ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

তাসনিম হাসান মজুমদার

ব্যাচেলর ও ভাল বাসা

প্রকাশিত: ২১:১২, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২০

ব্যাচেলর ও ভাল বাসা

বাঙালী হিসেবে আমরা আরামপ্রিয়। সময়ের ব্যবধানে আমরা গ্রাম ছেড়ে শহরমুখী হয়েছি। আমাদের অধিকাংশ মানুষেরই শহরের নিজস্ব বাসা নেই। ভাড়া বাসায় থাকতে হয়। অনেকে চাকরির জন্য থাকেন। আবার অনেকে সন্তানের পড়ালেখার উদ্দেশ্যে থাকেন। আর, আমার মতো অবিবাহিত অল্পবয়সীরা মেস বাড়িতে থাকি। তাও নিতান্তই পড়ালেখার জন্যই। আমরা প্রায়ই নিম্ন-মধ্যবিত্ত বা মধ্যবিত্ত ঘরের সন্তান। অনেকেরই নুন আনতে পানতা ফুরায়। ফ্যামিলির সব খরচ বহন করে আমাদের মেস ভাড়া বহন করাটা বাড়তি একটা চাপ অভিভাবকদের উপর। এ জন্য বাসা ভাড়া দিতে একটু বিলম্ব হলে, বাড়িওয়ালার নানান কথা শুনতে হয়। বাসা ছেড়ে দিতেও বলে থাকেন। এসব কথাবার্তা অপমানকর। একজন ব্যাচেলর স্টুডেন্টের জন্য এ রকম হুমকি নিঃসন্দেহে হতাশার। শহরতলিতে একটা বাসা খুঁজে পাওয়া মানে মরুভূমিতে পানির সন্ধান মেলা। ব্যাচেলরকে বাসা ভাড়া কেউই দিতে চায় না। তারপরও ফ্যামিলি বাসার আগেই ব্যাচেলররা বাসা ভাড়া পরিশোধ করে থাকে। অথচ সব সময় তাঁদের শঙ্কার মাঝে দিনাতিপাত করতে হয়। বাড়ির মালিক কখন বলে বাসা ছেড়ে দিতে। আর, এই করোনা বাড়ির মালিকদের আসল চেহারা উন্মোচন করেছে। ব্যাচেলররা মার্চ মাসে গ্রামে ফেরার সময় বাসায় অনেক কিছুই রেখে এসেছে। মালিকপক্ষ করোনার ক্রান্তিকালে বাসা ভাড়া না পেয়ে ব্যাচেলর স্টুডেন্টদের জামা কাপড়, সার্টিফিকেট, কাঁথা-বালিশ, তোষক এমন প্রয়োজনীয় বহু কিছুই নষ্ট করেছেন। অধিকাংশ স্টুডেন্টই বাসা ভাড়া পরিশোধ করেছে। তারপরও তাদের রেখে আসা পোষাক পরিচ্ছেদ নষ্ট করেছে মালিকপক্ষ। আমিও এই অত্যাচারের ভুক্তভোগী। আমি প্রতিমাসে সঠিক সময়ে ভাড়া পরিশোধ করেও, গত মাসে ভাড়া বাসায় ফিরে গিয়ে দেখি, আমার প্যান্ট-শার্ট, বালিশ, বিছানা চাদর, ল্যাপটপের ব্যাগ, খাবার প্লেট ইত্যাদি খুঁজে পাচ্ছি না। বাসার ম্যানেজারকে জিজ্ঞেস করেও সঠিক উত্তর মিলেনি। এগুলো সরাসরি ক্রাইম। টাকা নিয়েছে ঠিক, জানমালের নিরাপত্তা দিতে পারেনি। এ রকম মালিক-ভাড়াটিয়া দা-কুমড়া সম্পর্ক প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম। সঠিক সমাধান চাই এই বিষয়ে। আর কত হব হয়রানির শিকার! চট্টগ্রাম থেকে
×