ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

দেশে করোনার নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা ১৭ লাখ ছাড়িয়েছে

প্রকাশিত: ২২:০৬, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২০

দেশে করোনার নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা ১৭ লাখ ছাড়িয়েছে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ করোনা শনাক্তকরণের জন্য পরীক্ষিত নমুনার সংখ্যা ১৭ লাখ ছাড়িয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আরও ৩৪ জনের মৃত্যু এবং শনাক্ত হয়েছেন নতুন ১৭৯২ জন। এ পর্যন্ত মৃত্যুর সংখ্যা ৪৬৬৮ এবং আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৩ লাখ ৩৪ হাজার ৭৬২ জনে। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হওয়া ২৪৭৪ জনসহ এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ২ লাখ ৩৬ হাজার ২৪ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ১৪ হাজার ৭৪৭টিসহ এ পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১৭ লাখ ৪ হাজার ৭৫৮টি। গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ১২ দশমিক ১৫ শতাংশ। ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৭০ দশমিক ৫১ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার এক দশমিক ৩৯ শতাংশ। শুক্রবার পাঠানো স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডাঃ নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ৩৪ জনের মধ্যে ২৫ পুরুষ ও ৯ নারী। তাদের বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে একজন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে একজন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ১৬ জন এবং ৬০ বছরের বেশি বয়সী ১৬ জন রয়েছেন। তাদের বিভাগীয় পরিসংখ্যান অনুসারে, ঢাকা বিভাগে ১৯, চট্টগ্রামে ৫, রাজশাহীতে ১, খুলনায় ৩, বরিশালে ২, সিলেটে ১ এবং রংপুরে ৩ জন রয়েছেন। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে স্বাস্থ্য অধিদফতর আরও জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে রাখা হয়েছে ৩৪৫ জনকে। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ১৮ হাজার ২৪৫ জন। ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ৫১৭ জন, এখন পর্যন্ত ছাড় পেয়েছেন ৫৭ হাজার ৯৮৮ জন। এখন পর্যন্ত আইসোলেশন করা হয়েছে ৭৬ হাজার ২৩৩ জনকে। আর প্রাতিষ্ঠানিক ও হোম কোয়ারেন্টাইন মিলে ২৪ ঘণ্টায় কোয়ারেন্টাইন করা হয়েছে ১৪৪১ জনকে। কোয়ারেন্টাইন থেকে গত ২৪ ঘণ্টায় ছাড় পেয়েছেন ১৭১৪ জন, এখন পর্যন্ত ছাড় পেয়েছেন ৪ লাখ ৬২ হাজার ২৪৮ জন। এখন পর্যন্ত কোয়ারেন্টাইন করা হয়েছে ৫ লাখ ১২ হাজার ৬৯৩ জনকে। বর্তমানে কোয়ারেন্টাইনে আছেন ৫০ হাজার ৪৪৫ জন। ১১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মোট মৃত্যুর শতকরা হারে দেখা গেছে, শূন্য থেকে ১০ বছরের মধ্যে ২০ জন, যা শূন্য দশমিক ৪৩ শতাংশ। ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে ৪০ জন, যা শূন্য দশমিক ৮৬ শতাংশ। ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ১০৯ জন, যা দুই দশমিক ৩৪ শতাংশ। ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ২৮০ জন, যা ৬ শতাংশ। ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ৬১০ জন, যা ১৩ শতাংশ। ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ১২৭৪ জন, যা ২৭ দশমিক ২৯ শতাংশ এবং ৬০ বছরের বেশি বয়সী মারা গেছেন ২৩৩৫ জন; যা ৫০ শতাংশ। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, সারাদেশে করোনা রোগীদের জন্য সাধারণ শয্যার সংখ্যা ১৪ হাজার ২৭৩টি, রোগী ভর্তি রয়েছে ৩২৯৩ জন এবং খালি শয্যার সংখ্যা ১০ হাজার ৯৮০টি। আর সারাদেশে মোট আইসিইউ শয্যার সংখ্যা ৫৪৭টি, ভর্তিকৃত ২৮৬টি এবং খালি আইসিইউ শয্যার সংখ্যা ২৬১টি। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ১১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত করোনায় মোট মৃতের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ২২৫৮ জন, যা মোট মৃতের ৪৮ দশমিক ৩৭ শতাংশ, চট্টগ্রাম বিভাগে ৯৮৯ জন, যা মোট মৃতের ২১ দশমিক ১৯ শতাংশ, রাজশাহী বিভাগে ৩১২ জন, যা মোট মৃতের ৬ দশমিক ৬৮ শতাংশ, খুলনা বিভাগে ৩৯৬ জন, যা মোট মৃতের ৮ দশমিক ৪৮ শতাংশ, বরিশাল বিভাগে ১৮০ জন, যা মোট মৃতের ৩ দশমিক ৮৬ শতাংশ, সিলেট বিভাগে ২১০ জন, যা মোট মৃতের ৪ দশমিক ৫০ জন, রংপুর বিভাগে ২২৩ জন, যা মোট মৃতের ৪ দশমিক ৭৮ শতাংশ এবং ময়মনসিংহ বিভাগে ১০০ জন, যা মোট মৃতের ২ দশমিক ১৪ শতাংশ। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা বিভাগে ১৩১৭, চট্টগ্রাম বিভাগে ৩৬২, রাজশাহী বিভাগে ২০৬, খুলনা বিভাগে ২৮৫, রংপুর বিভাগে ৮৯, সিলেট বিভাগে ১৩৫ এবং ময়মনসিংহ বিভাগে ২৮ জন করোনা রোগী সুস্থ হয়েছেন। আর গত ২৪ ঘণ্টায় হটলাইন নম্বর স্বাস্থ্য বাতায়নে ৮৮৫৭টি, ৩৩৩ নম্বরে ৪৪ হাজার ১৯৭টি এবং আইইডিসিআর’র নম্বরে ২৮৫টি কল এসেছে। আর গত ২৪ ঘণ্টায় আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরসমূহে ৪৬৪৮ জন, স্থলবন্দরসমূহে ৪৭৩ এবং সমুদ্রবন্দরসমূহে ২০৯ যাত্রীকে স্ক্রিনিং করা হয়েছে।
×