ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

গাইবান্ধায় শ্বাসরোধে স্ত্রীকে হত্যার পর স্বামীর আত্মহত্যা

প্রকাশিত: ২১:২৮, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২০

গাইবান্ধায় শ্বাসরোধে স্ত্রীকে হত্যার পর স্বামীর আত্মহত্যা

নিজস্ব সংবাদদাতা, গাইবান্ধা, ৭ সেপ্টেম্বর ॥ সাঘাটা উপজেলার মুক্তিনগর ইউনিয়নের খামার ধনারুহা গ্রামে রবিবার রাতে স্ত্রী রুমি বেগমকে (২৮) শ্বাসরোধে হত্যার পর স্বামী জামিরুল ইসলাম (৩২) ঘরের ধর্ণার সঙ্গে স্ত্রীর ওড়না গলায় পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছে। জামিরুল ওই গ্রামের নান্দু মিয়ার ছেলে। প্রায় ১১ বছর আগে কাঠমিস্ত্রি জামিরুল ইসলাম ও রুমি বেগমের বিয়ে হয়। জানা গেছে, রবিবার রাতে খাবার খেয়ে স্বাভাবিকভাবে তারা ঘরে ঘুমাতে যায়। পরদিন সোমবার সকালে ওই ঘর থেকে তাদের ছেলের কান্না শুনে বাড়ির লোকজন দরজা ধাক্কাধাক্কি করলে জামিরুলের বড় ছেলে ইমন কাঁদতে কাঁদতে দরজা খুলে দেয়। এ সময় বাড়ির লোকজন ঘরে ঢুকে জামিরুলকে ঝুলন্ত অবস্থায় এবং রুমি বেগমকে মেঝেতে গলায় ওড়না পেঁচানো মৃত অবস্থায় দেখতে পায়। খবর পেয়ে দুপুরে সাঘাটা থানা থেকে পুলিশ এসে দু’জনের লাশ উদ্ধার করে গাইবান্ধা জেলা সদর হাসপাতালে পোস্টমর্টেমের জন্য মর্গে পাঠায়। সাঘাটা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বেলাল হোসেন বলেন, তাদের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। শ্বাসরোধে রুমি বেগমের মৃত্যু হয় বলে মনে হয়। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে বলা যাবে কেন এ ঘটনা ঘটেছে। বগুড়ায় কলেজ ছাত্র স্টাফ রিপোর্টার বগুড়া অফিস থেকে জানান, বগুড়ার কাহালু উপজেলার আরমান হোসেন আন্না (১৯) নামে এক কলেজছাত্র খুন হয়েছে। রবিবার রাতে তাকে শ^াসরোধ করে হত্যার পর পুকুর পাড়ে পুঁতে রাখা হয়েছিলে। সোমবার সকালে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে সুজন ও ওবায়দুল নামে দুই যুবককে পুলিশ আটক করেছে। পুলিশ জানায়, উপজেলার মুরইল ইউনিয়নের ডুমুর পূর্বপাড়া গ্রামের আজিজার রহমানের ছেলে কলেজছাত্র আরমান রাতে বাড়ির নিকট খাঁ পাড়ায় একটি পুকুরপাড়ে দু’জন বন্ধুর সঙ্গে কথা বলছিল। রাত ৮টার দিকে পরিবারের লোকজন তাদের সেখানে দেখেছিল। এরপর সে আর বাড়ি ফিরেনি। সকালে পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে পুকুরের সীমানা প্রাচীর সংলগ্ন স্থানে মাটি খোঁড়া অবস্থায় দেখে সন্দেহ হয়। পরে সেখানে আরমানের পুঁতে রাখা লাশ পাওয়া যায়।
×