ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত সেতু

নড়বড়ে সাঁকো দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে পারাপার

প্রকাশিত: ২০:০৪, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২০

নড়বড়ে সাঁকো দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে পারাপার

নিজস্ব সংবাদদাতা, গাইবান্ধা, ৬ সেপ্টেম্বর ॥ গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার উদাখালী ইউনিয়নে বন্যায় বিধ্বস্ত পাবোমারী সেতু দুইবছরেও মেরামত করা হয়নি। ওই সড়কে ভারি যানবাহনসহ পথচারীদের চলাচল করতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। হালকা যানবাহন বাঁশের সাঁকোর ওপর দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছে। ফলে ওইসব এলাকার উৎপাদিত কৃষি পণ্য বেচাকেনায় চরম দুর্ভোগের মুখে পড়েছে স্থানীয় কৃষক। জানা গেছে, ২০১৯ সালের ভয়াবহ বন্যায় ফুলছড়ি উপজেলার কাতলামারীসহ কয়েকটি এলাকায় ব্রহ্মপুত্র বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ পানির প্রবল তোড়ে ভেঙ্গে গেলে সেই পানির চাপে উপজেলার ৩৫ কিলোমিটার পাকা সড়ক এবং ফুলছড়ি উপজেলা সদর থেকে গুণভরি সড়কের পাবোমারী সেতু সম্পূর্ণভাবে বিধস্ত হয়। এতে উপজেলার যোগাযোগ ব্যবস্থা বিপর্যয়ের মুখে পড়ে। এতে করে ফুলছড়ি উপজেলা সদরের সঙ্গে কয়েকটি এলাকার যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরবর্তীতে এলজিইডির পক্ষ থেকে বন্যায় বিধস্ত সেতুটি পুনর্নির্মাণের কোন উদ্যোগ নেয়া হয়নি। অবশ্য বন্যার পর ফুলছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলামের ব্যক্তিগত উদ্যোগে ওই স্থানে বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করেন। ফলে অস্থায়ী ভিত্তিতে মানুষ এবং বাইসাইকেল- মোটরসাইকেলসহ অন্য হালকা যানবাহন চলাচলের ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু দীর্ঘদিনে চলাচলের ফলে বাঁশের সাঁকোটি ইতোমধ্যে নড়বড়ে হয়ে পড়েছে। ফলে পথচারীদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তার ওপর দিয়ে এখন চলাচল করতে হচ্ছে। ফুলছড়ি উপজেলা এলজিইডির উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোঃ এমদাদুল হক মোল্লা জানান, জনদুর্ভোগের কথা বিবেচনা করে বন্যার পর ধসে যাওয়া সেতু পুনর্নির্মাণের জন্য উর্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। প্রকল্পের অনুমোদন মিললেই পুনর্নির্মাণে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
×