ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

এবার ঝন্টুকে সমিতির নেতার আইনী নোটিস

প্রকাশিত: ২৩:৫২, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২০

এবার ঝন্টুকে সমিতির নেতার আইনী নোটিস

বিতর্কিত সংলাপ এবং ইতিহাসের অবিস্মরণীয় দিন ৭ মার্চকে এড়িয়ে কখনই একটি মুক্তিযুদ্ধের চলচ্চিত্র নির্মাণ সম্ভব নয় অথচ ২০০৩ সালে ‘বীর সৈনিক’ ছবিটিতে অগ্রহণযোগ্য সংলাপের মাধ্যমে ইতিহাসকে বিতর্কিত করেছেন। যার মাধ্যমে এ প্রজন্ম একটা ভুল ইতিহাস চর্চা করছেন যে কারণেই এ ছবির নির্মাতা দেলোয়ার জাহান ঝন্টুর এমন কর্মকা- ক্ষমার অযোগ্য। তিনি দ্রুত ক্ষমা চেয়ে বিতর্কের অবসান ঘটাবেন অন্যথায় তার বিরুদ্ধে ইতিহাস বিকৃতির অভিযোগে আইনগত পদক্ষেপ নেয়া হবে- এমন প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করার পর নীরব ভূমিকা পালন করায় ঝন্টুর বিরুদ্ধে আইনী নোটিস পাঠানো হয়েছে। বাংলাদেশ প্রদর্শক সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শরফুদ্দিন এলাহী সম্রাটের পক্ষে এ্যাডভোকেট চৌধুরী মোঃ রেওদায়ন-ই-খুদা রবিবার নোটিসটি পাঠান। নোটিসে অপর তিন বিবাদী হলেন এসআইএস মিডিয়ার কর্ণধার এম এন ইস্পাহানী, লাভা মুভিজের কর্ণধার জাহাঙ্গীর, স্টেডিয়াম মার্কেটের ইরান ব্যাপারী। নোটিস প্রাপ্তির দুদিনের সময়ও বেঁধে দেয়া হয়েছে এবং ব্যর্থ হলে এ ব্যাপারে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে নোটিসে উল্লেখ করেন। সম্রাট বলেন, একজন হল সমিতির নেতা ছাড়াও আমার পরিচয় আমি বঙ্গবন্ধুকে ভালবাসি। তাকে হৃদয়ে ধারণ করি। যার কারণে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি আমি তার অনুগত। শুধু আমি কেন আমরা সবাই। বঙ্গবন্ধুর ব্যাপারে আমি বিন্দু পরিমাণ ছাড় দেব না। একজন চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট লোক হয়ে আমিও তার ব্যতিক্রম নই। ওই ছবিটিতে প্রকারন্তরে ‘মেজর জিয়াউর রহমানকে স্বাধীনতার ঘোষক’ যা সত্যের অপলাপ বিভ্রান্তিমূলক, দুরভিসন্ধিমূলক এবং বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র। এতে এ প্রজন্ম একটা মিথ্যা ইতিহাস চর্চা করছে। আমি শুনেছি শ্রদ্ধেয় দেলোয়ার জাহান ঝন্টু নিজেও একজন মুক্তিযোদ্ধা। যদি সেটা সত্য হয় তাহলে আমার প্রশ্ন তিনি কিভাবে কার দ্বারা প্রভাবিত হয়ে এমন একটা মিথ্যে ইতিহাস চর্চা করছেন? এ ব্যাপারে দেলোয়ার জাহান ঝন্টুর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, এ্যাডভোকেট মোস্তফা কামাল মুরাদের নোটিস পেয়েছি। অন্য কারো নোটিস এখনও পাইনি। প্রসঙ্গত দেলোয়ার জাহান ঝন্টু এসআইএস মিডিয়ার কর্ণধার এম এন ইস্পাহানী এবং লাভা মুভিজের কর্ণধার জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে ‘বীর সৈনিক’ ছবির বিতর্কিত অংশ অপসারণ না করেই টেলিভিশন, ইউটিউবে চালিয়ে জাতিকে বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়েই যাচ্ছেন এমন অভিযোগের ভিত্তিতে গত বৃহস্পতিবার এ্যাডভোকেট মোস্তফা কামাল মুরাদ মুক্তিযোদ্ধার সন্তান এটিএম মাকসুদুল হক ইমুর পক্ষে আইনী নোটিস পাঠান।
×