ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

দুই মাসে রাজস্ব ঘাটতি ১২ হাজার কোটি টাকা

প্রকাশিত: ২১:১৪, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২০

দুই মাসে রাজস্ব ঘাটতি ১২ হাজার কোটি টাকা

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ করোনাভাইরাস মহামারীকালে ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে (জুলাই-আগস্ট) লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৩০ শতাংশ কম রাজস্ব আদায় হয়েছে। এই দুই মাসে সবমিলিয়ে ২৮ হাজার ৬৩৫ কোটি টাকার রাজস্ব আদায় হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪০ হাজার ৭৪৬ কোটি টাকা। ঘাটতি ১২ হাজার কোটি টাকার বেশি। অথচ গত ২০১৯-২০ অর্থবছরের জুলাই-অগাস্ট সময়ে ১০ শতাংশের বেশি প্রবৃদ্ধি নিয়ে অর্থবছর শুরু হয়েছিল। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে। প্রতিবেদনে দেখা যায়, ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে ১২ হাজার ৩৩৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকার রাজস্ব আদায় হয়। লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৯ হাজার ৩৭৮ কোটি ৭৪ লাখ টাকা। চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেটে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের মাধ্যমে আদায়ের লক্ষ্য ধরা হয়েছে ৩ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে মূল্যসংযোজন কর বা ভ্যাট থেকে ১ লাখ ২৮ হাজার ৮৭৩ কোটি টাকা। এছাড়া আয়কর ও ভ্রমণ কর থেকে ১ লাখ ৫ হাজার ৪৭৫ কোটি এবং আমদানি শুল্ক থেকে ৯৫ হাজার ৬৫২ কোটি টাকা আদায়ের লক্ষ্য ধরা হয়েছে। এর মধ্যে জুলাই-আগস্ট সময়ে ভ্যাট থেকে ১৫ হাজার ৪৬৪ কোটি টাকা, আয়কর ও ভ্রমণ কর থেকে ১০ হাজার ২০ কোটি টাকা এবং আমদানি শুল্ক থেকে ১৫ হাজার ২৬২ কোটি টাকা আদায়ের লক্ষ্য ধরা ছিল। এনবিআরের তথ্যে দেখা যায়, এই দুই মাসে ভ্যাট থেকে ৯ হাজার ৮৮৭ কোটি টাকা, আয়কর ও ভ্রমণ কর থেকে ৮ হাজার ৮০৩ কোটি এবং আমদানি শুল্ক থেকে ৯ হাজার ৯৪৫ কোটি টাকা আদায় হয়েছে। গত ২০১৯-২০ অর্থবছরের মূল বাজেটে এনবিআরের রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্য ছিল ৩ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা। অর্থবছর শেষে আদায় হয় ২ লাখ ১৮ হাজার ৪০৬ কোটি ৫ লাখ টাকা। অর্থাৎ গত অর্থবছরে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১ লাখ ১১ হাজার ৫৯৩ কোটি ৯৫ লাখ টাকা কম রাজস্ব আদায় হয়েছিল। এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল মজিদ রাজস্ব আদায় বাড়াতে ব্যাপক সংস্কারের ওপর জোর দিচ্ছেন। কর বন্ধ করতে কঠোর হতে বলেছেন। একইসঙ্গে মামলাজটে বিশাল অঙ্কের যে কর আটকে আছে, সেই টাকা আদায়েও জোর দিতে বলেছেন তিনি। জানান, কোভিড-১৯ এর এই কঠিন পরিস্থিতিতে যেসব খাত ভাল করছে, তাদের কাছ থেকে বেশি কর আদায় করতে হবে; আর যারা খারাপ করছে তাদের ছাড় দিতে হবে।
×