ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

‘বীর সৈনিক’ চলচ্চিত্রের বিরুদ্ধে আইনী নোটিস

প্রকাশিত: ২৩:৫১, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২০

‘বীর সৈনিক’ চলচ্চিত্রের বিরুদ্ধে আইনী নোটিস

সংস্কৃতি ডেস্ক ॥ ২০০৩ সালে মুক্তি পাওয়া নায়ক মান্না ও মৌসুমী অভিনীত একটি চলচ্চিত্রের পরিচালক-ইউটিউব স্বত্বাধিকারীকে লিগ্যাল নোটিস পাঠিয়েছেন এক মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। ‘বীর সৈনিক’ নামের এ ছবিতে ইচ্ছাকৃত ইতিহাস বিকৃতি করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন অভিযোগকারী মাকসুদুল হক ইমু। তার পক্ষে বৃহস্পতিবার আইনী চিঠিটি পাঠিয়েছেন আইনজীবী মোস্তফা কামাল মুরাদ। এটি পাঠানো হয়েছে ছবির পরিচালক-রচয়িতা দেলোয়ার জাহান ঝন্টু, ছবির ইউটিউব স্বত্বাধিকারী সিস মিডিয়ার এমএন ইস্পাহানী (ইস্পাহানী আরিফ জাহান) ও ইউটিউব স্বত্বাধিকারী মোঃ জাহাঙ্গীরকে (লাভা মুভিজ)। সেখানে উল্লেখ করা হয়, ছবিটি ২০০৩ সালে মুক্তি পায়। গত বছর মুজিব জন্মশতবর্ষে এটি লাভা মুভিজ ও সিস মিডিয়া নামের ইউটিউব চ্যানেলে অবমুক্ত করা হয়। কিন্তু ছবিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম ও ৭ মার্চের ভাষণের বিষয়টি কেটে দেয়া হয়েছে। এবং তাতে স্বাধীনতার ঘোষক হিসেবে মেজর জিয়াউর রহমানের নাম ও ২৬ মার্চে তার ঘোষণার কথা উল্লেখ করা হয়। এদিকে অভিযোগকারী মাকসুদুল হক ইমু জানান, ছবিটি আগে মুক্তি পেলেও মুজিব জন্মশতবর্ষে এমন বিকৃত কন্টেন্ট ইউটিউবে প্রকাশ করাটা অন্যায় বলে মনে করেন তিনি। এর আগে ছবি সংশ্লিষ্টদের কাছে অভিযোগ করলে এর প্রতিকার পাননি বলেও জানান। তিনি বলেন, ছবিটির পরিচালক দেলোয়ার জাহান ঝন্টু। তার সামনে বিষয়টি উত্থাপন করলে তিনি দুঃখ প্রকাশ করেন। এমনকি মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তার ছবিতে এ অংশটি রাখাও লজ্জাজনক হিসেবে মনে করেন তিনি। তবে ছবিটি এখন প্রযোজক-পরিবেশকের কাছে থাকায় তিনি পদক্ষেপ নিতে পারছেন না বলে জানিয়েছেন। এজন্য আমি ইস্পাহানী সাহেবের সঙ্গে যোগাযোগ করে আলোচনা করেছি। কিন্তু তিনি কোন সমাধানে আসেননি। তাই এই আইনী পদক্ষেপ। মাকসুদুল হক আরও যোগ করে বলেন, ২০০৯ সালের ২১ জুন হাইকোর্ট রায় দেয়- ‘জিয়া নন, বঙ্গবন্ধুই স্বাধীনতার ঘোষক’। সেই সঙ্গে আদালত জিয়াউর রহমানকে স্বাধীনতার ঘোষক উপস্থাপন করে প্রকাশিত ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ, দলিলপত্র’-এর তৃতীয় খণ্ড বাতিল ঘোষণা করেছেন। জানানো হয়, যারা এ রকম ইতিহাস বিকৃতির সঙ্গে জড়িত তারা সংবিধান লঙ্ঘন করেছে। অথচ ‘বীর সৈনিক’ চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টদের নজরে বিষয়টি আনার পরও তারা কোন পদক্ষেপ নেয়নি, যা অত্যন্ত দুঃখজনক। তিনি জানান, ছবিটিতে একজন অভিনেতা ৭ মার্চের প্রসঙ্গ আনার পর হুট করে সে দৃশ্যটি ফেলে দেয়া হয়েছে। তাই এই দৃশ্য যোগ ও জিয়াউর রহমানকে উপস্থাপন করে বলা বিকৃত অংশের কর্তন চান তিনি।
×