ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

রাজশাহীর বাজারে অভিযান শেষেই বেড়ে গেল পেঁয়াজের দাম

প্রকাশিত: ১৫:৩২, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২০

রাজশাহীর বাজারে অভিযান শেষেই বেড়ে গেল পেঁয়াজের দাম

স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী ॥ রাজশাহীর বাজারে একদিনের ব্যবধানে এখন দেশি পেঁয়াজের কেজিতে ৪০ থেকে ৫০ টাকা বেড়ে ৯০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর ভারতীয় পেঁয়াজের দাম চলছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা। আজ বুধবার সকালে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত যেতেই ব্যবসায়ীরা দাম কমিয়ে দেন। তবে আধাঘণ্টা পর ম্যাজিস্ট্রেট ফিরে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই বেড়ে যায় ফের দাম। রাজশাহী নগরীর সাহেববাজারে এই দৃশ্য দেখা গেছে। আজ বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবু আসলাম ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাজমুল হোসাইন বাজারটিতে অভিযান শুরু করেন। এ সময় ব্যবসায়ীরা পেঁয়াজের দাম কমিয়ে দেন কেজিতে ২৫ থেকে ৩০ টাকা। কিন্তু সাইফুল ইসলাম নামে এক ব্যবসায়ী অতিরিক্ত দামেই পেঁয়াজ বিক্রি করছিলেন। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাজমুল হোসাইন তাকে দুই হাজার টাকা জরিমানা করেন। এ সময় বাড়তি দাম না নেয়ার জন্য ব্যবসায়ীদের সতর্ক করা হয়। এরপর দুইজন ম্যাজিস্ট্রেট বাজার থেকে চলে যান। এরপরই আবারও দেশি পেঁয়াজ ৯০ থেকে ১০০ টাকা এবং ভারতীয় পেঁয়াজ ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে দেখা যায়। অথচ ম্যাজিস্ট্রেট থাকার সময় দেশি পেঁয়াজ ৭০ থেকে ৭৫ টাকা ও ভারতীয় পেঁয়াজ ৫৫ থেকে ৬০ টাকা দরে ব্যবসায়ীদের বিক্রি করতে দেখা যায়। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবু আসলাম বলেন, প্রাথমিকভাবে ব্যবসায়ীদের সতর্ক করা হয়েছে। এই অভিযানই শেষ নয়। পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে অভিযান চলবে। এদিকে একদিনের ব্যবধানে দাম বেড়েছে কেজিতে প্রায় ৫০ টাকা। ব্যবসায়ীরা বলছেন, আমরা ৭৫ টাকা দরে পেঁয়াজ কিনছি। কিন্তু প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে ৬০ টাকা দরে বিক্রি করতে। এভাবে আমরা ব্যবসায়ীরা কিভাবে চলবো। এভাবে ব্যবসা করলে অনেক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা ব্যবসা করতে পারবেন না। রাজশাহীর কাঁচাবাজারের আড়তদার জ্যোতি ট্রেডার্সের মালিক সেকেন্দার জানান, ‘আমরা গতকাল (মঙ্গলবার) দুর্গাপুরের হাট থেকে ৩৬০০ টাকা মণ পেঁয়াজ কিনেছি। কিন্তু এই পেঁয়াজ আমরা গত হাটে কিনেছিলাম ২০০০ থেকে ২২০০ টাকা মণ। হঠাৎ করেই বাজারে পেঁয়াজের দাম বেড়ে যাওয়ায় আমাদেরকেও বেশি দিয়ে কিনতে হচ্ছে। যার জন্য বিক্রিও করতে হচ্ছে বেশি দাম দিয়েই।’ আরেক পেঁয়াজ ব্যবসায়ী আনোয়ারুল জানান, আমরা বেশি দাম দিয়ে পেঁয়াজ কিনেছি। কিন্তু এখন প্রশাসন থেকে বলা হচ্ছে কম দামে পেঁয়াজ বিক্রি করতে। এতে আমাদের অনেক ক্ষতি হয়ে যাবে। তিনি আরও বলেন, বাজারে যারা পেঁয়াজ কিনতে আসছেন সকলেই গত বছরের মতো দাম বেড়ে যাওয়ার ভয়ে বেশি বেশি পেঁয়াজ কিনে নিয়ে যাচ্ছেন এবং মজুদ করে রাখছেন। পেঁয়াজ কিনতে আসা মাহমুদ হাসান জানান, গত বছরের ঠিক এই সময়েই নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য পেঁয়াজের দাম বেড়ে প্রায় ২৫০ টাকা কেজি হয়ে গেছিলো। ঠিক আবারও এক বছর পর প্রায় একই অবস্থা। এজন্য বর্তমানে ৮০-৯০ টাকা কেজি দরেই অনেকেই বেশি বেশি পেঁয়াজ কিনে নিয়ে যাচ্ছে যদি আবারও আগের বছরের মতো দাম বেড়ে যায় এই ভয়ে।
×