ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া

স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়ন ও চিকিৎসা বিজ্ঞানের গবেষণায় অগ্রগতি

প্রকাশিত: ২০:২৪, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২০

স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়ন ও চিকিৎসা বিজ্ঞানের গবেষণায় অগ্রগতি

ন্যায় প্রতিষ্ঠায় আন্দোলন-সংগ্রামের নেতৃত্বে যিনি অদ্বিতীয়; অত্যাচারীদের সম্মুখে যিনি অভেদ্য ঢাল; যিনি অসহায়, শোষিত-বঞ্চিত মানুষের মুক্তির দিশারী ও আশা-ভরসার স্থল; দেশপ্রেম, সাম্যবাদ, আর মানুষের প্রতি ভালবাসা যাঁর হৃদয়ে চির জাগ্রত; স্বাধীনতার স্বপ্ন যাঁর মননে সর্বক্ষণিক আচ্ছাদিত; সমস্ত মেধা যাঁর চির মানবকল্যাণে নিবেদিত, জীবন-যৌবন সর্বস্বই যাঁর দেশ ও দেশের মানুষের জন্য উৎসর্গিত, দু’চোখে স্বপ্ন যাঁর উন্নত সুখী, সমৃদ্ধ, কল্যাণকর, সব নাগরিকের জন্য মর্যাদাপূর্ণ ও শান্তিপ্রিয় একটি নতুন দেশ প্রতিষ্ঠা করা ও এমনই একটি বিশ্ব গড়ে তোলার স্বপ্নদ্রষ্টা এক মহান বিশ্ব নেতার কথা বলছি। ব্যক্তিত্ব ও সাহসিকতায় যিনি অনন্য, মানুষের অধিকার ও মর্যাদার লড়াইয়ে যিনি চির লড়াকু সেই মহান নেতার কথা বলছি। বঙ্গবন্ধুর জীবন যেমন সংগ্রামী তেমনি বৈচিত্র্যময়, কত না ঘটনা প্রবাহ, রচিত হয়েছে কত সাফল্য গাঁথা ইতিহাস। মাতৃভাষার আন্দোলন, অসহযোগ আন্দোলন, ৬ দফা বাস্তবায়নের আন্দোলন, যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন কিংবা ১৯৭০ সালের নির্বাচন, সবশেষে ’৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধসহ বাঙালী জাতির মুক্তির ও অধিকার আদায়ের প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে বঙ্গবন্ধু হাজির হয়েছেন মুক্তির বার্তা নিয়ে। লাখো-কোটি জনতার সামনে দাঁড়িয়েছেন আশা-ভরসার প্রতীক হয়ে অকুতোভয় বীর হিসেবে। সমগ্র জাতিকে সাহস জুগিয়েছেন। কাণ্ডারীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে নিজে অত্যাচার-নির্যাতন সহ্য করে আলোর দিশারী হয়ে সমগ্র জাতির চরম দুর্দিনে দিশা দিয়েছেন। অমৃতময় মৃত্যুঞ্জয়ী বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক জীবন ও দর্শন কী অপূর্ব, কতনা বৈচিত্র্যপূণর্, বর্ণাঢ্য, আন্দোলন-সংগ্রামে পরিপূর্ণ, অনুসরণীয়, অনুকরণীয় ও শিক্ষণীয়। স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ক্ষেত্রেও বঙ্গবন্ধু বাস্তবসম্মত পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। স্বাস্থ্যকে সংবিধানের মূল অধিকারের অংশ হিসেবে সংযোজন, প্রথম পঞ্চবাষির্কী পরিকল্পনায় স্বাস্থ্যকে গুরুত্বদান, গ্রামীণ স্বাস্থ্য কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা, চিকিৎসকদের প্রথম শ্রেণীর মর্যাদা প্রদান, বাংলাদেশ জাতীয় পুষ্টি পরিষদ গঠনসহ বহুমুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। বাংলাদেশের স¦াস্থ্য খাতে গবেষণার জন্য তৎকালীন আইপিজিএম এ্যান্ড আরকে গবেষণা করার জন্য প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা প্রদান করেন এবং এই হাসপাতালের শয্যা সংখ্যা ৩০০ থেকে ৫০০ বেডে উন্নীত করেন। বঙ্গবন্ধু অর্থনৈতিক দুরবস্থার মধ্যেও চিকিৎসাবিজ্ঞানের গবেষণার ক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তনের লক্ষ্যে সুস্পষ্ট পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। গবেষণার জন্য তিনি বাংলাদেশ মেডিক্যাল রিসার্চ কাউন্সিল প্রতিষ্ঠা করেন। তখন দেশে ছিল মোট আটটি মেডিক্যাল কলেজ। প্রতিটি মেডিক্যাল কলেজে তিনি অধ্যাপকের পদসহ বিভিন্ন পদ সৃষ্টি করেন। বঙ্গবন্ধু স্বপ্নের স্বাস্থ্য ভাবনা ও পদক্ষেপসমূহের কিছু কথা উল্লেখ করছি। দেশের মেডিক্যাল শিক্ষার ক্ষেত্রে আন্ডার গ্রাজুয়েট এডুকেশন, পোস্ট গ্রাজুয়েট এডুকেশন, সঙ্গে সঙ্গে মেডিক্যাল শিক্ষা ও গবেষণার প্রত্যেকটা বিষয়ে জাতির পিতার অবদান রয়েছে। যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশে মেডিক্যাল শিক্ষার ডিগ্রীগুলো ব্রিটিশ জেনারেল মেডিক্যাল কাউন্সিল একে একে স্বীকৃতি বাতিল করে দেয়। ফলে আামদের দেশ থেকে ইংল্যান্ডে গ্রাজুয়েট, পোস্ট গ্রাজুয়েট শিক্ষা লাভের সুযোগ বন্ধ হয়ে যায়। জাতির পিতা তখন অত্যন্ত দূরদৃষ্টিসম্পন্ন এবং প্রজ্ঞার পরিচায়ক ১৯৭২ সালে একটা প্রেসিডেনসিয়াল অর্ডারের মাধ্যমে বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিসিয়ান্স অব সার্জন্স (বিসিপিএস) প্রতিষ্ঠা করেন। যারা পাকিস্তান থেকে এফসিপিএস ডিগ্রী অর্জন করেছেন, যারা বিদেশ থেকে এমআরসিপি, এফআরসিএস করেছেন, এ ধরনের ৫৪ জন ফেলো নিয়ে বিসিপিএসের যাত্রা শুরু। জাতির পিতা বিসিপিএস প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন বলেই এফসিপিএস ডিগ্রী অর্জন করে বর্তমানে ৬ হাজারের মতো ফেলো দেশে ও বিদেশে কাজ করছেন। ৩ হাজারের মতো চিকিৎসক এমসিপিএস ডিগ্রী অর্জন করে দেশে কাজ করেছেন- এটা দেশের পোস্ট গ্রাজুয়েট মেডিক্যাল শিক্ষার ক্ষেত্রে জাতির পিতার অনন্য অবদান বলে আমি মনে করি। স্বাধীনতা উত্তর যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসার জন্য ডাঃ আর জে গার্স্ট কে আমন্ত্রণ জানান এবং অর্থোপেডিক সার্জারি বিষয়ে ট্রেনিংয়ের জন্য একটি টিমকে পূর্ব জার্মানি প্রেরণ করেন। উন্নত চিকিৎসা সেবা প্রদানের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়াসহ পঙ্গু হাসপাতালে অর্থোপেডিক সার্জারির ওপরে এমএস ডিগ্রী চালু করেছিলেন বঙ্গবন্ধু। এভাবে দেশে তিনি অর্থোপেডিক সার্জারির বিষয়ে বিশেষজ্ঞ তৈরির সুযোগ সৃষ্টি করেন। ১৯৭২ সালের শেষে দিকে দেশের ৭টি মেডিক্যাল কলেজের মধ্যে বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজকে পূর্ণাঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে রূপান্তর করা হয়। অবশ্য এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটিকে পূর্ণাঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে রূপান্তরিত করার জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের ছাত্র সংসদের তৎকালীন সহসভাপতি জাহিদুল হাসানের নেতৃত্বে মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিনসহ অন্যদের সঙ্গে আমিও মিছিল করেছিলাম এবং বঙ্গবন্ধুর কাছে গিয়েছিলাম। তখন বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। বঙ্গবন্ধু বললেন, এক বছরও হয় নাই আমি দায়িত্ব গ্রহণ করেছি, এর মধ্যেই মিছিল করেছে, এরা কারা? বঙ্গবন্ধু তখন তৎকালীন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মরহুম আব্দুর রাজ্জাককে দিয়ে বঙ্গবন্ধু তৎকালীন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মালেক উকিলের কাছে পাঠিয়ে দিলেন, আমিও ছিলাম সেখানে। ওই সময় জাতির পিতার নির্দেশে একটি কমিটি গঠন করা হয়। পরবর্তী সময়ে ৩ মাসের মধ্যে কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজের একটি পরিত্যক্ত ভবনে বেসিক সায়েন্সে এমবিবিএস চালু হয়। জাতির পিতার চিন্তা-চেতনা, আমাদের চিন্তা চেতনার চাইতে বহুগুণে এ্যাডভান্স ছিল। বঙ্গবন্ধু তখন একটা রেফারেল সিস্টেমের কথা বলেছিলেন। প্রতিটি গ্রাম বা ওয়ার্ডে একজন স্বাস্থ্যকর্মী থাকবেন। যে স্বাস্থ্যকর্মী প্রতিটি বাড়ি ঘুরে ঘুরে মানুষের স্বাস্থ্যের খোঁজখবর নিবেন। অসুস্থ লোক থাকলে তাকে চিহ্নিত করে ইউনিয়ন সাব সেন্টারে নিয়ে যাবেন। সেই ইউনিয়ন সাব সেন্টারে একজন ডাক্তার থাকবেন, একজন নার্স থাকবেন, একজন প্যারামেডিক থাকবেন এবং সেখানে রোগীকে চিকিৎসার মাধ্যমে সুস্থ করতে না পারলে রোগীকে থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠাবেন। থানা কমপ্লেক্সে রোগী সুস্থ না হলে তাকে মহকুমা হাসপাতালে বা জেলা হাসপাতালে বা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হবে। এভাবে একটি রেফারেল সিস্টেমের কথা বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন। জাতির পিতা বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজে বিভিন্ন সাবজেক্ট, সাব স্পেশালিস্ট সাবজেক্ট পর্যন্ত তিনি চালু করেছেন। প্রফেসরের পদ তৈরি করেছেন। ১৯৭৩ সালে তিনি কার্ডিও ফিজিওলজি ল্যাব প্রতিষ্ঠার কথাও বলেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর আমলে পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার ইউনিয়নে সাব সেন্টারসমূহ ও থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসমূহ যাতে নির্ধারিত সময়ের (১৯৭৮) মধ্যেই তৈরি হয় সেভাবেই পরিকল্পনা করেছিলেন। কারণ ইউনিয়নে সাব সেন্টারসমূহ ও থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসমূহ যথাসময়ে তৈরি হলে দেশের সকল মানুষকে চিকিৎসাসেবার আওতায় আনা সম্ভব হবে। বঙ্গবন্ধু প্রথম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় ১৯৭৮ সালে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ প্রতিষ্ঠার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। জাতির পিতা দেশের জনগণের জন্যই শাসনতন্ত্র তৈরি করেছিলেন। বঙ্গবন্ধু শুধু দেশকে প্রতিষ্ঠা ও শক্র মুক্ত করে যাননি; মানুষের পাঁচটি মৌলিক চাহিদাÑঅন্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও চিকিৎসাসেবা তা নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধু কতটা জনকল্যাণমুখী ছিলেন বর্তমান সময়েও আমরা তা ভেবে অবাক হয়ে যাই। বঙ্গবন্ধুর কনসেপ্ট বা চিন্তা ও ধ্যান-ধারণা নিয়েই আজকের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা কমিউনিটি ক্লিনিক খুলেছেন। এ কারণেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজগুলো সমাপ্ত করার চেষ্টা করছি। প্রকৃতপক্ষে, বঙ্গবন্ধুর পথ ধরেই জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশের মেডিক্যাল শিক্ষা, চিকিৎসা সেবা ও গবেষণাকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। দেশে বর্তমানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়সহ মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা ৫টি, সরকারী মেডিক্যাল কলেজের সংখ্যা ৩৮টি, এর মূলে রয়েছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার অবদান। বর্তমানে যখন দেখি পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের চিকিৎসকরা উচ্চতর ডিগ্রী অর্জনের জন্য অধ্যয়ন করছেন, চিকিৎসাসেবা প্রদান করছেন, শিক্ষাদান করছেন তখন বঙ্গবন্ধুর অবদানের কথা খুবই মনে পড়ে। কারণ বঙ্গবন্ধুর দূরদৃষ্টিসম্পন্ন পদক্ষেপের ফলে আজকে মেডিক্যাল শিক্ষা ও চিকিৎসাসেবার এতটা উন্নতি সম্ভব হয়েছে। দেশের মেডিক্যাল শিক্ষায় উন্নয়নে বঙ্গবন্ধু অবদান চির স্মরণীয় ও অনস্বীকার্য। জাতির পিতা ১৩ বছরেও বেশি সময় ধরে জের খেটেছেন। আমরা জাতির পিতার ত্যাগকে একটু অনুধাবন করে চিকিৎসা বিষয়ক গবেষণাকে যেন আরও গুরুত্ব দেই; সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকদের অন্য মহতী কর্মগুলোও যে নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করি। পরিশেষে বলতে চাই, যে মহান নেতার জন্য একটি স্বাধীন দেশ পেয়েছি, যুদ্ধবিধ্বস্ত সেই দেশকে সকল দিক থেকে পুনর্গঠন করে বিশ্বের দরবারে মর্যাদার আসনে সুপ্রতিষ্ঠিত করেছেনÑসেই বঙ্গবন্ধুকে আমরা রক্ষা করতে পারিনি। এমন কি বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিবসহ তাঁর পরিবারের ১৮ জন সদস্যকে আমরা হারিয়েছি। এটা আমাদের সবচেয়ে বড় ব্যর্থতা। বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে বাংলাদেশ অনেক আগেই একটি অসাম্প্রাদায়িক উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হত। বঙ্গবন্ধুর অবর্তমানে আমাদের সবচাইতে বড় সম্বল বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা। বর্তমান বাংলাদেশকে বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। বিশ্ব দরবারে বাাংলাদেশ আজ উন্নয়নের রোল মডেল। সে কারণেই রাষ্ট্র পরিচালনায় রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার বিকল্প নাই। পরিশেষে একথা জোড় দিয়ে বলতে চাই, বাংলাদেশ যতদিন থাকবে বাংলাদেশের জনগণের হৃদয়ে, জনগণের মনের মনিকোঠায় বঙ্গবন্ধু ও তাঁর সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা চির অমর হয়ে বেঁচে থাকবেন। বাংলাদেশ চিরজীবী হোক। চিরজীবী হোক মহান মুক্তিযোদ্ধার চেতনা। চির জাগ্রত থাকুক, অনির্বাণ শিখার মতো জ্বল জ্বল করুক বঙ্গবন্ধুর আদর্শ। সবশেষে বাংলাদেশের জন্য ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবুর রহমানসহ তাঁর সঙ্গে শাহাদাতবরণকারী সব শহীদের প্রতি আমার অন্তরের ভালবাসা ও গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করছি। লেখক : অধ্যাপক ডাঃ কনক কান্তি বড়ুয়া, উপাচার্য, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়
×