ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

কলকাতায় বাংলা, বাঙালী ও বাংলাদেশ

প্রকাশিত: ২০:১৭, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২০

কলকাতায় বাংলা, বাঙালী ও বাংলাদেশ

কলকাতাকেন্দ্রিক বাংলা ওয়ার্ল্ডওয়াইডের আন্তর্জাতিক সম্মেলনের একটি সেমিনার ছিল বাঙালী জাতীয়তাবাদ বিষয়ক। বিষয়টি আমাকে দারুণভাবে কৌতূহলী করে তুলেছিল। আমরা আমাদের দিক থেকে এটি সুস্পষ্ট করে জানি যে, আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলা ভাষাভিত্তিক বাঙালী জাতীয়তাবাদের ভিত্তিতে বাংলাদেশ রাষ্ট্র তৈরি করেছেন। কিন্তু ভারতের অঙ্গরাজ্য পশ্চিমবঙ্গে দাঁড়িয়ে এমন একটি বিষয় নিয়ে কথা বলা কিছুটা অস্বস্তিকর তো বটেই। ওরা বাংলা ভাষাভাষী, তবে জাতিসত্তা ও রাষ্ট্রসত্তায় ভারতীয়। বাংলা ভাষাভাষী ও বাঙালী সংস্কৃতির উত্তরাধিকারী হিসেবে তারাও বাঙালী। কিন্তু এর মাঝে ’৪৭ ও ’৭১-এর দুটি রেখা বিরাজ করে। শুনতে ইচ্ছা হলো বাঙালী জাতীয়তাবাদ ওদেরকে কতটা ভাবায়। বিশেষ করে বাঙালী জাতীয়তাবাদের ভিত্তিতে বাংলা ভাষাভিত্তিক বাংলাদেশ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার ৪৮ বছর পর এই বিষয়ে কলকাতায় আলোচনা করাটা অভিনব তো বটেই। আমার মনে আছে, আমরা যখন বাংলাদেশের স্বাধীনতার পতাকা নির্ধারণ করি, তখন বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে বাঙালী জাতীয়তাবাদ যে তৎকালীন পূর্ববঙ্গ তথা পূর্ব পাকিস্তানকেন্দ্রিক তার জন্য আমরা জাতীয় পতাকায় তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান তথা আজকের বাংলাদেশ-এর মানচিত্র সন্নিবেশিত করেছিলাম। তৎকালীন পূর্ববঙ্গের নেতা শেরে বাংলা একে ফজলুল হক তার ’৪০ সালের লাহোর প্রস্তাব মানাতে পারল না। নেহেরু ও গান্ধীর জোট এমনকি বৃহৎবঙ্গ প্রতিষ্ঠার বড় অন্তরায় হয়ে ওঠে। ’৪৭ সালে হুসেইন শহীদ সোরাওয়ার্দী বৃহৎবঙ্গ সৃষ্টি করার প্রচেষ্টা নিয়ে ব্যর্থ হয়ে দিল্লী থেকে ফিরে এসেছিলেন। বঙ্গবন্ধুও বৃহৎবঙ্গ গড়ে তোলার যোদ্ধা ছিলেন। কিন্তু সোহরোয়ার্দী সাহেব পরাজিত হয়ে ফিরে আসার পর তিনি রণকৌশল পরিবর্তন করেন। সেই সেমিনারে আমি বলেছি, ‘বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যদি ভাষা আন্দোলন, ছয় দফা আন্দোলন, ১১ দফা আন্দোলন, সত্তরের নির্বাচন ও একাত্তরের যুদ্ধ করে বাংলাদেশ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা না করতেন, তাহলে বাঙালী ও বাংলা ভাষার আজকের অবস্থান তৈরি হতো না। স্মরণ করুন ’৪৭ সাল থেকে রাষ্ট্রভাষা বাংলা প্রতিষ্ঠার জন্য বাংলাদেশের জনগণের আন্দোলনের কথা। সেই আন্দোলন তার চূড়ান্ত রূপ না পেলে আজ বাংলা ভাষা থাকত না। বাংলা ভাষার নামে একটি রাষ্ট্র থাকত না। বাঙালী জাতীয়তাবাদ কাগজে কলমে থাকত, বাস্তব দৃষ্টান্ত বাঙালীরা খুঁজে পেত না। আমি সবাইকে স্মরণ করিয়ে দিই সেই একজন শ্রেষ্ঠ বাঙালীর কথা। স্মরণ করুন ’৫২ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান চীনে বাংলায় বক্তৃতা করেন। ’৫৫ সালে পাকিস্তান গণপরিষদে বাংলায় বক্তৃতা করেন এবং ’৫৬ সালে বাংলাকে পাকিস্তান গণপরিষদের ভাষার স্বীকৃতির দাবির পাশাপাশি রাষ্ট্রভাষা বাংলা করার দাবিও করেন। ১৯৭৪ সালে তিনি জাতিসংঘে বাংলায় ভাষণ প্রদান করেন, যার পথ ধরে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাও জাতিসংঘে বাংলায় ভাষণ প্রদান করে আসছেন। ভাষা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের জন্মের জন্য ও আমাদের প্রধানমন্ত্রীর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় বাংলা ভাষার শহীদ দিবসকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা হিসাবে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে। বাংলা বাংলাদেশের একমাত্র রাষ্ট্রভাষাই নয়, সকল সরকারী কাজ, সকল আইন বাংলায় হয়ে থাকে। বাংলাদেশের প্রধান শিক্ষার মাধ্যম বাংলা এবং বাংলাদেশ বাংলা ভাষার প্রযুক্তিগত উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা পালন করছে।’ বিশিষ্ট পণ্ডিত পবিত্র সরকার তার বক্তব্যে বাংলা ভাষার অগ্রগতির জন্য বাংলাদেশের অবদানের প্রশংসা করেন। তিনি স্পষ্ট করেই জানান যে, বাংলাদেশ এখন বাংলা ভাষার অভিভাবক। আমি অনুষ্ঠানে বলেছি, ‘আমরা আজকে স্পষ্ট করে বলতে পারি বাংলাদেশ এখন হেনরি কিসিঞ্জারের তলাহীন ঝুড়ির দেশ নয়, এটি পাকিস্তানসহ বহু দেশের চাইতে বহু সূচকে উন্নত। বিশ্বের একমাত্র বাংলা ভাষাভিত্তিক রাষ্ট্র বাংলাদেশের স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শততম জন্মবার্ষিকী এবার। আমরা এই বছরটিকে মুজিববর্ষ হিসেবে উদযাপন করছি। আগামী বছর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রতিষ্ঠিত বাংলা ভাষাভিত্তিক বাংলাদেশ রাষ্ট্রের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী।’ আমি বিশ্বের সকল বাংলা ভাষাভাষীকে মুজিব শতবর্ষ ও বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী মহা সমারোহে উদযাপনের আহ্বান জানিয়েছি। খণ্ডিত ভূমি অখণ্ড জাতিসত্তা-বাঙালীর ভবিষ্যত- ২৩ জনুয়ারি ২০২০ রোজ বৃহস্পতিবার বিকাল ৩.০০টায় আমি ‘খণ্ডিত ভূমি অখণ্ড জাতিসত্তা- বাঙালীর ভবিষ্যত’ বিষয়ক সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলাম। সেমিনারে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রফেসর পবিত্র সরকার, সাবেক ভাইস-চ্যান্সেলার, রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয় এবং সুখরঞ্জন দাসগুপ্ত, বিখ্যাত লেখক। সেমিনারে আমি আমার বক্তৃতায় বলেছি, ‘বাঙালীরা যে যেখানে বসবাস করি না কেন, বাংলা ভাষাকে বিশ্ববাসীর কাছে স্বমহিমায় প্রতিষ্ঠিত করার জন্য সবাইকে কাজ করতে হবে। পৃথিবীর সবচেয়ে আপন হচ্ছে মা, তারপর মাতৃভাষা। আমি আমার মাতৃভাষা বাংলাকে এগিয়ে নেয়ার ক্ষেত্রে দিনরাত কাজ করে যাচ্ছি এবং এই কাজে যারা এগিয়ে আসবে, তাদের প্রতি আমার সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। বাংলা ভাষার জন্য এটি এক অনন্য সুযোগ ও সম্ভাবনা যে, এটি ভাষাভিত্তিক একটি জাতিরাষ্ট্র আছে যার নাম বাংলাদেশ। বলা যেতে পারে বাংলাদেশ এখন এই ভাষার অভিভাবক। এই ভাষা প্রচলন, প্রয়োগ ও উন্নয়নে বাংলাদেশ অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালে বাংলা টাইপরাইটার প্রবর্তন করে বাংলা ভাষার দাফতরিক কাজ করার ক্ষমতাকে এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যান। এরপর বাংলাদেশ কম্পিউটার ও অন্যান্য ডিজিটাল যন্ত্রে বাংলার প্রয়োগকে বিশ্বমানে উন্নীত করেছে। বাংলার প্রমিতমান গড়ে তোলা ছাড়াও এই ভাষার উন্নয়নে বাংলাদেশ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।’ আমি বাংলাদেশের এই অগ্রণী ভূমিকায় বিশ্বের সকল প্রান্তে থাকা বাঙালীদের সহায়তা কামনা করছি।’ Role of Telecommunication Industry in bringing about an Economic Transformation at the Grassroots Level of Bangladesh Technical Education and Skill Training Leads to Entrepreneurship and Future Prospect বিষয়ক সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন- ২৪.০১.২০১০, রোজ শুক্রবার বিকাল ৩.০০টায় Role of Telecommunication Industry in bringing about an Economic Transformation at the Grassroots Level of Bangladesh Technical Education and Skill Training Leads to Entrepreneurship and Future Prospect, শীর্ষক সেমিনারে অংশগ্রহণ করি। সেমিনারে আমি কিনোট স্পীকার হিসেবে অংশগ্রহণ করেছি। আরও অংশগ্রহণ করেন প্রফেসর সৈকত মিত্র, ভাইস-চ্যান্সেলর, মৌলানা আজাদ ইউনিভার্সিটি এ্যান্ড টেকনোলজি এবং আইনানসো ব্যানার্জী, সিনিয়র পরিচালক, টিসিজি ডিজিটাল। সেমিনারে আমার বক্তৃতায় বাঙালী জাতির হাজার বছরের ইতিহাসের মহাকাব্যের মহানায়ক জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন ও রাজনীতি এবং সাড়ে তিন বছরের শাসনের গৌববোজ্জ্বল বিভিন্ন দিক তুলে ধরেছি। আমি বলেছি, ‘বঙ্গবন্ধুর শাসনকালে বাংলাদেশ কর্তৃক ১৯৭৩ সালে আইটিও এবং একই বছর ইউপিইউর সদস্য পদ গ্রহণ এবং ১৯৭৫ সালের ১৪ জুন উপগ্রহ ভূ-কেন্দ্র স্থাপনের মাধ্যমে টেলিযোগাযোগ যুগের সূচনা হয়। বাংলাদেশে টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা ল্যান্ড ফোন টেলিগ্রাম দিয়ে শুরু হলেও, ১৯৮৯ সালে দেশটি মোবাইল যুগে প্রবেশ করে। শুরুতে কলরেট ও মোবাইল ফোনের দাম অনেক বেশি হলেও, বর্তমান সরকার ১৯৯৭ সালে আরও ৪টি মোবাইল কোম্পানিকে লাইন্সেস প্রদান করে এই খাতে ব্যাপক পরিবর্তন করে। টেকনিক্যাল শিক্ষা এবং দক্ষতা বিষয়ক সেমিনারে বলেছি, ‘শিক্ষাকে কাজের ধরনের সঙ্গে সমন্বয় করতে হবে এবং বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থা পরিবর্তন করতে হবে। আমরা এখনও প্রধানত ব্রিটিশ প্রবর্তিত সনাতনী শিক্ষাব্যবস্থায় পড়ে আছি। এই শিক্ষাব্যবস্থা দ্বিতীয় বা তৃতীয় শিল্পযুগের। এই শিক্ষাব্যবস্থাকে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের উপযোগী করতে হবে। এছাড়াও ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে একাডেমিক প্রতিষ্ঠানসমূহের সম্পর্ক দূরত্বের। কর্মসংস্থানের দিতে তাকিয়ে একাডেমী ও ইন্ডাস্ট্রিকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।’ আমি বর্তমান শিল্প ব্যবস্থাপনার ডিজিটাল দক্ষতা বাড়ানো এবং নব-উদ্ভাবিত প্রযুক্তির সংযোগ ঘটিয়ে উৎপাদনশীলতা বাড়ানোর আহ্বান জানিয়ে বলেছি, ‘বিশ্ব প্রতিযোগিতায় টিকতে হলে নব-উদ্ভাবিত প্রযুক্তিকে কাজে লাগাতে হবে।’ ‘বাঙালীর জাতীয়তার স্বপ্ন ও বাংলাদেশ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা’, ‘জন্মভূমি ও আদিবাসীর দায়’ শীর্ষক সেমিনার- ২৫.০১.২০২০, রোজ শনিবার, সময়: ১১.৩০ ও ৩.০০টায় ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী হিসেবে আমি ‘বাঙালীর জাতীয়তার স্বপ্ন ও বাংলাদেশ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা’, ‘জন্মভূমি ও আদিবাসীর দায়’, ও ‘বিশ্বাঙ্গনে বাঙালীর প্রতিশ্রুতি, সাফল্য ও ব্যর্থতা’- বিষয়ক তিনটি সেমিনারে অংশগ্রহণ করি। এই সেমিনারে আরও অংশগ্রহণ করেন এ্যাডভোকেট বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য, প্রাক্তন মেয়র, কলকাতা, সমরেশ মজুমদার, প্রাক্তন বিচারপতি, কলকাতা হাইকোর্ট এবং প্রফেসর পবিত্র সরকার, সাবেক ভাইস- চেন্সেলর, রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয় এবং বুলবুল ওসমান, অধ্যাপক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। সেমিনারসমূহে আমি আরও বলেছি, ‘ভারতবর্ষের বাঙালীরা বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধাদের সহায়তা করেছেন। মুক্তিযোদ্ধারা বন্দুক নিয়ে যুদ্ধ করেছে আর ভারতীয় বাঙালীরা আবেগ নিয়ে যুদ্ধ করেছে। ১৯৪৮ সালে প্রথম প্রশ্ন ওঠে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা কি হবে। যখন উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা ঘোষণা করা হয়, তখন জাতির পিতার নেতৃত্বে বাংলাদেশের ছাত্ররা প্রতিবাদ করে এবং পাকিস্তানের গণপরিষদে বাবু ধীরেন্দ্র নাথ দত্ত উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা করার প্রতিবাদ করে বাংলাকে অন্যতম রাষ্ট্রভাষা করার প্রস্তাব উত্থাপন করেন। এই প্রতিবাদসমূহ একটি জাতিসত্তা বিকাশের জন্য সূচনালগ্নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। সবাই জানেন, পাকিস্তানের রাষ্ট্রব্যবস্থা ১৯৪০ সালের লাহোর প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু তা হয়নি। ফলে জন্মের দিন থেকে তৎকালীন পূর্বপাকিস্তানের জনগণ অর্থনৈতিক এবং সাংস্কৃতিক বৈষম্যের শিকার হয়। বাংলাদেশ রাষ্ট্রের জনক ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৪৭-৪৮ সাল থেকে ভাষা আন্দোলন, স্বাধিকার ও সবশেষে স্বাধীনতা আন্দোলন করে বাঙালীর ভাষা রাষ্ট্র বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি গড়ে তোলেন বাঙালী জাতীয়তাবাদী, অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক ও বৈষম্যহীন জাতিরাষ্ট্র। ভেবে দেখুন পাকিস্তান আমলে তিনি আওয়ামী মুসলিম লীগকে অসম্প্রদায়িক আওয়ামী লীগ-এ পরিণত করেন।’ যা হোক বাংলা ওয়ার্ল্ডওয়াইড প্রথমবারের মতো বাঙালীদের এমন একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলন করে তাতে এত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আলোচনা করে সারা বিশ্বের বাঙালীদের আত্মানুসন্ধানের একটি প্লাটফরম তৈরি করে দিয়েছে বলেই আমি মনে করি। এই সুযোগে আমি বিশ্বের সকল বাংলা ভাষাভাষীকে মুজিববর্ষ ও বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী মহাসমারোহে উদযাপনের আহ্বান জানাই। অনুষ্ঠানের মূলমঞ্চে আয়োজিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রমিতা মল্লিক, দেবারতি সোম, লাইজা আহমেদ লিসা (বাংলাদেশ), ঋষি ব্যানার্জী (যুক্তরাজ্য) ও স্বপ্নিল সজীবসহ বাংলাদেশ ও কলকাতার খ্যাতনামা শিল্পীগণ উপস্থিত ছিলেন। সম্মেলনের সঙ্গে একটি মেলার আয়োজন করা হয়। সফরকালে আমি মুজিবনগর সরকারের অফিস ৮ নং থিয়েটার রোডও পরিদর্শন করি। ঢাকা, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২০, সর্বশেষ সম্পাদনা ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২০ ॥ মতামত লেখকের নিজস্ব। লেখক : তথ্যপ্রযুক্তিবিদ, কলামিস্ট, দেশের প্রথম ডিজিটাল নিউজ সার্ভিস আবাস-এর চেয়ারম্যান- সাংবাদিক, বিজয় কীবোর্ড ও সফটওয়্যার-এর জনক [email protected], www.bijoyekushe.net.bd, www.bijoydigital.com
×