ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

পিআইবির ওয়েবিনার

কোভিড-১৯ সম্পর্কে ছেলেদের চেয়ে মেয়েরা বেশি জানে

প্রকাশিত: ২২:৫০, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২০

কোভিড-১৯ সম্পর্কে ছেলেদের চেয়ে মেয়েরা বেশি জানে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ দেশের অর্ধেকেরও বেশি কিশোর-কিশোরী ও তরুণ-তরুণী কোভিড-১৯ থেকে নিজেকে রক্ষায় যথেষ্ট জ্ঞান রাখেন এবং এক্ষেত্রে ছেলেদের তুলনায় মেয়েরা কিছুটা এগিয়ে আছে। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা পরিচালিত সমীক্ষার প্রতিবেদনে এ চিত্র বেরিয়ে এসেছে। সোমবার প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ আয়োজিত এক ওয়েবিনারে সমীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হয়। বাংলাদেশের আট বিভাগে ১০ থেকে ২৪ বছর বয়সী ৬৭৫ কিশোর-কিশোরী ও তরুণ-তরুণীর ওপর পরিচালিত সমীক্ষায় দেখা গেছে, কোভিড-১৯ সংক্রমণ থেকে নিজেকে রক্ষা করতে তারা যে তিনটি বিষয়কে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়েছে তা হচ্ছে সাবান দিয়ে কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড হাত ধোয়া, মাস্ক পরিধান করা এবং হাঁচি-কাশি দেয়ার সময় নাক-মুখ ঢেকে রাখা। ইউএসএআইডি এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের অর্থায়নে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার বাস্তবায়নাধীন ‘মিটিং দ্য আন্ডার নিউট্রেশন চ্যালেঞ্জ প্রকল্প’ চলতি বছরের মে মাসে ‘বাংলাদেশে কোভিড-১৯ এর প্রেক্ষিতে তরুণদের পুষ্টি সচেতনতা, আচরণ এবং খাদ্য নিরাপত্তা’ বিষয়ে একটি র‌্যাপিড সমীক্ষা পরিচালনা করে। সমীক্ষার ফলাফল তুলে ধরতে গিয়ে মিটিং দ্য আন্ডার নিউট্রেশন চ্যালেঞ্জ প্রকল্পের প্ল্যানিং এ্যান্ড কোর্ডিনেশন স্পেশালিস্ট প্রজ্ঞায়ন বেহেরা ও পুষ্টি বিশেষজ্ঞ ভামি বোরা সাংবাদিকদের জানান, কোভিড-১৯ এর কারণে ৭২ দশমিক ৬ শতাংশ পরিবারের আয় কমেছে এবং সবচেয়ে বেশি ক্ষতির মুখে পড়েছে সেসব পরিবার যাদের বাৎসরিক আয় এক লাখ টাকার কম। সমীক্ষায় অংশ নেয়া কিশোর-কিশোরী ও তরুণ-তরুণীদের ৬৫ দশমিক ২ শতাংশ জানিয়েছে, স্বাস্থ্য ঠিক রাখেতে তারা গৃহে কিংবা গৃহের বাইরে শরীর চর্চা করেছে। সেগুলোর মধ্যে রয়েছে দৌড়, স্ট্রেচিং ও ইয়োগা। উত্তরদাতাদের ৪৫ শতাংশ নির্ধারিত ৭ থেকে ৯ ঘণ্টা পর্যন্ত ঘুমিয়েছে এবং ৫৫ শতাংশ ঘুমিয়েছে ৭ ঘণ্টার কম যা নির্ধারিত মাত্রার চেয়ে কম। সমীক্ষার ফলাফলে আরও বলা হয়েছে, ৫০ শতাংশের কাছাকাছি উত্তরদাতা লকডাউন পূর্ববর্তী সময়ের চেয়ে কম খাবার খেয়েছে। ৭৩ শতাংশ জানিয়েছে, তারা বাইরের খাবার খায়নি। কোভিড-১৯ এর কারণে ৩৬ দশমিক ৪ শতাংশ পরিবার মাঝারি কিংবা মারাত্মকভারে খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার সম্মুখীন হয়েছে। পিআইবি মহাপরিচালক জাফর ওয়ায়েজেদের সভাপতিত্বে ওয়েবিনারে স্বাগত বক্তব্য দেন পিআইবি পরিচালক (প্রশাসন) মোঃ ইলিয়াস ভূঁইয়া ও এফএওর মিটিং দ্য আন্ডার নিউট্রেশন চ্যালেঞ্জ প্রকল্পের চীফ ট্যাকনিকাল এ্যাডভাইজর নাওকি মিনামিগওসি। সমাপনী বক্তব্য দেন খাদ্য মন্ত্রণালয়ের ফুড প্ল্যানিং এ্যান্ড মনিটরিং ইউনিটের সহযোগী পরিচালক (গবেষণা) ফিরোজ আল মাহমুদ এবং মিটিং দ্য আন্ডার নিউট্রেশন চ্যালেঞ্জ প্রকল্পের সিনিয়র নিউট্রেশন এ্যাডভাইজর ললিতা ভট্টাচার্য। সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন বাংলাদেশ হেলথ রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি তৌফিক মারুফ ও কৃষি সাংবাদিকতা ফোরামের সভাপতি আশরাফ আলী। ওয়েবিনারে সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করেন পিআইবি সিনিয়র প্রশিক্ষক (চলতি দায়িত্ব) মোহাম্মদ আবদুল মান্নান।
×