিয়েছে। চাষীরা ছোটাছুটি করেও প্রয়োজনীয় ভ্যাকসিন পাচ্ছেন না। পোল্ট্রি খাবারেরও দাম বেড়েছে। এ অবস্থায় পোল্ট্রি খামারিরাও হাপিত্যেশ করছেন। আম্ফান ও অতিবৃষ্টিসহ অস্বাভাবিক জোয়ারে এ অঞ্চলে অধিকাংশ খামারিরা ক্ষতিগ্রস্ত হন। খড়কুটোসহ গো-খাদ্যের মারত্মক ক্ষতি হয়। স্বল্প মূলধনের অধিকাংশ খামারি পথে বসার উপক্রম হয়েছেন। তাদের ফার্ম বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন তারা। ফলে মাংস, দুধ ও ডিমের স্বাভাবিক সরবরাহ বাধাগ্রস্ত হয়ে আমিষের যোগান ব্যাহত হবে। ফার্ম মালিক ও চাষীরা স্বল্প সুদে ঋণ, ভর্তুকি ও প্রণোদনার দ্রুত সহায়তার আর্জি জানিয়েছেন। জানা গেছে, গত কয়েক মাসের করোনা পরিস্থিতির কারণে দেশী জাতের গবাদি পশুর খাদ্য সঙ্কট চরম আকার ধারণ করে। কোথাও খড়কুটা, বিছালী এমনকি ঘাস পর্যন্ত সংগ্রহ করা দুরূহ ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ অবস্থায় গবাদি পশু চাষীরা খড়কুটা ও বিছালীর অভাবে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। কোন কোন স্থানে খড়কুটা ও বিছালী ম্যানেজ করা গেলেও আকাশ ছোয়া দামের কারণে তারা চরম অসহায় হয়ে পড়েছেন। গবাদি পশুচাষীরা জানিয়েছেন, কয়েকমাস আগে যে বিছালীর কাউন (১৬ পোনে ১ কাউন) ছিল ২-৩ হাজার টাকা, তা এখন বেড়ে দাঁড়িয়ে ৬-৭ হাজার টাকায়। আগে ১ বস্তা কুড়োর মূল্য ছিল ৫৬০ টাকা, তা এখন বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭২০ টাকা, পালিশ কুড়ার মূল্য ছিল ১১শত টাকা তা এখন বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫শত টাকায়, খৈলের কেজি ছিল ৩০ টাকা তা এখন বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪০ টাকায়। এভাবে দিনের পরদিন বাজার ব্যবস্থাপনার কোন সঠিক মনিটরিং না থাকায় যে যার ইচ্ছামতো দাম বসানোর ফলে গবাদি পশু পালনে তারা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। বেতাগা ইউনিয়নের চাকুলী গ্রামের ডেইরি ফার্ম মালিক মোঃ আব্দুল হান্নান, মোঃ আলমগীর শিকারী ও রামপ্রসাদ শীলসহ একাধিক চাষীর সঙ্গে আলাপ করা হলে তারা বলেন, বর্তমানে বাজারে গো-খাদ্র্যের তীব্র সঙ্কট দেখা দিয়েছে।
×