ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

‘শান্তির সংস্কৃতি’ নিয়ে জাতিসংঘ ফোরামে আলোচনা

প্রকাশিত: ২২:০৪, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২০

‘শান্তির সংস্কৃতি’ নিয়ে জাতিসংঘ ফোরামে আলোচনা

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ ‘শান্তির সংস্কৃতি’র আন্তর্জাতিক বর্ষ ঘোষণার ২১ বছরপূর্তিতে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের উচ্চ পর্যায়ের ফোরামে বাংলাদেশের প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হয়েছে। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সদর দফতরে ৭৪তম অধিবেশনের প্রেসিডেন্ট তিজ্জানি মোহাম্মদ বান্দের বাংলাদেশের ফ্ল্যাগশিপ রেজুলেশন নিয়ে আলোচনা হয়। খবর বিডিনিউজের। কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত সভায় জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেজ, সদস্য দেশসমূহের উল্লেখযোগ্যসংখ্যক রাষ্ট্রদূত ও জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থার উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিরা বক্তব্য দেন। এবারের উচ্চ পর্যায়ের সভায় প্রতিপাদ্য ‘শান্তির সংস্কৃতি : কোভিড-১৯ পরবর্তী সময়ে নতুন বিশ্ব বিনির্মাণ’ ধারণা উপস্থাপনের পাশাপাশি এই ক্ষেত্রে বাংলাদেশের ঐতিহাসিক নেতৃত্বের কথা তুলে ধরেন জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা। ১৯৭৪ সালে প্রথমবারের মতো জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষণ থেকে ‘মানবজাতির অস্তিত্ব রক্ষার জন্য শান্তি একান্ত দরকার। এই শান্তির মধ্যে সারাবিশ্বের সকল নর-নারীর গভীর আশা আকাক্সক্ষা মূর্ত হয়ে রয়েছে’ অংশটুকু উদ্ধৃত করে রাষ্ট্রদূত ফাতিমা বলেন, জাতির পিতার এই কালজয়ী বক্তব্য ও আদর্শ থেকেই উদ্ভূত হয়েছে বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশের অবিচল প্রতিশ্রুতি, যা আমাদের শান্তি সংস্কৃতির প্রসারে অনুপ্রাণিত করছে। বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার ক্ষেত্রে বিশেষ করে মহামারীকালে শান্তির সংস্কৃতির প্রাসঙ্গিকতার কথাও তুলে ধরেন বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি। তিনি বলেন, এই মহামারীর সময়েও বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার ক্ষেত্রে জাতিসংঘের অনেক উদ্যোগে ছিল শান্তির সংস্কৃতির অনুরণন। এই মহামারী কাটিয়ে তুলতে বৈশ্বিক একাত্মতা প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রচেষ্টায় পরিপূরক হিসেবে ‘শান্তির সংস্কৃতি’ ধারণাটিকে সন্নিবেশন করার বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কিছু সুপারিশ উপস্থাপন করেন রাষ্ট্রদূত ফাতিমা। পরে যুক্তরাষ্ট্রের খ্যাতনামা থিঙ্ক ট্যাংক ‘ইন্টারন্যাশনাল পিস ইনস্টিটিউট’ (আইপিআই) আয়োজিত ‘শিক্ষা, কোভিড-১৯ এবং শান্তির সংস্কৃতি’ শীর্ষক একটি সাইড ইভেন্টে প্যানেলিস্ট হিসেবে অংশ নেন রাষ্ট্রদূত ফাতিমা। এই ইভেন্টেও বক্তব্য দেন জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সভাপতি বান্দে। সাইড ইভেন্টটির বক্তব্যে শিশুদের ওপর বিশেষ করে উন্নয়নশীল দেশগুলোতে কোভিড-১৯ এর মারাত্মক প্রভাব সম্পর্কে আলোকপাত করেন বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি। মহামারীটি যাতে প্রজন্মের সঙ্কটে পরিণত না হয় সে বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দেন রাষ্ট্রদূত ফাতিমা। তিনি বলেন, করোনাভাইরাস মহামরীতে শিক্ষাখাতে সৃষ্ট ইতিহাসের সবচেয়ে বড় বিপর্যয় মোকাবেলায় শান্তির সংস্কৃতি অনুসরণ করতে হবে। মহামারী চলাকালীন শিক্ষা ও বিদ্যার্জনের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রচেষ্টার কথাও তুলে ধরেন রাষ্ট্রদূত ফাতিমা। এতে প্যানেলিস্টদের জাতিসংঘের সাবেক আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল ও রাষ্ট্রদূত আনোয়ার-উল করিম চৌধুরীসহ ইউনিসেফ ও ইউনেস্কোর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা।
×