ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

মানববন্ধনে বক্তারা

মসজিদ মিশনে জঙ্গীবাদের চর্চা চলতে দেয়া হবে না

প্রকাশিত: ২৩:৫৮, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২০

মসজিদ মিশনে জঙ্গীবাদের চর্চা চলতে দেয়া হবে না

স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী ॥ রাজশাহীর মসজিদ মিশন একাডেমি থেকে স্বাধীনতাবিরোধী চক্র জামায়াত-শিবিরের নিয়ন্ত্রণ এবং সেখান থেকে রাষ্ট্রবিরোধী তৎপরতার বিরুদ্ধে মানববন্ধন কর্মসূচী পালিত হয়েছে। শনিবার বিকেলে রাজশাহী মহানগরীর প্রাণ কেন্দ্র সাহেববাজার জিরো পয়েন্টে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির রাজশাহী জেলা ও মহানগর শাখা এই মানববন্ধন আয়োজন করে। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, স্বাধীনতার এত বছর পরও মসজিদ মিশন একাডেমিতে জঙ্গীবাদের চর্চা চলে। এটা আর হতে দেয়া হবে না। আমরা স্কুল বন্ধের পক্ষে নই। আমরা এই প্রতিষ্ঠানের পুনর্গঠন চাই। বর্তমান পরিচালনা পর্ষদ ভেঙ্গে দিয়ে সেখানে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের মানুষদের দায়িত্ব দিতে হবে। আর যেসব শিক্ষকদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকা-ের মামলা রয়েছে তাদের সরাসরি অব্যাহতি দিতে হবে। তা না হলে রাজশাহীতে আন্দোলন চলবেই। জামায়াত নিয়ন্ত্রিত মসজিদ মিশন সংস্থা ১৯৭৬ সালে জেলা সমাজসেবা কার্যালয় থেকে নিবন্ধন নেয়। পরে তারা রাজশাহীতে একে একে তিনটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলে। অথচ সংস্থার গঠনতন্ত্রে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠার কথা ছিল না। আবার নিবন্ধন নেয়ার পর মসজিদ মিশন সংস্থা কোন দিন অডিট করায়নি। কমিটিও অনুমোদন নেয়নি। নিজেদের ইচ্ছে মতোই কমিটি করা হয়। মসজিদ মিশন ও তাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রত্যেকেই জামায়াত-শিবিরের রাজনীতির সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে সম্পৃক্ত। প্রতিষ্ঠানটির অন্তত ১১ শিক্ষকের বিরুদ্ধে নাশকতার মামলা রয়েছে। সম্প্রতি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তদন্তে উঠে এসেছে প্রতিষ্ঠানটির ১১ কোটি টাকার কোন হদিস নেই। আর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মসজিদ মিশন একাডেমির প্রত্যেক শিক্ষক-কর্মচারী জামায়াত-শিবিরের রাজনীতির সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত। এরপরই প্রতিষ্ঠানটিকে ঢেলে সাজানোর দাবি উঠেছে। প্রায় ঘণ্টাব্যাপী এই মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির রাজশাহী মহানগরের নির্বাহী সভাপতি ড. সুজিত সরকার। পরিচালনা করেন সদস্য সচিব শাহ আলম বাদশা। মানববন্ধন কর্মসূচীতে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন কবিকুঞ্জের সাধারণ সম্পাদক কবি আরিফুল হক কুমার, নির্মূল কমিটির কেন্দ্রীয় কমিটির সহসম্পাদক উপাধ্যক্ষ মোঃ কামরুজ্জামান, মুক্তিযোদ্ধা ইয়াসিন আলী মোল্লা, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের জেলার সাধারণ সম্পাদক অঞ্জনা সরকার, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের জেলার সাধারণ সম্পাদক দিলীপ কুমার ঘোষ প্রমুখ।
×