ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

কলাপাড়ায় বরফ সঙ্কটে জেলেরা সাগরে যেতে পারছে না

প্রকাশিত: ২০:০৯, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২০

কলাপাড়ায় বরফ সঙ্কটে জেলেরা সাগরে যেতে পারছে না

নিজস্ব সংবাদদাতা, কলাপাড়া, ৬ সেপ্টেম্বর ॥ কলাপাড়ার বৃহৎ ইলিশের মোকাম মৎস্য বন্দর মহিপুর-আলীপুরে এখন ইলিশের রমরমা বেচাকেনা চলছে। সর্বত্র প্রাণচাঞ্চল্য রয়েছে। সাগর থেকে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ নিয়ে ফিরছে জেলেরা। কিন্তু বরফের তীব্র সঙ্কটে ফের সাগরে যথাসময় যেতে পারছে না। বরফের সঙ্কটে এক ধরনের অনিশ্চয়তায় পড়েছেন জেলেসহ ট্রলার ও আড়ত মালিকরা। মৎস্য ব্যবসায়ী মজনু গাজী জানান, প্রতি ক্যান (৫০ কেজি) অতিরিক্ত দুই শ’ টাকা করে দিয়েও বরফ মিলছে না। দেড়-দুইদিন অপেক্ষার পরে ১০০/১২০ টাকা ক্যানের বরফ কিনতে হচ্ছে ৩০০/৩৫০ টাকায়। কেউ কেউ ৫০০ টাকায় পর্যন্ত ঠেকিয়ে বিক্রি করছে। এভাবে প্রতিদিন ৫০-১০০/১৫০ ট্রলারের জেলেরা অতিরিক্ত ৫০-৬০ লাখ টাকা দিয়েও পর্যাপ্ত বরফ পায় না। গত টানা তিনদিন বরফের এমন তীব্র সঙ্কট চলছে। মহিপুর-আলীপুরের ৪৮টি বরফকলের সর্বোচ্চ উৎপাদন দৈনিক ৩০ হাজার ক্যান। কিন্তু প্রত্যেকটি ট্রলার একবারে সাগরে মাছ শিকারে যেতে ২০০-২৫০ ক্যান বরফের প্রয়োজন হয়। এভাবে প্রতিদিন ১৫০-২০০ ট্রলারের প্রয়োজন হয় কমপক্ষে ৪০ হাজার ক্যান বরফের। মৌসুমের প্রথমে এক ক্যান বরফ বিক্রি হতো ১০০/১২০ টাকায়। আর এখন এক ক্যান বরফ বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ টাকায়। তাও সলিড না; খোল, ওজনে ৫০ কেজি হয় না। একে তো বরফের সঙ্কট তার ওপরে সার্বক্ষণিক বিদ্যুত থাকছে না। এ সমস্যা প্রায় সাতদিন ধরে। সকলের মন্তব্য বিদ্যুত উৎপাদনে ঘাটতি নেই। নেই লোডশেডিং, তার ওপরে শুধু লাইনের প্রতিদিন সমস্যার কারণে মধ্যরাত থেকে বার বার ট্রিপ করে বিদ্যুতে। ঘাটে বসা থাকা এফ বি ভাই ভাই ট্রলারের মাঝি মোঃ জাহাঙ্গীর জানান, দেড় দিন অপেক্ষা করছেন বরফের জন্য। সাগরে প্রচুর ইলিশ পড়লেও বরফের সঙ্কটে যেতে পারছেন না।
×