ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

নিয়ন্ত্রক সংস্থার হস্তক্ষেপে এক্সপ্রেস ইন্স্যুরেন্সের লভ্যাংশ পরিবর্তনের আভাস

প্রকাশিত: ১৬:৫১, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২০

নিয়ন্ত্রক সংস্থার হস্তক্ষেপে এক্সপ্রেস ইন্স্যুরেন্সের লভ্যাংশ পরিবর্তনের আভাস

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ পুঁজিবাজারে সদ্য তালিকাভুক্ত হওয়া বীমা খাতের কোম্পানি এক্সপ্রেস ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের মুনাফা থাকার পরও লভ্যাংশ ঘোষণা না করার সিদ্ধান্তে পরিবর্তন আসছে। বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ এবং নতুন তালিকাভুক্ত কোম্পানির ভাবমুর্তি অক্ষুণœ রাখতে নতুন করে পর্ষদ সভা ডেকে লভ্যাংশ প্রদানের ঘোষণা আসতে পারে। এর আগে সোমবার ২০১৯ সালের আথিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে কোম্পানি কর্তৃপক্ষ কোন লভ্যাংশ না প্রদান করার সুপারিশ করেছিল। তালিকাভুক্তির পর বছরেই এমন হটকারী সিদ্ধান্তের কারণে মঙ্গলবার পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) কোম্পানি কর্তৃপক্ষকে ডেকে পাঠায়। সেখানে নতুন কোম্পানির সুনাম এবং বিনিয়োগকারীদের স্বার্থের কথা ভাবার কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়। বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, কোম্পানিটি অন্তবর্তীকালীন লভ্যাংশ দিতে চায়। এ জন্য কোম্পানিকে একটি অডিট ফার্ম নিয়োগ দিতে বলেছে বিএসইসি। অডিটফার্মের আর্থিক প্রতিবেদন নীরিক্ষার পরেই সেই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ। এই বৈঠকে কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সচিবসহ তিন সদস্যের প্রতিনিধিদল উপস্থিত ছিলেন। বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র রেজাউল করিম বলেন, কমিশন তলব করার পর এক্সপ্রেস ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের কর্মকর্তারা কমিশনে আসলে সেখানে উভয় পক্ষের মধ্যে দীর্ঘ আলোচনা হয়। উভয়পক্ষের আলোচনায় ঐক্যমতে পৌঁছানো গেছে। কোম্পানি সূত্র মতে, ৩১ ডিসেম্বর ২০১৯ সমাপ্ত অর্থবছরে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৩১ পয়সা। গত বছরের একই সময়ে ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ১২ পয়সা। গত বছরের তুলনায় ভালো মুনাফা করার পরও কোন লভ্যাংশ ঘোষণা করেনি কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ। এর মাধ্যমে আইন লঙ্ঘন করে এক্সপ্রেস ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড। ফলে বিএসইসি তাদের তলব করেছে। আয়কর অধ্যাদেশ ১৬ ধারার জি-তে বলা হয়েছে, পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোন অর্থ বছরে কর-পরবর্তী নিট মুনাফার সর্বোচ্চ ৭০ শতাংশ রিটেইন আর্নিংস, ফান্ড, সার্ভিস অথবা সারপ্লাস হিসেবে রাখতে পারবে। অর্থাৎ মুনাফার ৩০ শতাংশ কোম্পানির শেয়ারহোল্ডারদেরকে বোনাস বা নগদ লভ্যাংশ হিসেবে দিতে হবে। একই সাথে কোম্পানিটি আয়কর রিটার্ন দাখিল করার আগেই তাকে লভ্যাংশ আকারে শেয়ারহোল্ডারদেরকে দিতে হবে। লভ্যাংশ না দিলে এর জন্য অতিরিক্ত ১০ শতাংশ কর দিতে হবে। এটি কোনভাবেই সমন্বয় করা যাবে না।
×