ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

কাস্টার সেমিনিয়ার হুমকি

প্রকাশিত: ২৩:৩৫, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২০

কাস্টার সেমিনিয়ার হুমকি

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ট্র্যাকের বাইরে দীর্ঘ লড়াইয়ের পর হেরে গেলেন কাস্টার সেমিনিয়া। সুইস ফেডারেল কোর্টের রায়ে পরিষ্কার বলে দেয়া হয়েছে কোনভাবেই তিনি ৪০০ মিটারে নামতে পারবেন না। তাকে মনোনিবেশ করতে হবে ২০০ মিটারে। আগেই এই রায় দিয়েছিল লুসানের আন্তর্জাতিক ক্রীড়া আদালত। দক্ষিণ আফ্রিকার এই মহিলা এ্যাথলেট ৮০০ মিটারে পরপর দুটো অলিম্পিকে সোনা জিতেছিলেন। টোকিওতে নামতে হলে তাকে ২০০ মিটারে নামতে হবে। এমন রায় পাওয়ার পর কাস্টারের মন্তব্য, ‘রাস্তাটা বন্ধ হয়ে গেলেও লক হয়ে যায়নি। লড়াইটা চালু থাকবে সামাজিকভাবে। দেখতে হবে এই নিয়ম কারা করছেন? তারা আদৌ কী ব্যাপারটার বৈজ্ঞানিক ভিত্তি জানেন?’ লকডাউনের আগে প্রিটোরিয়াতে তিনি ২০০ মিটারের ইভেন্টে নেমে সোনা জিতেছেন। কিন্তু তাকে একেবারে নতুন করে শুরু করতে হবে। এই ইভেন্টে অলিম্পিকের টিকেট পাওয়া সত্যি কঠিন। কেন এই নিয়ম? গত বছর আন্তর্জাতিক এ্যাথলেটিক্স ফেডারেশন নিয়ম চালু করেছিল, যে মেয়ে এ্যাথলেটের শরীর পুরুষ হরমোনের পরিমাণ বেশি, তারা মাঝারি পাল্লার দৌড়ে আর নামতে পারবেন না। ৪০০ ও ৮০০ মিটারে কোনটাতেই নয়। কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে, শরীরে পুরুষ হরমোন থাকার ফলে দৌড়ের সময় অন্য মেয়েদের তুলনায় বাড়তি সুবিধে পান তারা। কাস্টারের শরীরে পুরুষ হরমোনের পরিমাণ বেশি। তাই তাকে নামতে নিষেধ করা হয়েছিল। এরপর লুসানে সর্বোচ্চ আদালতে মামলায় হেরে গিয়েছিলেন কাস্টার। তারপর সুইস কোর্টে মামলা করেছিলেন। সেই মামলার শর্ত দেয়া হয়েছিল শরীরে পুরুষ হরমোনের মাত্রা কমানোর চিকিৎসা করালে কাস্টারকে ছাড় দেয়া হবে। কিন্তু কাস্টার সেই শর্তে রাজি হননি। না হওয়ার পিছনে অনেক কারণও রয়েছে। সেই ওষুধে শরীরে নানা প্রতিক্রিয়া হলে এ্যাথলিটিক্স জীবনটাই শেষ হয়ে যেতে পারে। শর্তে রাজি না হওয়ায় তার বিপক্ষেই রায় চলে যায়।
×