স্টাফ রিপোর্টার ॥ ভারত পেয়াজ রফতানি না করলে কিছু করার নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। তিনি বলেন, ভারত পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করেছে, তাই ভারতের আশায় বসে না থেকে আর কোথা থেকে পেয়াজ আমদানি করা যায় সে ব্যবস্থা করতে হবে। মঙ্গলবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবে ছাত্রদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মো. ইসহাক সরকারের মুক্তির দাবিতে ‘নবীন দল’ আয়োজিত প্রতিবাদ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
গয়েশ্বর বলেন, দেশিয় আমদানিকারকদের বিভিন্ন দেশ থেকে পেয়াজ আমদানি করার সুযোগ তৈরি করে দিতে হবে। ভারত কখনো পেয়াজ দেবে না, কখনো পানি দিবে না, আবার যখন পানির দরকার নেই তখন পানি দিয়ে ডুবয়ে মারবে। ৫০ বছর যাবত এটাই দেখে আসছি। সুতরাং দেশের প্রয়োজনীয় যে সকল পণ্য আমদানি করতে হবে, সেসকল পণ্যের উৎপাদনকারী দেশগুলোর সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখতে হবে।
গয়েশ্বর বলেন, পৃথিবীর উন্নত রাষ্ট্রগুলো সবসময় সেবাখাতে ভর্তুকি দেয়। কোন রাষ্ট্র ব্যবসা করে না। ব্যবসা করে ব্যবসায়ীরা। আর সরকার ইউটিলিটি সার্ভিস দেয়। তিনি বলেন, অকটেন বিদেশ থেকে আমদানি করে রিফাইনের পর খরচ পরে ৪৬ টাকা। অথচ এটি বিক্রি হচ্ছে ৮৯ টাকায়। পৃথিবীর উন্নত দেশগুলো কৃষিতে সর্বোচ্চ ৩০০ পার্সেন্ট পর্যন্ত ভর্তুকি দেয়। কিন্তু বাংলাদেশ ৩৫ পার্সেন্ট ভর্তুকিও কৃষিখাতে দেয় না।
সরকারকে উদ্দেশ করে গয়েশ্বর বলেন, তেল বেচবেন চড়া দামে, চাল খাবেন সস্তা দামে। এটা তো মুদ্রার উল্টা। সেবা খাতে আপনি তো ভর্তুকি দিচ্ছেন না বরং উল্টো লাভ করছেন। এটা তো হতে পারে না। সেবা খাতে ভর্তুুকি বাড়াতে হবে।
আয়োজক সংগঠনের সভাপতিন হুমায়ুন আহমেদ তালুকদারের সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, আয়োজক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সোহেল রানা প্রমুখ।
