ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

বাংলাদেশ জাতীয় দল না এইচপি দল যাবে শ্রীলঙ্কায়?

প্রকাশিত: ২২:১৮, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২০

বাংলাদেশ জাতীয় দল না এইচপি দল যাবে শ্রীলঙ্কায়?

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশ হাই পারফর্মেন্স দলের শ্রীলঙ্কা সফর আগে থেকেই নিশ্চিত ছিল। কিন্তু বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের শ্রীলঙ্কা সফর নিশ্চিত ছিল না। যেহেতু জুলাইয়ে শ্রীলঙ্কা সফরে যাওয়ার কথা ছিল এবং করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে যাওয়া হয়নি, তাই এই সময় জাতীয় দলের শ্রীলঙ্কা সফর নিয়ে এগিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। কিন্তু এখন ঝামেলা বেধে গেছে। শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ড (এসএলসি) নাকি ৩০ সদস্যের বেশি দল গ্রহণ করতে রাজি নয়। এমনটিই জানা গেছে। আর তাতে করে হয় জাতীয় দল নয়তো এইচপি দল যেতে পারবে শ্রীলঙ্কায়। বিসিবি কী করবে? স্বাভাবিকভাবেই জাতীয় দলের সফরকেই গুরুত্ব দেয়া হবে। বিসিবির এইচপি ইউনিটের চেয়ারম্যান নাঈমুর রহমান দুর্জয় জাতীয় দলকে অগ্রাধিকার দেয়ার বিষয়টিই জানিয়েছেন। দুই দল একসঙ্গে যাওয়ার কথা। কিন্তু তাহলে তো ৬৫ জনের দল হয়ে যায়। কিন্তু এসএলসি ৩০ সদস্যের বেশি গ্রহণ করতে রাজি নয়। তারা এর বেশি সদস্যের দল অনুমতি দিতে রাজি নয়। দুর্জয় বলেছেন, ‘এইচপির সফরটা আলাদা। অগ্রাধিকার তো পাবে জাতীয় দলের সফর। কারণ এইচপির যে আমাদের ক্যাম্প সেটা আমরা এখন করতে পারব, পরেও করতে পারব। কিন্তু জাতীয় দলের যে সফর সেখানে কিছুটা লিমিটেশন আছে যে আপনারা জানেন টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ব্যাপার আছে। সেক্ষেত্রে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের সঙ্গে যদি আমরা এই উইন্ডোটা মিস করি তাহলে নতুন উইন্ডো বা স্লট বের করা কঠিন হবে। সুতরাং জাতীয় দলের টেস্ট সিরিজটা অগ্রাধিকার পাবে।’ সিরিজ নিয়ে কোন শঙ্কা দেখছেন না নাঈমুর। তিনিও আশাবাদী। বলেছেন, ‘শঙ্কা না, আসলে আপনি খেলতে চাচ্ছেন কিন্তু খেলার পরিবেশটা তো থাকতে হবে। সেই পরিবেশটা তৈরি এবং সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিয়ে যেন আমরা খেলতে পারি। ৬-৭ মাস খেলার বাইরে সেক্ষেত্রে টেস্ট ম্যাচ খেলাটা, সেই টেস্টের প্রস্তুতিটাও ঠিকঠাক আমরা করতে না পারি সেটা তো কঠিন হবে। আমরা দুই বোর্ডই আন্তরিক আছি সবকিছু ঠিকঠাক করে যেন মাঠে নামতে পারি।’ শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ড এখন বল বিসিবির কোর্টেই ঠেলে দিয়েছে। এখন বিসিবিরই যা করার করতে হবে। তিনি বলেছেন, ‘জাতীয় দল এবং এইচপির যে শ্রীলঙ্কাতে একসঙ্গে খেলার আমাদের যে পরিকল্পনা সেটায় এখনও আমরা আছি। শ্রীলঙ্কা বোর্ড ও আমাদের বোর্ড অনেক ক্ষেত্রে একমত ছিল সেখানে শ্রীলঙ্কান স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কিছু অবজারভেশন দিয়েছে। যার কারণে আমাদের একটু ধীরে এগোতে হচ্ছে। শ্রীলঙ্কান স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা বলছে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইন। একই সঙ্গে আগে যেটা ছিল কোয়ারেন্টাইনে থাকা অবস্থায় আমরা অনুশীলন করতে পারব। কিন্তু এখন সেটাতেও নিষেধ আছে। কাজেই আমরা আমাদের অবজারভেশনগুলো তাদের জানাচ্ছি।
×