ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

অনিল দম্পতি হত্যা

ভাইসহ ৬ জনের মৃত্যুদন্ড

প্রকাশিত: ২১:৩৬, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২০

ভাইসহ ৬ জনের মৃত্যুদন্ড

কোর্ট রিপোর্টার ॥ সম্পত্তির লোভে টাঙ্গাইল সদর থানার রসুলপুর গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক অনিল কুমার দাস ও তার স্ত্রী কল্পনা দাস হত্যা মামলায় ছয়জনের ‘ডাবল’ মৃত্যুদন্ডের রায় দিয়েছে ট্রাইব্যুনাল। রবিবার ঢাকার এক নম্বর দ্রুত বিচার টাইব্যুনালের বিচারক আবু জাফর মোঃ কামরুজ্জামান এ রায় ঘোষণা করেন। দন্ডপ্রাপ্তরা হলেন- নিহত অনিল কুমার দাসের সৎ ভাই স্বপন কুমার দাস (৪৩), তার ভাড়াটে সহযোগী একই গ্রামের মোঃ জাহিদুল ইসলাম (৩২), মোঃ ফরহাদ হোসেন (৩৩), মোঃ মনিরুজ্জামান ভূঁইয়া ওরফে খোকন ভূঁইয়া (৪৮), মোঃ মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জু (৩৩) ও মোঃ শয়ান মিয়া ওরফে ছায়ান (৩৮)। ডবল মৃত্যুদন্ড সম্পর্কে রায় প্রদানকারী ট্রাইব্যুনালে রাষ্ট্রপক্ষে স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ আবু ভূঁঞা বলেছেন, আসামিরা দুজনকে হত্যা করেছে। তাই ট্রাইব্যুনাল অনিল কুমার দাসকে হত্যার জন্য মৃত্যুদন্ড এবং তার স্ত্রী কল্পনা দাসকে হত্যার জন্য পৃথকভাবে মৃত্যুদন্ড দিয়েছে। তিনি আরও জানান, হত্যার পর ভিকটিমের লাশ গুমের অভিযোগে একই সঙ্গে আসামিদের আরও সাত বছর করে কারাদন্ড ও ৫০ হাজার টাকা অর্থদন্ড করেছে। অনাদায়ে আরও ১ বছর কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছে ট্রাইব্যুনাল। রায় ঘোষণার সময় ৫ আসামিকে কারাগার থেকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয় এবং আসামি শয়ান মিয়া জামিনে থেকে হাজির হন। রায় ঘোষণার পর সবাইকেই সাজা পরোয়ানা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়। মামলার বিবরণ থেকে জানা গেছে, দন্ডিত আসামি স্বপন কুমার দাস ও অনিল কুমার দাস সৎ ভাই। স্বপন কুমার দাস দীর্ঘদিন যাবৎ অনিল কুমার দাসের একটি সম্পত্তি লিখে নেয়ার জন্য চেষ্টা করে আসছিল। সেটা না পেরে অপর আসামিদের সঙ্গে যোগসাজশে অনিল কুমার দাস ও তার স্ত্রী কল্পনা দাসের সম্পত্তি লিখে নেয়ার জন্য তিনটি অলিখিত স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেয়ার উদ্দেশে ২০১৭ সালের ২৬ জুলাই সন্ধ্যার পর অনিল কুমারের বাড়িতে প্রবেশ করে। ২০১৮ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর মামলাটিতে আদালতে চার্জশীট দাখিল করা হয়। ২০১৯ সালের ৭ আগস্ট আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে ট্রাইব্যুনাল। মামলাটির বিচার চলাকালে আদালত চার্জশীটভুক্ত ৩৫ সাক্ষীর মধ্যে ২৭ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করে।
×